বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে দাবদাহে শ্রমিকের মৃত্যু

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২২, ১২: ৪৭
Thumbnail image

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে অতিরিক্ত দাবদাহে স্ট্রোক করে সেরাজুল ইসলাম নবাব (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় অতিরিক্ত দাাবদাহে তাঁর মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ। 

মারা যাওয়া খনিশ্রমিক সেরাজুল ইসলাম নবাব পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের আইনুল হকের ছেলে। তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চিনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির এক্সএমসির অধীনে কয়লা উৎপাদনের কাজ করতেন। 

জানা গেছে, সেরাজুল ইসলাম গত বুধবার রাত ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার শিফটে খনির ভূগর্ভে কাজ শেষ করে রুমে আসার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সহকর্মীরা তাঁকে খনির অভ্যন্তরের হাসপাতালে নিয়ে গেল সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রমিক সেরাজুল ইসলামের দাবদাহে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

খনিশ্রমিকেরা বলছেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে তাঁদের কাজ করতে হয়, কাজ শেষে আবার টিনের ঘরে তাঁদের থাকতে হয়, এতে করে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

খনিশ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, সারা দেশে স্বাভাবিকভাবে সব অফিস-আদালত চললেও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ খনি লকডাউন করে রেখেছে। ফলে শ্রমিকেরা মাসের পর মাস পরিবার-পরিজন ছেড়ে খনির ভেতরে টিনের ঘরে গাদাগাদি করে অনেক কষ্টে বসবাস করছেন। এতে তাঁরা প্রায় সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান জানান, খনিটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনা কোম্পানির অনুরোধে এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে খনি এলাকায় লকডাউন রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে খনি এলাকা স্বাভাবিক করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত