ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে দিনদুপুরে বিক্রি করা হয় এসব পাথর। অভিযোগ উঠেছে, জিম্মাদার দুই ইউপি সদস্য, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব পাথর লুট হয়েছে। তবে সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে। জব্দের ৪৬ দিন পর পাথর নিলামের দরপত্র আহ্বান করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিএমডি ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় এবং ৮ জানুয়ারি জমাদানের শেষ তারিখ ধার্য করে। কিন্তু জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় দরপত্রে অংশ নেননি কেউ। পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটের বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিপুল পাথর লুট করে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে মজুত করে রাখেন। খবর পেয়ে গত ৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স বিছনাকান্দি, আনফরেরভাঙ্গা নামক এলাকাসহ হাদারপার ও বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৯ ঘনফুট পাথর জব্দ করে। এই পাথর স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ও পাপলু মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়। পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চারজন চৌকিদার। এত শক্ত পাহারা ডিঙিয়ে প্রভাবশালী চক্র দিনরাতে প্রকাশ্যে পাথর নিয়ে যেতে শুরু করে। ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। চৌকিদার তেরা মিয়া ও বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘হুমকি-ধমকির মধ্যে আছি। এখনো একটা টাকাও পাইনি। খুবই যন্ত্রণার মধ্যে আছি। এলজিইডির কাজে নিয়োজিত ব্যানার লাগানো গাড়িতে করে পাথর নিয়ে গেছে। আটকাইলে ইউএনও, পিআইওর অনুমতিপত্র দেখাইছে।’
জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দ ও ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএনও বরাবর পৃথক লিখিত আবেদন করে। এতে বলা হয়, বর্তমানে ভারত থেকে এলসি পাথর সরবরাহ বন্ধ। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৫টি করে বক্স কালভার্টের জন্য ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। ইউএনও আবেদন দুটিই পিআইওকে ফরওয়ার্ড করেন। পরদিন পিআইও দুটি আবেদনে বালু-পাথর পরিবহনে দুটি ট্রাকের নম্বরসহ অনুমোদন করেন।
ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের গোলাম রহমানী চৌধুরীর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ বলেন, ‘ইউএনও-পিআইওর অনুমতি নিয়ে অভিযানের আগে শামীম ভাইয়ের মিল থেকে ২ হাজার ঘনফুট পাথর নিয়েছি। পরে অভিযান হওয়ায় আর আনতে পারিনি।’ মিলমালিক শামীম বলেন, ‘অভিযানের পরে আমরা কোনো পাথর ভাঙিনি। কাউকে দিইওনি। এসব মিথ্যা কথা।’
এদিকে ১ জানুয়ারি এসি ল্যান্ড বরাবর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন লিখিত ও মৌখিকভাবে অব্যাহতি নেন ইউপি সদস্য পাপলু মিয়া। এরপর দুই ইউপি সদস্যকে দিয়ে ১৭ জানুয়ারি ৬০-৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬২-৭০ হাজার ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে দাবি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়।
ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘২০ দিন বিভিন্ন সময় ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে চুরি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউএনও, পিআইওর অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে শামীমের মিলে ভাঙিয়ে ১৫ হাজারের জায়গায় ২০-২৫ হাজার ঘনফুট করে পাথর নিয়েছে। সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। চুরি ঠেকাতে না পেরে ২ জানুয়ারি জিম্মাদারি অব্যাহতির এবং ৯ জানুয়ারি মামলার আবেদন করি। বর্তমানে ৪-৫ হাজার ঘনফুট পাথর অবশিষ্ট আছে।’
লুটপাটের খবর জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গোয়াইনঘাটের এসি ল্যান্ড সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর চুরির খবর পেয়ে বিএমডিকে জানানো হয়েছে।’
অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিআইও শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবহনের অনুমতি দিয়েছি। সব জায়গায় তো বন্ধ না। কোনো না কোনো জায়গা থেকে তো কিনবে। সেটা পরিবহনে যেন বাধা না হয়।’
গোয়াইনঘাটের তৎকালীন ইউএনও, বর্তমানে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদন বা মালপত্র পরিবহনের বিষয়টি যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পিআইওর কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। ফরওয়ার্ড করার মানে অনুমোদন করা নয়। লুটপাটের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ-বিজিবিকে বলেছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, ‘পাথর চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লুটপাটের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘ইউএনও তো অনুমোদন দেননি, শুধু পিআইওর কাছে দিছেন। পিআইও নিচে একটা আদেশ লিখে দিছে।’ পরে তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
বিএমডির পরিচালক (খনি ও খনিজ) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যদি এ রকম কোনো কাগজপত্র আপনাদের কাছে থাকে, আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা ডিসিকে বলব বিভাগীয় মামলা করার জন্য। প্রয়োজনে আবার আমরা নিলাম করব।’

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে দিনদুপুরে বিক্রি করা হয় এসব পাথর। অভিযোগ উঠেছে, জিম্মাদার দুই ইউপি সদস্য, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব পাথর লুট হয়েছে। তবে সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে। জব্দের ৪৬ দিন পর পাথর নিলামের দরপত্র আহ্বান করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিএমডি ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় এবং ৮ জানুয়ারি জমাদানের শেষ তারিখ ধার্য করে। কিন্তু জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় দরপত্রে অংশ নেননি কেউ। পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটের বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিপুল পাথর লুট করে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে মজুত করে রাখেন। খবর পেয়ে গত ৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স বিছনাকান্দি, আনফরেরভাঙ্গা নামক এলাকাসহ হাদারপার ও বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৯ ঘনফুট পাথর জব্দ করে। এই পাথর স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ও পাপলু মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়। পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চারজন চৌকিদার। এত শক্ত পাহারা ডিঙিয়ে প্রভাবশালী চক্র দিনরাতে প্রকাশ্যে পাথর নিয়ে যেতে শুরু করে। ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। চৌকিদার তেরা মিয়া ও বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘হুমকি-ধমকির মধ্যে আছি। এখনো একটা টাকাও পাইনি। খুবই যন্ত্রণার মধ্যে আছি। এলজিইডির কাজে নিয়োজিত ব্যানার লাগানো গাড়িতে করে পাথর নিয়ে গেছে। আটকাইলে ইউএনও, পিআইওর অনুমতিপত্র দেখাইছে।’
জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দ ও ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএনও বরাবর পৃথক লিখিত আবেদন করে। এতে বলা হয়, বর্তমানে ভারত থেকে এলসি পাথর সরবরাহ বন্ধ। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৫টি করে বক্স কালভার্টের জন্য ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। ইউএনও আবেদন দুটিই পিআইওকে ফরওয়ার্ড করেন। পরদিন পিআইও দুটি আবেদনে বালু-পাথর পরিবহনে দুটি ট্রাকের নম্বরসহ অনুমোদন করেন।
ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের গোলাম রহমানী চৌধুরীর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ বলেন, ‘ইউএনও-পিআইওর অনুমতি নিয়ে অভিযানের আগে শামীম ভাইয়ের মিল থেকে ২ হাজার ঘনফুট পাথর নিয়েছি। পরে অভিযান হওয়ায় আর আনতে পারিনি।’ মিলমালিক শামীম বলেন, ‘অভিযানের পরে আমরা কোনো পাথর ভাঙিনি। কাউকে দিইওনি। এসব মিথ্যা কথা।’
এদিকে ১ জানুয়ারি এসি ল্যান্ড বরাবর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন লিখিত ও মৌখিকভাবে অব্যাহতি নেন ইউপি সদস্য পাপলু মিয়া। এরপর দুই ইউপি সদস্যকে দিয়ে ১৭ জানুয়ারি ৬০-৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬২-৭০ হাজার ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে দাবি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়।
ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘২০ দিন বিভিন্ন সময় ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে চুরি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউএনও, পিআইওর অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে শামীমের মিলে ভাঙিয়ে ১৫ হাজারের জায়গায় ২০-২৫ হাজার ঘনফুট করে পাথর নিয়েছে। সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। চুরি ঠেকাতে না পেরে ২ জানুয়ারি জিম্মাদারি অব্যাহতির এবং ৯ জানুয়ারি মামলার আবেদন করি। বর্তমানে ৪-৫ হাজার ঘনফুট পাথর অবশিষ্ট আছে।’
লুটপাটের খবর জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গোয়াইনঘাটের এসি ল্যান্ড সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর চুরির খবর পেয়ে বিএমডিকে জানানো হয়েছে।’
অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিআইও শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবহনের অনুমতি দিয়েছি। সব জায়গায় তো বন্ধ না। কোনো না কোনো জায়গা থেকে তো কিনবে। সেটা পরিবহনে যেন বাধা না হয়।’
গোয়াইনঘাটের তৎকালীন ইউএনও, বর্তমানে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদন বা মালপত্র পরিবহনের বিষয়টি যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পিআইওর কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। ফরওয়ার্ড করার মানে অনুমোদন করা নয়। লুটপাটের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ-বিজিবিকে বলেছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, ‘পাথর চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লুটপাটের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘ইউএনও তো অনুমোদন দেননি, শুধু পিআইওর কাছে দিছেন। পিআইও নিচে একটা আদেশ লিখে দিছে।’ পরে তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
বিএমডির পরিচালক (খনি ও খনিজ) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যদি এ রকম কোনো কাগজপত্র আপনাদের কাছে থাকে, আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা ডিসিকে বলব বিভাগীয় মামলা করার জন্য। প্রয়োজনে আবার আমরা নিলাম করব।’
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে দিনদুপুরে বিক্রি করা হয় এসব পাথর। অভিযোগ উঠেছে, জিম্মাদার দুই ইউপি সদস্য, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব পাথর লুট হয়েছে। তবে সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে। জব্দের ৪৬ দিন পর পাথর নিলামের দরপত্র আহ্বান করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিএমডি ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় এবং ৮ জানুয়ারি জমাদানের শেষ তারিখ ধার্য করে। কিন্তু জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় দরপত্রে অংশ নেননি কেউ। পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটের বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিপুল পাথর লুট করে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে মজুত করে রাখেন। খবর পেয়ে গত ৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স বিছনাকান্দি, আনফরেরভাঙ্গা নামক এলাকাসহ হাদারপার ও বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৯ ঘনফুট পাথর জব্দ করে। এই পাথর স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ও পাপলু মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়। পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চারজন চৌকিদার। এত শক্ত পাহারা ডিঙিয়ে প্রভাবশালী চক্র দিনরাতে প্রকাশ্যে পাথর নিয়ে যেতে শুরু করে। ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। চৌকিদার তেরা মিয়া ও বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘হুমকি-ধমকির মধ্যে আছি। এখনো একটা টাকাও পাইনি। খুবই যন্ত্রণার মধ্যে আছি। এলজিইডির কাজে নিয়োজিত ব্যানার লাগানো গাড়িতে করে পাথর নিয়ে গেছে। আটকাইলে ইউএনও, পিআইওর অনুমতিপত্র দেখাইছে।’
জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দ ও ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএনও বরাবর পৃথক লিখিত আবেদন করে। এতে বলা হয়, বর্তমানে ভারত থেকে এলসি পাথর সরবরাহ বন্ধ। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৫টি করে বক্স কালভার্টের জন্য ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। ইউএনও আবেদন দুটিই পিআইওকে ফরওয়ার্ড করেন। পরদিন পিআইও দুটি আবেদনে বালু-পাথর পরিবহনে দুটি ট্রাকের নম্বরসহ অনুমোদন করেন।
ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের গোলাম রহমানী চৌধুরীর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ বলেন, ‘ইউএনও-পিআইওর অনুমতি নিয়ে অভিযানের আগে শামীম ভাইয়ের মিল থেকে ২ হাজার ঘনফুট পাথর নিয়েছি। পরে অভিযান হওয়ায় আর আনতে পারিনি।’ মিলমালিক শামীম বলেন, ‘অভিযানের পরে আমরা কোনো পাথর ভাঙিনি। কাউকে দিইওনি। এসব মিথ্যা কথা।’
এদিকে ১ জানুয়ারি এসি ল্যান্ড বরাবর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন লিখিত ও মৌখিকভাবে অব্যাহতি নেন ইউপি সদস্য পাপলু মিয়া। এরপর দুই ইউপি সদস্যকে দিয়ে ১৭ জানুয়ারি ৬০-৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬২-৭০ হাজার ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে দাবি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়।
ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘২০ দিন বিভিন্ন সময় ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে চুরি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউএনও, পিআইওর অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে শামীমের মিলে ভাঙিয়ে ১৫ হাজারের জায়গায় ২০-২৫ হাজার ঘনফুট করে পাথর নিয়েছে। সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। চুরি ঠেকাতে না পেরে ২ জানুয়ারি জিম্মাদারি অব্যাহতির এবং ৯ জানুয়ারি মামলার আবেদন করি। বর্তমানে ৪-৫ হাজার ঘনফুট পাথর অবশিষ্ট আছে।’
লুটপাটের খবর জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গোয়াইনঘাটের এসি ল্যান্ড সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর চুরির খবর পেয়ে বিএমডিকে জানানো হয়েছে।’
অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিআইও শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবহনের অনুমতি দিয়েছি। সব জায়গায় তো বন্ধ না। কোনো না কোনো জায়গা থেকে তো কিনবে। সেটা পরিবহনে যেন বাধা না হয়।’
গোয়াইনঘাটের তৎকালীন ইউএনও, বর্তমানে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদন বা মালপত্র পরিবহনের বিষয়টি যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পিআইওর কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। ফরওয়ার্ড করার মানে অনুমোদন করা নয়। লুটপাটের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ-বিজিবিকে বলেছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, ‘পাথর চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লুটপাটের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘ইউএনও তো অনুমোদন দেননি, শুধু পিআইওর কাছে দিছেন। পিআইও নিচে একটা আদেশ লিখে দিছে।’ পরে তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
বিএমডির পরিচালক (খনি ও খনিজ) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যদি এ রকম কোনো কাগজপত্র আপনাদের কাছে থাকে, আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা ডিসিকে বলব বিভাগীয় মামলা করার জন্য। প্রয়োজনে আবার আমরা নিলাম করব।’

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে দিনদুপুরে বিক্রি করা হয় এসব পাথর। অভিযোগ উঠেছে, জিম্মাদার দুই ইউপি সদস্য, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব পাথর লুট হয়েছে। তবে সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে। জব্দের ৪৬ দিন পর পাথর নিলামের দরপত্র আহ্বান করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিএমডি ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় এবং ৮ জানুয়ারি জমাদানের শেষ তারিখ ধার্য করে। কিন্তু জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় দরপত্রে অংশ নেননি কেউ। পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটের বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিপুল পাথর লুট করে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে মজুত করে রাখেন। খবর পেয়ে গত ৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স বিছনাকান্দি, আনফরেরভাঙ্গা নামক এলাকাসহ হাদারপার ও বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৯ ঘনফুট পাথর জব্দ করে। এই পাথর স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ও পাপলু মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়। পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চারজন চৌকিদার। এত শক্ত পাহারা ডিঙিয়ে প্রভাবশালী চক্র দিনরাতে প্রকাশ্যে পাথর নিয়ে যেতে শুরু করে। ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। চৌকিদার তেরা মিয়া ও বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘হুমকি-ধমকির মধ্যে আছি। এখনো একটা টাকাও পাইনি। খুবই যন্ত্রণার মধ্যে আছি। এলজিইডির কাজে নিয়োজিত ব্যানার লাগানো গাড়িতে করে পাথর নিয়ে গেছে। আটকাইলে ইউএনও, পিআইওর অনুমতিপত্র দেখাইছে।’
জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দ ও ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএনও বরাবর পৃথক লিখিত আবেদন করে। এতে বলা হয়, বর্তমানে ভারত থেকে এলসি পাথর সরবরাহ বন্ধ। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৫টি করে বক্স কালভার্টের জন্য ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। ইউএনও আবেদন দুটিই পিআইওকে ফরওয়ার্ড করেন। পরদিন পিআইও দুটি আবেদনে বালু-পাথর পরিবহনে দুটি ট্রাকের নম্বরসহ অনুমোদন করেন।
ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের গোলাম রহমানী চৌধুরীর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ বলেন, ‘ইউএনও-পিআইওর অনুমতি নিয়ে অভিযানের আগে শামীম ভাইয়ের মিল থেকে ২ হাজার ঘনফুট পাথর নিয়েছি। পরে অভিযান হওয়ায় আর আনতে পারিনি।’ মিলমালিক শামীম বলেন, ‘অভিযানের পরে আমরা কোনো পাথর ভাঙিনি। কাউকে দিইওনি। এসব মিথ্যা কথা।’
এদিকে ১ জানুয়ারি এসি ল্যান্ড বরাবর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন লিখিত ও মৌখিকভাবে অব্যাহতি নেন ইউপি সদস্য পাপলু মিয়া। এরপর দুই ইউপি সদস্যকে দিয়ে ১৭ জানুয়ারি ৬০-৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬২-৭০ হাজার ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে দাবি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়।
ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘২০ দিন বিভিন্ন সময় ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে চুরি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউএনও, পিআইওর অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে শামীমের মিলে ভাঙিয়ে ১৫ হাজারের জায়গায় ২০-২৫ হাজার ঘনফুট করে পাথর নিয়েছে। সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। চুরি ঠেকাতে না পেরে ২ জানুয়ারি জিম্মাদারি অব্যাহতির এবং ৯ জানুয়ারি মামলার আবেদন করি। বর্তমানে ৪-৫ হাজার ঘনফুট পাথর অবশিষ্ট আছে।’
লুটপাটের খবর জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গোয়াইনঘাটের এসি ল্যান্ড সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর চুরির খবর পেয়ে বিএমডিকে জানানো হয়েছে।’
অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিআইও শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবহনের অনুমতি দিয়েছি। সব জায়গায় তো বন্ধ না। কোনো না কোনো জায়গা থেকে তো কিনবে। সেটা পরিবহনে যেন বাধা না হয়।’
গোয়াইনঘাটের তৎকালীন ইউএনও, বর্তমানে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদন বা মালপত্র পরিবহনের বিষয়টি যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পিআইওর কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। ফরওয়ার্ড করার মানে অনুমোদন করা নয়। লুটপাটের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ-বিজিবিকে বলেছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, ‘পাথর চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লুটপাটের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘ইউএনও তো অনুমোদন দেননি, শুধু পিআইওর কাছে দিছেন। পিআইও নিচে একটা আদেশ লিখে দিছে।’ পরে তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
বিএমডির পরিচালক (খনি ও খনিজ) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যদি এ রকম কোনো কাগজপত্র আপনাদের কাছে থাকে, আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা ডিসিকে বলব বিভাগীয় মামলা করার জন্য। প্রয়োজনে আবার আমরা নিলাম করব।’

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৭ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৭ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৭ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৭ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে