অনলাইন ডেস্ক
সাম্প্রতিক নানা পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের সব মত ও পথের মানুষের একটা মিলনবিন্দু। তবে এখন তাঁর আশঙ্কা, দেশে আবার তথাকথিত মৌলবাদী ও সেক্যুলার বিভক্তি ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা।
ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া মাহফুজ আলমের পুরো পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ও জুলাইবিরোধী শক্তি
ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে। পুরানো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত সক্রিয় হয়ে গেছে। সরকারের দায় দিন, অসুবিধা নেই। আমরা চেষ্টা করছি। কেন পারিনি বা আপনাদের প্রত্যাশামতন পারছি না, সেসব ব্যাখ্যা আমরা দিব।
কিন্তু, কালচারাল ফ্যাসিজম এবং পুরাতন অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে আপনাদের আমাদের নিরন্তর লড়াই প্রয়োজন। সামাজিক ফ্যাসিবাদ বনাম সেকুলারিস্ট শক্তির ছদ্ম খেলা নস্যাত করে দেয়া দরকার। নইলে এ দুই শক্তি এ প্রজন্মকে হত্যাযোগ্য করে তুলবে। ফিফথ অগাস্ট ডিভিশনকে প্রশ্ন করুন। (যারা পাঁচ তারিখে এসে আন্দোলনে অংশ নিলেন, কিন্তু জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেননি!)
জুলাই একটা মিলনবিন্দু ছিল। ভাবাদর্শিক লড়াই নিয়ে আপনাদের সতর্ক করেছিলাম। পাঁচ মাস পরে তা সত্য হয়ে উঠছে। শাপলা–শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে। মুজিববাদী পেরাডাইম আর ইতিহাসতত্ত্ব আবার সক্রিয় হচ্ছে। বিপরীতে সৃজনের বদলে প্রতিক্রিয়াই শক্তিশালী হচ্ছে। নূতনভাবে এ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে গঠনের ঐতিহাসিক সম্ভাবনা নস্যাত হয়ে যাচ্ছে পুরানো বন্দোবস্তের সাথে অসম প্রতিযোগিতায়!
এগুলো কি একা সরকারের দায় বলে মনে করেন? কিংবা একা মাহফুজ আলমের দায়?
সরকার ১৫০ এর বেশি আন্দোলন মোকাবেলা করেছে! অর্থনীতিকে খাদের কিনারে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই শহিদ ও আহতদের অর্থদান ও পুনর্বাসন থেকে শুরু করে বিচার ও সংস্কারের জন্যে আমরা নিরন্তর কাজ করছি। এখনো জনগণের যেকোনো ন্যায্য দাবি সময়সাপেক্ষ হলেও পূরণ হচ্ছে। সরকার শুনছে, কাজ করছে।
কিন্তু, ভাবাদর্শিক গোঁড়ামি করে এবং বিদেশি পেসক্রিপশন নিয়ে যারা এ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সম্ভাবনাকে নস্যাতে দাঁড়িয়ে গেছেন, তাদের সবার খতিয়ান আমাদের প্রজন্মের কাছে আছে। কালচারাল শক্তি ও ‘গণ’মাধ্যমগুলো নিছক ভাবাদর্শিক লাভক্ষতির জায়গা থেকে যেভাবে শহিদ ও আহতদের সাথে বেইমানি করছেন, তাও আমাদের প্রজন্ম মনে রাখবে।
আমরা যেদিন আবার রাজপথে নেমে আসব সেদিন প্রতিদিনের ডায়েরিতে টুকে রাখা আমাদের দিন রাতের কাজগুলোর আমলনামা নিয়ে জনগণের সামনে আসব। কিন্তু, আপনারা জুলাই বিরোধী শক্তি যাবেন কোথায়? জুলাইয়ের মিত্র সেজে জুলাইয়ের পিঠে ছুরি চালানো হন্তারকেরা পালাবেন কোথায়?
আপনাদের আমলনামাও আমরা রাখছি। ভাবাদর্শ আর ভিনদেশের পাতানো খেলায় নেমে যেভাবে আচ্ছন্ন করে রাখলেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে, এটার জবাব দিবে জনগণ!
মিত্রদের জড়ো করুন
শত্রুদের চিহ্নিত করুন।
সাম্প্রতিক নানা পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের সব মত ও পথের মানুষের একটা মিলনবিন্দু। তবে এখন তাঁর আশঙ্কা, দেশে আবার তথাকথিত মৌলবাদী ও সেক্যুলার বিভক্তি ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা।
ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া মাহফুজ আলমের পুরো পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ও জুলাইবিরোধী শক্তি
ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে। পুরানো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত সক্রিয় হয়ে গেছে। সরকারের দায় দিন, অসুবিধা নেই। আমরা চেষ্টা করছি। কেন পারিনি বা আপনাদের প্রত্যাশামতন পারছি না, সেসব ব্যাখ্যা আমরা দিব।
কিন্তু, কালচারাল ফ্যাসিজম এবং পুরাতন অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে আপনাদের আমাদের নিরন্তর লড়াই প্রয়োজন। সামাজিক ফ্যাসিবাদ বনাম সেকুলারিস্ট শক্তির ছদ্ম খেলা নস্যাত করে দেয়া দরকার। নইলে এ দুই শক্তি এ প্রজন্মকে হত্যাযোগ্য করে তুলবে। ফিফথ অগাস্ট ডিভিশনকে প্রশ্ন করুন। (যারা পাঁচ তারিখে এসে আন্দোলনে অংশ নিলেন, কিন্তু জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেননি!)
জুলাই একটা মিলনবিন্দু ছিল। ভাবাদর্শিক লড়াই নিয়ে আপনাদের সতর্ক করেছিলাম। পাঁচ মাস পরে তা সত্য হয়ে উঠছে। শাপলা–শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে। মুজিববাদী পেরাডাইম আর ইতিহাসতত্ত্ব আবার সক্রিয় হচ্ছে। বিপরীতে সৃজনের বদলে প্রতিক্রিয়াই শক্তিশালী হচ্ছে। নূতনভাবে এ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে গঠনের ঐতিহাসিক সম্ভাবনা নস্যাত হয়ে যাচ্ছে পুরানো বন্দোবস্তের সাথে অসম প্রতিযোগিতায়!
এগুলো কি একা সরকারের দায় বলে মনে করেন? কিংবা একা মাহফুজ আলমের দায়?
সরকার ১৫০ এর বেশি আন্দোলন মোকাবেলা করেছে! অর্থনীতিকে খাদের কিনারে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই শহিদ ও আহতদের অর্থদান ও পুনর্বাসন থেকে শুরু করে বিচার ও সংস্কারের জন্যে আমরা নিরন্তর কাজ করছি। এখনো জনগণের যেকোনো ন্যায্য দাবি সময়সাপেক্ষ হলেও পূরণ হচ্ছে। সরকার শুনছে, কাজ করছে।
কিন্তু, ভাবাদর্শিক গোঁড়ামি করে এবং বিদেশি পেসক্রিপশন নিয়ে যারা এ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সম্ভাবনাকে নস্যাতে দাঁড়িয়ে গেছেন, তাদের সবার খতিয়ান আমাদের প্রজন্মের কাছে আছে। কালচারাল শক্তি ও ‘গণ’মাধ্যমগুলো নিছক ভাবাদর্শিক লাভক্ষতির জায়গা থেকে যেভাবে শহিদ ও আহতদের সাথে বেইমানি করছেন, তাও আমাদের প্রজন্ম মনে রাখবে।
আমরা যেদিন আবার রাজপথে নেমে আসব সেদিন প্রতিদিনের ডায়েরিতে টুকে রাখা আমাদের দিন রাতের কাজগুলোর আমলনামা নিয়ে জনগণের সামনে আসব। কিন্তু, আপনারা জুলাই বিরোধী শক্তি যাবেন কোথায়? জুলাইয়ের মিত্র সেজে জুলাইয়ের পিঠে ছুরি চালানো হন্তারকেরা পালাবেন কোথায়?
আপনাদের আমলনামাও আমরা রাখছি। ভাবাদর্শ আর ভিনদেশের পাতানো খেলায় নেমে যেভাবে আচ্ছন্ন করে রাখলেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে, এটার জবাব দিবে জনগণ!
মিত্রদের জড়ো করুন
শত্রুদের চিহ্নিত করুন।
এই ভূখণ্ডের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম নায়ক আসাদের সমাধি কোথায়—এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো এখন অনেকেই জানেন না। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে আসাদের কবর। এই গ্রামেই ১৯৪২ সালের ১০ জুন সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস ও জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কনফারেন্স রুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার দিবাগত রাত ১টায় সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। উপস্থি
২ ঘণ্টা আগেকাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার আলোচিত প্রামাণ্যচিত্র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি সম্প্রচারিত হলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ওই প্রতিবেদনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার তথ্য তুলে ধরা হ
৩ ঘণ্টা আগে