বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস: লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা এমডি মিজান বহিষ্কার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪, ১৮: ১১
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ২১: ০৮

বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী আওয়ামী লীগ থেকে মিজানুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

মিজানুর রহমান ওরফে এমডি মিজান উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া কুটিরপাড় গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকে ধারণা করেছিলাম। কিন্তু জানতে চাইলে মিজান আমাদের বলতেন, এখন এসব ছেড়ে দিয়েছি। তবু আমাদের সন্দেহ হতো। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। জরুরি সভায় তাঁকে পদ-পদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের চিঠিও পাঠানো হচ্ছে তাঁর ঠিকানায়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়—এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমানকে স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, সম্প্রতি বিসিএস প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের একটি তালিকা প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। সেই তালিকায় নাম আসে মিজানুর রহমান ওরফে এমডি মিজানের। তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেই নতুন কমিটিতে সহসভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। 

সখ্য গড়ে তোলেন সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির সঙ্গে। ম্যাক সিক্স প্রাইভেট কোম্পানি নামে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। এর চেয়ারম্যান তিনি নিজেই। তিনি এলাকায় এমডি মিজান নামে পরিচিত। গণমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় আজ উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় তাঁকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের এক নেতা বলেন, ‘এমডি মিজান অবৈধ টাকা রক্ষায় কৌশলে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। টাকার জোরে বাগিয়ে নেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ। আমরা ধারণা করতাম, তিনি অবৈধ কিছু করেন ঢাকায়। প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকায় তিনি গ্রামে এলে চাকরিপ্রত্যাশী ও তাঁদের অভিভাবকদের ভিড় দেখা যেত। তবে এলাকার কোনো ছেলেকে এমন সুযোগ না দিলেও তাঁর ছোট ভাই মশিউর রহমান পুলিশের অফিসার পদে চাকরি করেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত