নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ঘরবাড়ি ও হাওরের আধপাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২২০ হেক্টর ফসলি জমিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এর আগে, গত রোববার বিকেলে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। আজ মঙ্গলবার আবারও শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে শঙ্কা কৃষকদের।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। উপজেলার পৌর এলাকাসহ করগাঁও, গজনাইপুর, দেবপাড়া ও পানিউমদা ইউনিয়নের অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রামের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এ সময় প্রায় ২০ মিনিটের মতো শিলাবৃষ্টি পড়ে। শিলাবৃষ্টিতে অনেকের ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যায়। অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোরো ফসলের। শিলাবৃষ্টির আঘাতে ঝড়ে পড়েছে জমির পাকা ধান। এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে দমকা-ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ধানের আরও ক্ষতি হবে বলে শঙ্কা কৃষকদের।
বনগাঁও গ্রামের কৃষক আহাদ মিয়া বলেন, ‘প্রতি বছর ধান পেয়েছি ৬০-৭০ মণ। এবারও ফসল ভালো হয়েছিল। আশা করেছিলাম, ফলন ভালো পাব, কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘরে হয়েছে টিন ছিদ্র, ধানখেতে অধিকাংশ ধান ঝরে গেছে।’
কায়স্থ গ্রামের কৃষক আব্দুল মন্নান বলেন, ‘গত রোববার ও আজ মঙ্গলবারের শিলাবৃষ্টিতে আমার ধান খেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক ধানও পাব না।’
গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের জয়নাল মিয়া বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হঠাৎ আকস্মিকভাবে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়, আমার ঘরের অধিকাংশ টিন ছিদ্র হয়ে ঘরের ভেতরেও শিলা পড়ে। আমার আশপাশের ৩০-৪০টি বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
একই গ্রামের মীর টিলা এলাকার ওয়াহিদ মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি, হঠাৎ করে রোববার শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘরের টিনের একাধিক ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি, সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো একটু উপকার হতো।’
নবীগঞ্জ শহরের পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘরের টিনে বড় বড় ছিদ্র হয়ে ঘরে এখন পানি পড়ে, এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাব।’
দেবপাড়া ইউনিয়নের উত্তর দেবপাড়া গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ফসলের পাকা ধান ভেবেছিলাম ২-১ দিনের ভেতরে ফসল ঘরে ওঠাব, কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে ৬৫-৭০ ভাগ পাকা ধান ঝড়ে পড়ে গেছে।’
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মণি বলেন, ‘হাওরাঞ্চলে ৯০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়ে গেছে, তবে যারা একটু দেরিতে ধান রোপণ করেছিলেন তাঁদের খেত শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে জেনেছি ২২০ হেক্টর জমিতে ধান ঝরে পড়েছে। ফলে আমাদের যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটা পূর্ণ হবে না।’
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ঘরবাড়ি ও হাওরের আধপাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২২০ হেক্টর ফসলি জমিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এর আগে, গত রোববার বিকেলে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। আজ মঙ্গলবার আবারও শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে শঙ্কা কৃষকদের।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। উপজেলার পৌর এলাকাসহ করগাঁও, গজনাইপুর, দেবপাড়া ও পানিউমদা ইউনিয়নের অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রামের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এ সময় প্রায় ২০ মিনিটের মতো শিলাবৃষ্টি পড়ে। শিলাবৃষ্টিতে অনেকের ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যায়। অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোরো ফসলের। শিলাবৃষ্টির আঘাতে ঝড়ে পড়েছে জমির পাকা ধান। এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে দমকা-ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ধানের আরও ক্ষতি হবে বলে শঙ্কা কৃষকদের।
বনগাঁও গ্রামের কৃষক আহাদ মিয়া বলেন, ‘প্রতি বছর ধান পেয়েছি ৬০-৭০ মণ। এবারও ফসল ভালো হয়েছিল। আশা করেছিলাম, ফলন ভালো পাব, কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘরে হয়েছে টিন ছিদ্র, ধানখেতে অধিকাংশ ধান ঝরে গেছে।’
কায়স্থ গ্রামের কৃষক আব্দুল মন্নান বলেন, ‘গত রোববার ও আজ মঙ্গলবারের শিলাবৃষ্টিতে আমার ধান খেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক ধানও পাব না।’
গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের জয়নাল মিয়া বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হঠাৎ আকস্মিকভাবে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়, আমার ঘরের অধিকাংশ টিন ছিদ্র হয়ে ঘরের ভেতরেও শিলা পড়ে। আমার আশপাশের ৩০-৪০টি বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
একই গ্রামের মীর টিলা এলাকার ওয়াহিদ মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি, হঠাৎ করে রোববার শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘরের টিনের একাধিক ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি, সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো একটু উপকার হতো।’
নবীগঞ্জ শহরের পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘরের টিনে বড় বড় ছিদ্র হয়ে ঘরে এখন পানি পড়ে, এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাব।’
দেবপাড়া ইউনিয়নের উত্তর দেবপাড়া গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ফসলের পাকা ধান ভেবেছিলাম ২-১ দিনের ভেতরে ফসল ঘরে ওঠাব, কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে ৬৫-৭০ ভাগ পাকা ধান ঝড়ে পড়ে গেছে।’
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মণি বলেন, ‘হাওরাঞ্চলে ৯০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়ে গেছে, তবে যারা একটু দেরিতে ধান রোপণ করেছিলেন তাঁদের খেত শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে জেনেছি ২২০ হেক্টর জমিতে ধান ঝরে পড়েছে। ফলে আমাদের যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটা পূর্ণ হবে না।’
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠান কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস ছয় দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করায় বিপাকে পড়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)।
৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি তেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
২৮ মিনিট আগেরাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৯ ঘণ্টা আগে