রংপুর প্রতিনিধি
শ্রাবণের আকাশ। সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে ভিজেই বিক্ষোভ মিছিল করছেন তাঁরা। পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যাসহ সব হত্যার প্রতিবাদে নানা স্লোগানে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদে ও ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ শনিবার বেলা ১১টায় এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) বিক্ষোভ চলছে। প্রেসক্লাব থেকে বড় মিছিলটি জেলা স্কুলের দিকে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবক এসেছেন। তাঁরা একসঙ্গে স্লোগান দিচ্ছেন। দু-একজন ছাতা আনলেও এক-তৃতীয়াংশ আন্দোলনকারী মাথায় পলিথিন বেঁধে বৃষ্টিতে বিক্ষোভ করছেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাড়িয়েছে টহল।
‘আগস্ট মাসে কিসের শোক, সবার আগে বিচার হোক’, ‘আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছ’।
বিক্ষোভে লুৎফা আখতার নামের শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কেনা গুলি আমাদের বুকে ছুড়ছে। আমাদের পাখির মতো গুলি করে মারছে প্রকাশ্যে। সারা পৃথিবী তা দেখছে। কিন্তু পুলিশ উল্টো মিথ্যে মামলা করছে। শিক্ষার্থীদের কারাগারে দিচ্ছি। এমন দেশ, এমন বাহিনী তো আমরা চাইনি। তাই মাঠে নেমেছি। গুলি কত আছে, চালান আমাদের বুকে। এই বৃষ্টিতে রক্তের বন্যা বয়ে যাক দেশে। তবু ন্যায় প্রতিষ্ঠা হোক।’
আরেক শিক্ষার্থী আফরিন জাহান বলেন, ‘আমাদের অন্ধ করবেন না। আমাদের অন্ধ করলে দেশ চলবে না। বাংলাদেশের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। কোনো আপস নয়, সংগ্রামেই সমাধান হবে।’
রুবেল হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্কুলে স্যারেরা যখন জিজ্ঞেস করতেন আমার স্বপ্ন কী? তখন গর্ব করে বলতাম পুলিশ হব। সেই স্বপ্ন এখন ঘৃণায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ দেখলে বমি আসে। আজ ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি, আমার ভাইদের হত্যার বিচার চাইতে। হত্যাকারীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
আঞ্জুমান আরা বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘গুলি করে ছাত্র মারছে পুলিশ, তা টেলিভিশনে লাইভ দেখা যাচ্ছে। তার পরও পুলিশ উল্টো কথা বলছে। সকাল থেকে মেয়ে আন্দোলনে আসার জন্য ব্যতিব্যস্ত। তাই দাবি আদায়ে মেয়ের সঙ্গে আমিও এসেছি, আমার সন্তানদের হত্যার বিচার চাইতে।’
শ্রাবণের আকাশ। সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে ভিজেই বিক্ষোভ মিছিল করছেন তাঁরা। পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যাসহ সব হত্যার প্রতিবাদে নানা স্লোগানে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদে ও ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ শনিবার বেলা ১১টায় এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) বিক্ষোভ চলছে। প্রেসক্লাব থেকে বড় মিছিলটি জেলা স্কুলের দিকে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবক এসেছেন। তাঁরা একসঙ্গে স্লোগান দিচ্ছেন। দু-একজন ছাতা আনলেও এক-তৃতীয়াংশ আন্দোলনকারী মাথায় পলিথিন বেঁধে বৃষ্টিতে বিক্ষোভ করছেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাড়িয়েছে টহল।
‘আগস্ট মাসে কিসের শোক, সবার আগে বিচার হোক’, ‘আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছ’।
বিক্ষোভে লুৎফা আখতার নামের শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কেনা গুলি আমাদের বুকে ছুড়ছে। আমাদের পাখির মতো গুলি করে মারছে প্রকাশ্যে। সারা পৃথিবী তা দেখছে। কিন্তু পুলিশ উল্টো মিথ্যে মামলা করছে। শিক্ষার্থীদের কারাগারে দিচ্ছি। এমন দেশ, এমন বাহিনী তো আমরা চাইনি। তাই মাঠে নেমেছি। গুলি কত আছে, চালান আমাদের বুকে। এই বৃষ্টিতে রক্তের বন্যা বয়ে যাক দেশে। তবু ন্যায় প্রতিষ্ঠা হোক।’
আরেক শিক্ষার্থী আফরিন জাহান বলেন, ‘আমাদের অন্ধ করবেন না। আমাদের অন্ধ করলে দেশ চলবে না। বাংলাদেশের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। কোনো আপস নয়, সংগ্রামেই সমাধান হবে।’
রুবেল হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্কুলে স্যারেরা যখন জিজ্ঞেস করতেন আমার স্বপ্ন কী? তখন গর্ব করে বলতাম পুলিশ হব। সেই স্বপ্ন এখন ঘৃণায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ দেখলে বমি আসে। আজ ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি, আমার ভাইদের হত্যার বিচার চাইতে। হত্যাকারীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
আঞ্জুমান আরা বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘গুলি করে ছাত্র মারছে পুলিশ, তা টেলিভিশনে লাইভ দেখা যাচ্ছে। তার পরও পুলিশ উল্টো কথা বলছে। সকাল থেকে মেয়ে আন্দোলনে আসার জন্য ব্যতিব্যস্ত। তাই দাবি আদায়ে মেয়ের সঙ্গে আমিও এসেছি, আমার সন্তানদের হত্যার বিচার চাইতে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
৩ মিনিট আগেগতকাল মধ্যরাতে পদ্মায় বড়শি তোলার সময় বুঝতে পারি বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। বড়শি তুলতেই দেখি বড় একটা বোয়াল। ওইটা নিয়েই আজ (সোমবার) ভোরে সুবল দার (দাদা) আড়তে নিয়ে আসি...
১৯ মিনিট আগেনরসিংদীর রায়পুরায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে অসতর্কতাবশত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেএ বছর পঞ্চাশ জনের বেশি শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেল সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ৫৩ জন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জন ছাত্র ও ৩৩ জন ছাত্রী। বিগত ৬ বছর ধরে কলেজটির সাফল্যে প্রচণ্ড উচ্ছ্বসিত...
২ ঘণ্টা আগে