সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
প্রায় ২১ বছর বন্ধ থাকার পর ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি সচল হয় ২০২৩ সালে। নতুন উদ্যমে কারখানা চালু হওয়ায় স্বপ্ন বোনেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচার আশা তৈরি হয়। কিন্তু ছয় মাস যেতে না যেতেই আবারও বন্ধ হয়ে গেছে কারখানাটি। ক্ষণিকেই বিষাদে পরিণত হলো স্বপ্ন।
গত বছর ৩ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা চালু করা হয়। তবে কয়েক মাসের মাথায় এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আবার বন্ধ হলো কারখানাটি।
ঠাকুরগাঁও জোনাল রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. মাহবুব-উল-হক বলেন, ‘সুপ্রিয় গ্রুপের’ মালিক শর্ত ভঙ্গ করে কারখানার উৎপাদন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেন। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রেশম বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস ১৯৭৫-৭৬ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দনগর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এলাকায় ৩ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর এই রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ১৯৮১ সালের ৩০ জুন কারখানাটি রেশম বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার নতুন যন্ত্রপাতি কিনে কারখানাটির আধুনিকায়ন করে। লোকসান থাকলেও কোম্পানিটি তখন ভালোই চলছিল। কিন্তু মূলধন না থাকার কথা বলে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ করে দেয় বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট দলের সরকার।
ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় বর্তমানে ২০টি রিলিং মেশিন, ১৬টি হ্যান্ডলুম, ২০টি পাওয়ার লুমসহ প্রায় সব যন্ত্রাংশ সচল রয়েছে। ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় বর্তমানে ২০টি রিলিং মেশিন, ১৬টি হ্যান্ডলুম, ২০টি পাওয়ার লুমসহ প্রায় সব যন্ত্রাংশ সচল রয়েছে।
ওই সময় কারখানায় কর্মরত ১৩৪ জন স্থায়ী শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। পাশাপাশি বিপাকে পড়েন আরও প্রায় পাঁচ হাজার পলু পোকাচাষি (সুত উৎপাদনের জন্য তুঁতগাছ চাষ করেন যাঁরা)। এ সময় আন্দোলন করেও কারখানাটি চালু করতে পারেনি ঠাকুরগাঁওবাসী। বাজার না পেয়ে এ অঞ্চলের পলুচাষিদের অনেকেই চাষ কমিয়ে দিতে বাধ্য হন। এরপর বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কারখানাটি আর চালু হয়নি।
২০১৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল কারখানাটি চালুর যৌক্তিকতা দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১১ সদস্যের একটি দল ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল কারখানাটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা কারখানার যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করে কারখানা চালুর উপযোগী কি না, তা ঘুরে দেখেন। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিমও মন্ত্রণালয়ে কারখানা চালুর যৌক্তিকতা তুলে ধরে চিঠি দেন। ২০১৯ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তিনি বিষয়টি উপস্থাপনও করেন। পাশাপাশি সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে কারখানাটি চালু করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
রেশম কারখানাটি চালু করার বিষয়ে ২০২১ সালের ২২ মার্চ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে রেশম বোর্ডের তৎকালীন মহাপরিচালক মু. আবদুল হাকিম বলেন, বোর্ডের জনবলসংকট রয়েছে। যত দিন জনবল নিয়োগ না হবে, তত দিন কারখানাটি চালাতে পারবেন না। এ জন্য তাঁরা মাসিক বা বার্ষিক ফি নিয়ে ব্যক্তি খাতে দিতে চান। এই আলোচনার পর স্থানীয়ভাবে কয়েকজন কারখানাটি পরিচালনার আগ্রহ দেখান। কিন্তু পরে সেই উদ্যোগ থেমে যায়। অবশেষে কারখানাটি বেসরকারি পর্যায়ে বরাদ্দের জন্য দরপত্র আহ্বান করে রেশম বোর্ড। অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য ৫ বছর মেয়াদে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কারখানা পরিচালনার সুযোগ পায় ঠাকুরগাঁওয়ের সুপ্রিয় গ্রুপ।
কারখানা বন্ধ প্রসঙ্গে সুপ্রিয় গ্রুপের ডিজিএম মেহেদী হাসান বলেন, উৎপাদিত কাপড় বিক্রি হলে আবার চালু করা হবে।
আরও পড়ুন—
প্রায় ২১ বছর বন্ধ থাকার পর ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি সচল হয় ২০২৩ সালে। নতুন উদ্যমে কারখানা চালু হওয়ায় স্বপ্ন বোনেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচার আশা তৈরি হয়। কিন্তু ছয় মাস যেতে না যেতেই আবারও বন্ধ হয়ে গেছে কারখানাটি। ক্ষণিকেই বিষাদে পরিণত হলো স্বপ্ন।
গত বছর ৩ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা চালু করা হয়। তবে কয়েক মাসের মাথায় এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আবার বন্ধ হলো কারখানাটি।
ঠাকুরগাঁও জোনাল রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. মাহবুব-উল-হক বলেন, ‘সুপ্রিয় গ্রুপের’ মালিক শর্ত ভঙ্গ করে কারখানার উৎপাদন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেন। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রেশম বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস ১৯৭৫-৭৬ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দনগর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এলাকায় ৩ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর এই রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ১৯৮১ সালের ৩০ জুন কারখানাটি রেশম বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার নতুন যন্ত্রপাতি কিনে কারখানাটির আধুনিকায়ন করে। লোকসান থাকলেও কোম্পানিটি তখন ভালোই চলছিল। কিন্তু মূলধন না থাকার কথা বলে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ করে দেয় বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট দলের সরকার।
ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় বর্তমানে ২০টি রিলিং মেশিন, ১৬টি হ্যান্ডলুম, ২০টি পাওয়ার লুমসহ প্রায় সব যন্ত্রাংশ সচল রয়েছে। ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় বর্তমানে ২০টি রিলিং মেশিন, ১৬টি হ্যান্ডলুম, ২০টি পাওয়ার লুমসহ প্রায় সব যন্ত্রাংশ সচল রয়েছে।
ওই সময় কারখানায় কর্মরত ১৩৪ জন স্থায়ী শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। পাশাপাশি বিপাকে পড়েন আরও প্রায় পাঁচ হাজার পলু পোকাচাষি (সুত উৎপাদনের জন্য তুঁতগাছ চাষ করেন যাঁরা)। এ সময় আন্দোলন করেও কারখানাটি চালু করতে পারেনি ঠাকুরগাঁওবাসী। বাজার না পেয়ে এ অঞ্চলের পলুচাষিদের অনেকেই চাষ কমিয়ে দিতে বাধ্য হন। এরপর বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কারখানাটি আর চালু হয়নি।
২০১৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল কারখানাটি চালুর যৌক্তিকতা দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১১ সদস্যের একটি দল ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল কারখানাটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা কারখানার যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করে কারখানা চালুর উপযোগী কি না, তা ঘুরে দেখেন। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিমও মন্ত্রণালয়ে কারখানা চালুর যৌক্তিকতা তুলে ধরে চিঠি দেন। ২০১৯ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তিনি বিষয়টি উপস্থাপনও করেন। পাশাপাশি সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে কারখানাটি চালু করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
রেশম কারখানাটি চালু করার বিষয়ে ২০২১ সালের ২২ মার্চ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে রেশম বোর্ডের তৎকালীন মহাপরিচালক মু. আবদুল হাকিম বলেন, বোর্ডের জনবলসংকট রয়েছে। যত দিন জনবল নিয়োগ না হবে, তত দিন কারখানাটি চালাতে পারবেন না। এ জন্য তাঁরা মাসিক বা বার্ষিক ফি নিয়ে ব্যক্তি খাতে দিতে চান। এই আলোচনার পর স্থানীয়ভাবে কয়েকজন কারখানাটি পরিচালনার আগ্রহ দেখান। কিন্তু পরে সেই উদ্যোগ থেমে যায়। অবশেষে কারখানাটি বেসরকারি পর্যায়ে বরাদ্দের জন্য দরপত্র আহ্বান করে রেশম বোর্ড। অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য ৫ বছর মেয়াদে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কারখানা পরিচালনার সুযোগ পায় ঠাকুরগাঁওয়ের সুপ্রিয় গ্রুপ।
কারখানা বন্ধ প্রসঙ্গে সুপ্রিয় গ্রুপের ডিজিএম মেহেদী হাসান বলেন, উৎপাদিত কাপড় বিক্রি হলে আবার চালু করা হবে।
আরও পড়ুন—
নোয়াখালী হাতিয়ায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ১৪ জন ডাকাতকে আটক করেছে কোস্টগার্ড । এ বিষয়ে হাতিয়া থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১২টার সময় তাদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার সময় উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে বনভোজনে যাওয়া দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগ, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায় রয়েছে মন্তব্য করেছে বুয়েটের স্বাধীন কমিটি। আজ সোমবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) গঠিত তদন্ত কমি
১১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় ফজলুল করিম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এই নির্দেশ দেন।
১৪ মিনিট আগেসরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ (ডিএমআরসি) রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আল্টিমেটাম অনুযায়ী সমাধান না পাওয়ায় কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা ডিএমআরসির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে