তরুণীর মৃত্যুর ১৯৯ দিন কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ

রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ২৩: ৫৮

মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য রংপুরে এক তরুণীর মৃত্যুর ১৯৯ দিন পর কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আজ সোমবার সকালে নগরীর খাসবাগ এলাকা থেকে মরদেহ তোলা হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মালিহা খানম ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিআইডির পরিদর্শক শামসুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সকালে প্রায় সাড়ে ছয় মাস আগে দাফন করা বর্ষার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। বাবা-মা দুজনই ঢাকায় কাজ করতে যান। ছোট বোনকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন তিনি। এরই মধ্যে একই এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে জিয়াদ হোসেনের (২৫) সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাঁরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এর কিছুদিনের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়।

বিষয়টি জিয়াদ ও তাঁর পরিবারকে জানানো হলে তাঁরা ওই তরুণীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। কিন্তু এতে ওই তরুণী রাজি না হওয়ায় সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। জিয়াদের পরিবার বিভিন্নভাবে তরুণীকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। একপর্যায়ে জিয়াদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কটূক্তি সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়।

পরবর্তীতে তরুণীর মা রংপুরে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন—জিয়াদ হোসেন, ছবি বেগম, মনি বেগম, সিরাজউদ্দিন, সাজু মিয়া ও মো. রিফাত।

এ দিকে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য ১২ জানুয়ারি পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে তরুণীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত