কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল অভিনব কায়দায় ফেনসিডিল

নীলফামারী প্রতিনিধি
Thumbnail image

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে লোহার রোলারে অভিনব কায়দায় রাখা ৩৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে অভিযান চালিয়ে এসব ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের আনুমানিক মূল্য আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। 

সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম রাসেল পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা অফিসে মাদকের একটি চালান ঢাকায় পাঠানোর জন্য বুকিং করা হচ্ছিল। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম রাসেল পারভেজের নেতৃত্বে এস আই আহসান হাবিব, এস আই অপূর্ব চন্দ্র সরকারসহ পুলিশ সদস্যরা ওই কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে অভিযান চালায়। 

সেখানকার ডেলিভারি সার্ভিস রুমে বিভিন্ন মালামালের সঙ্গে সাদা প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় চারটি লোহার তৈরি রোলার দেখতে পান তারা। এ সময় লোহার রোলার প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। 

পরে ডেলিভারি ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম ওরফে হীরা (৪১) জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, রাত পৌনে ৯টার দিকে রোলারগুলো বুকিং করতে একটি কাগজে প্রেরক ও প্রাপকের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল লিখে দেয়। ওই কাগজটিতে প্রেরক হিসেবে মো. জাবেদ খান, সৈয়দপুর এবং প্রাপকের নাম শফিউল, মোবাইল নম্বর উল্লেখসহ কোনাবাড়ী, ঢাকা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তারা রোলারগুলো বুকিং না করে কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়েন। 

তার দেওয়া এমন তথ্যে পেয়ে পুলিশ রোলারগুলো খুলে ৩৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলসহ লোহার রোলারগুলো জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়। পরে অফিসে সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ী মো. রানাকে শনাক্ত করে পুলিশ। সে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর (চুড়িপট্টি) এলাকার মোক্তার হোসেনের পুত্র। বর্তমানে সে শহরের গোলাহাট এলাকায় বসবাস করে। 

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম রাসেল পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত