গরুর খড় খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১২, অবরুদ্ধ পরিবারকে উদ্ধার সেনাবাহিনীর

 গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৫৭
Thumbnail image
গ্রামবাসী অবরুদ্ধ করে রাখা পরিবারটিকে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গরুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের নগরবন্দ এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। আহতদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আহতরা হলেন, নগরবন্দ গ্রামের আলেফ মিয়া (৪০), রুবেল মিয়া (২১), হাজেরা বেগম (৬৫), হজরত আলী (২৪), আমিনুর ইসলাম (৬৭) জহুরা বেগম কল্পনা (৩৬) আলেমা বেগম (৬০), জেসমিন খাতুন (২৩), সাজে বেগম (৩৮), সুইটি (৪০), আলমগীর (৪৫) ও কুদ্দুস মিয়া (১৭)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরবন্দ গ্রামের হাসেন আলীর বাড়ির উঠানে ধানের খড়ের গাদার কিছু খড় পাশের বাড়ির আলেফ মিয়ার একটি গরুর বাছুর খেয়ে ফেলে। এটা দেখে হাসেন আলীর স্ত্রী সুইটি বেগম আলেফ মিয়ার স্ত্রীকে খারাপ ভাষায় গালি দেয়। আলেফ মিয়ার স্ত্রী পাল্টা বকাবাদ্যি করলে ঝাড়ু হাতে তাকে মারার জন্য সুইটি তাদের বাড়ির উঠানে যায়। তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলেফ মিয়ার কিশোর ছেলে লাঠি দিয়ে সুইটির মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সুইটি বেগম।

এরপর স্থানীয়রা এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে আলেফ মিয়ার পরিবারকে আক্রমণ করে। তখন দুপক্ষের সংঘর্ষে আরও ১১ জন আহত হন। এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আলেফ মিয়ার পরিবারকে তাদের বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তাদের উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীকে খবর দেয় তারা। এরপর সেনাবাহিনীর একটি দল পুলিশসহ তাদের উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছবি: সংগৃহীত
দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছবি: সংগৃহীত

গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান জুয়েল আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত ৭ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ পরিবারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে পরিবারটির লোকজনকে উদ্ধার করতে হয়। দুই পক্ষের প্রায় ১২-১৩ জন আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে নেব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত