ভাড়ার টাকা নিয়ে তর্ক: হেলপারের ছুরিকাঘাতে বাসচালক খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ৩৪
Thumbnail image

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সহকারীর (হেলপার) ছুরিকাঘাতে বাসচালক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা দিকে দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনালের তাজমহল হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাসচালক ছাদিক আহমদ (২৮) গোয়ানঘাট উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সহকারী মোরশেদ ফকির (২৮) জৈন্তাপুর উপজেলার পানিচড়া গ্রামের আলা উদ্দিন ফকিরের ছেলে। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান।

মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

সিলেট জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাড়ার টাকার হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হেলপার মোরশেদের ছুরিকাঘাতের শিকার হন সাদিক। গলার নিচে ও বাম ঊরুতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের কারণে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে বাসস্ট্যান্ডের লোকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ইবনে সিনা হাসপাতলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে না রাখলে পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, বাসটি জাফলং থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেটে আসে। তখন ড্রাইভার সাদিক হেলপার মোরশেদকে গাড়ি ভাড়া বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। মোরশেদ সাদিককে আড়াই হাজার টাকা দেন। সাদিকের হিসাব মতে, তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা হওয়ার কথা। এনিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে হেলপার মোরশেদ ছুরি দিয়ে ড্রাইভার সাদিকের গলার নিচে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যান। 

পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ শনিবার দুপুরের পরে নগরের ক্বিনবিজ্রের নিচ থেকে মোরশেদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ওই গাড়ির কন্ট্রাক্টারের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে।

মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‌‌‘ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার বিকেলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক মোরশেদকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত