নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘তোমাদের অনেক কথা শুনি। তোমাদেরকে বলার আমাদের সাহস নাই। ইজ্জত থাকবে না আমাদের। অনেক কথা সিলেট শহরে শুনি। সিলেট শহরে হাঁটতে পারি না।’ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি চোরাচালান-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে সিলেট ছাত্রলীগ। আজকের পত্রিকাসহ জাতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে দলের স্থানীয় নেতাদের। পরে হাইকমান্ডকে তাঁরা বিষয়টি অবগত করেন। অসহায় হয়ে চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপও চান তাঁরা। এবার এসব অভিযোগ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ ঝাড়লেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সফরে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন। তাঁদের সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই মতবিনিময় সভা হয়।
ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন তোমাদের হাতে সমজিয়ে দিতে চাই। তোমাদেরকে উপযুক্ত হতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি বোঝাতে পারি না। এইটা আমার ব্যর্থতা। সভাপতি হিসেবে আমি চেষ্টা করি, সবাইকে নিয়ে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ করার জন্য। গ্রুপ গ্রুপ নেতা নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি আমি। সবাই (কেন্দ্রীয় নেতারা) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তোমরা কে কতটুকু বুঝতে পেরেছ জানি না। তবে রাতে বালিশে মাথা রেখে যদি চিন্তা করো বুঝতে পারবে। জাহাঙ্গীর কবির নানক যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা আমাদের সিলেটের জন্য যুগান্তকারী বক্তৃতা। আমাদের চলার পাথেয়।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সামনে কিন্তু খুব সোজা দিন নয়। অন্যরা আমাদের জন্য চুপ করে বসে আছে, কঠিন দিন দেখার জন্য। এই কঠিন দিনকে মোকাবিলা করতে হবে। আমরাও কিন্তু আমাদের সঠিক পথে চললে ভালোভাবে চললে জনগণের আস্থা যদি আমরা অর্জন যদি না করতে পারি, তাহলে এই রাজনীতি আমরা কত দিন করতে পারব আমার মনে হয় না। যা-ই হোক, তোমরা আমার ছোট ভাই। তোমাদের আমি শাসন করতে পারি আর করিও। সুতরাং আমার কথায় কেউ মন খারাপ করার কোনো কারণ নাই। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্যই বলছি।’
মাসুক উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আজ প্রায় ১৬ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনা একা দেশ চালাচ্ছেন। কোনো প্রশ্ন নাই। দেশে-বিদেশে উনি সম্মানিত। এসব দেখলে আমাদের মন বড় হয়ে যায়। আমাদের নেত্রী নিজেই সম্মানিত হন। সুতরাং আমরা যদি আমাদের নেত্রীকে এখানে আমাদের দেশে যদি আমরা ওনার কথামতো চলতে না পারি, উনি যে রূপরেখা দিয়ে থাকেন, সেটা যদি করতে না পারি, তাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং আমার অনুরোধ তোমাদের প্রতি, আজ থেকে আমরা অন্ততপক্ষে, ঠুকঠাক ভুলত্রুটি সবারই থাকতে পারে, আমারও আছে। আমরা সবাইকে নিয়ে বসব, চলার ব্যবস্থা করব।’
মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
গতকালের মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুক উদ্দিন আহমদ আজ মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইন-জেনারেল সবকিছু নিয়ে বলেছি। এরা তো আমার ছোট ভাই, ছেলের সমান। তারারে আমরা ভুলত্রুটি সংশোধন করে না দিলে কে করে দিবে? আর এই সৎসাহস থাকারও দরকার আছে। তারারে সংশোধন না করে ব্যবহার করতাম আর বে সময় (খারাপ সময়) আইলে গাতে (গর্তে) পালাই দিতাম। এ রকম চিন্তাধারা আমার নাই। এরা সবাই ভালো মানুষের, ভালো পরিবারের সন্তান। এ জন্য বলেছি, তাদের বাবা-মায়ের তাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন আছে।’

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘তোমাদের অনেক কথা শুনি। তোমাদেরকে বলার আমাদের সাহস নাই। ইজ্জত থাকবে না আমাদের। অনেক কথা সিলেট শহরে শুনি। সিলেট শহরে হাঁটতে পারি না।’ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি চোরাচালান-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে সিলেট ছাত্রলীগ। আজকের পত্রিকাসহ জাতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে দলের স্থানীয় নেতাদের। পরে হাইকমান্ডকে তাঁরা বিষয়টি অবগত করেন। অসহায় হয়ে চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপও চান তাঁরা। এবার এসব অভিযোগ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ ঝাড়লেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সফরে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন। তাঁদের সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই মতবিনিময় সভা হয়।
ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন তোমাদের হাতে সমজিয়ে দিতে চাই। তোমাদেরকে উপযুক্ত হতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি বোঝাতে পারি না। এইটা আমার ব্যর্থতা। সভাপতি হিসেবে আমি চেষ্টা করি, সবাইকে নিয়ে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ করার জন্য। গ্রুপ গ্রুপ নেতা নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি আমি। সবাই (কেন্দ্রীয় নেতারা) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তোমরা কে কতটুকু বুঝতে পেরেছ জানি না। তবে রাতে বালিশে মাথা রেখে যদি চিন্তা করো বুঝতে পারবে। জাহাঙ্গীর কবির নানক যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা আমাদের সিলেটের জন্য যুগান্তকারী বক্তৃতা। আমাদের চলার পাথেয়।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সামনে কিন্তু খুব সোজা দিন নয়। অন্যরা আমাদের জন্য চুপ করে বসে আছে, কঠিন দিন দেখার জন্য। এই কঠিন দিনকে মোকাবিলা করতে হবে। আমরাও কিন্তু আমাদের সঠিক পথে চললে ভালোভাবে চললে জনগণের আস্থা যদি আমরা অর্জন যদি না করতে পারি, তাহলে এই রাজনীতি আমরা কত দিন করতে পারব আমার মনে হয় না। যা-ই হোক, তোমরা আমার ছোট ভাই। তোমাদের আমি শাসন করতে পারি আর করিও। সুতরাং আমার কথায় কেউ মন খারাপ করার কোনো কারণ নাই। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্যই বলছি।’
মাসুক উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আজ প্রায় ১৬ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনা একা দেশ চালাচ্ছেন। কোনো প্রশ্ন নাই। দেশে-বিদেশে উনি সম্মানিত। এসব দেখলে আমাদের মন বড় হয়ে যায়। আমাদের নেত্রী নিজেই সম্মানিত হন। সুতরাং আমরা যদি আমাদের নেত্রীকে এখানে আমাদের দেশে যদি আমরা ওনার কথামতো চলতে না পারি, উনি যে রূপরেখা দিয়ে থাকেন, সেটা যদি করতে না পারি, তাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং আমার অনুরোধ তোমাদের প্রতি, আজ থেকে আমরা অন্ততপক্ষে, ঠুকঠাক ভুলত্রুটি সবারই থাকতে পারে, আমারও আছে। আমরা সবাইকে নিয়ে বসব, চলার ব্যবস্থা করব।’
মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
গতকালের মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুক উদ্দিন আহমদ আজ মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইন-জেনারেল সবকিছু নিয়ে বলেছি। এরা তো আমার ছোট ভাই, ছেলের সমান। তারারে আমরা ভুলত্রুটি সংশোধন করে না দিলে কে করে দিবে? আর এই সৎসাহস থাকারও দরকার আছে। তারারে সংশোধন না করে ব্যবহার করতাম আর বে সময় (খারাপ সময়) আইলে গাতে (গর্তে) পালাই দিতাম। এ রকম চিন্তাধারা আমার নাই। এরা সবাই ভালো মানুষের, ভালো পরিবারের সন্তান। এ জন্য বলেছি, তাদের বাবা-মায়ের তাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন আছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘তোমাদের অনেক কথা শুনি। তোমাদেরকে বলার আমাদের সাহস নাই। ইজ্জত থাকবে না আমাদের। অনেক কথা সিলেট শহরে শুনি। সিলেট শহরে হাঁটতে পারি না।’ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি চোরাচালান-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে সিলেট ছাত্রলীগ। আজকের পত্রিকাসহ জাতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে দলের স্থানীয় নেতাদের। পরে হাইকমান্ডকে তাঁরা বিষয়টি অবগত করেন। অসহায় হয়ে চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপও চান তাঁরা। এবার এসব অভিযোগ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ ঝাড়লেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সফরে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন। তাঁদের সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই মতবিনিময় সভা হয়।
ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন তোমাদের হাতে সমজিয়ে দিতে চাই। তোমাদেরকে উপযুক্ত হতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি বোঝাতে পারি না। এইটা আমার ব্যর্থতা। সভাপতি হিসেবে আমি চেষ্টা করি, সবাইকে নিয়ে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ করার জন্য। গ্রুপ গ্রুপ নেতা নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি আমি। সবাই (কেন্দ্রীয় নেতারা) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তোমরা কে কতটুকু বুঝতে পেরেছ জানি না। তবে রাতে বালিশে মাথা রেখে যদি চিন্তা করো বুঝতে পারবে। জাহাঙ্গীর কবির নানক যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা আমাদের সিলেটের জন্য যুগান্তকারী বক্তৃতা। আমাদের চলার পাথেয়।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সামনে কিন্তু খুব সোজা দিন নয়। অন্যরা আমাদের জন্য চুপ করে বসে আছে, কঠিন দিন দেখার জন্য। এই কঠিন দিনকে মোকাবিলা করতে হবে। আমরাও কিন্তু আমাদের সঠিক পথে চললে ভালোভাবে চললে জনগণের আস্থা যদি আমরা অর্জন যদি না করতে পারি, তাহলে এই রাজনীতি আমরা কত দিন করতে পারব আমার মনে হয় না। যা-ই হোক, তোমরা আমার ছোট ভাই। তোমাদের আমি শাসন করতে পারি আর করিও। সুতরাং আমার কথায় কেউ মন খারাপ করার কোনো কারণ নাই। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্যই বলছি।’
মাসুক উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আজ প্রায় ১৬ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনা একা দেশ চালাচ্ছেন। কোনো প্রশ্ন নাই। দেশে-বিদেশে উনি সম্মানিত। এসব দেখলে আমাদের মন বড় হয়ে যায়। আমাদের নেত্রী নিজেই সম্মানিত হন। সুতরাং আমরা যদি আমাদের নেত্রীকে এখানে আমাদের দেশে যদি আমরা ওনার কথামতো চলতে না পারি, উনি যে রূপরেখা দিয়ে থাকেন, সেটা যদি করতে না পারি, তাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং আমার অনুরোধ তোমাদের প্রতি, আজ থেকে আমরা অন্ততপক্ষে, ঠুকঠাক ভুলত্রুটি সবারই থাকতে পারে, আমারও আছে। আমরা সবাইকে নিয়ে বসব, চলার ব্যবস্থা করব।’
মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
গতকালের মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুক উদ্দিন আহমদ আজ মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইন-জেনারেল সবকিছু নিয়ে বলেছি। এরা তো আমার ছোট ভাই, ছেলের সমান। তারারে আমরা ভুলত্রুটি সংশোধন করে না দিলে কে করে দিবে? আর এই সৎসাহস থাকারও দরকার আছে। তারারে সংশোধন না করে ব্যবহার করতাম আর বে সময় (খারাপ সময়) আইলে গাতে (গর্তে) পালাই দিতাম। এ রকম চিন্তাধারা আমার নাই। এরা সবাই ভালো মানুষের, ভালো পরিবারের সন্তান। এ জন্য বলেছি, তাদের বাবা-মায়ের তাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন আছে।’

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘তোমাদের অনেক কথা শুনি। তোমাদেরকে বলার আমাদের সাহস নাই। ইজ্জত থাকবে না আমাদের। অনেক কথা সিলেট শহরে শুনি। সিলেট শহরে হাঁটতে পারি না।’ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি চোরাচালান-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে সিলেট ছাত্রলীগ। আজকের পত্রিকাসহ জাতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে দলের স্থানীয় নেতাদের। পরে হাইকমান্ডকে তাঁরা বিষয়টি অবগত করেন। অসহায় হয়ে চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপও চান তাঁরা। এবার এসব অভিযোগ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ ঝাড়লেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সফরে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন। তাঁদের সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই মতবিনিময় সভা হয়।
ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন তোমাদের হাতে সমজিয়ে দিতে চাই। তোমাদেরকে উপযুক্ত হতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি বোঝাতে পারি না। এইটা আমার ব্যর্থতা। সভাপতি হিসেবে আমি চেষ্টা করি, সবাইকে নিয়ে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ করার জন্য। গ্রুপ গ্রুপ নেতা নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি আমি। সবাই (কেন্দ্রীয় নেতারা) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তোমরা কে কতটুকু বুঝতে পেরেছ জানি না। তবে রাতে বালিশে মাথা রেখে যদি চিন্তা করো বুঝতে পারবে। জাহাঙ্গীর কবির নানক যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা আমাদের সিলেটের জন্য যুগান্তকারী বক্তৃতা। আমাদের চলার পাথেয়।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সামনে কিন্তু খুব সোজা দিন নয়। অন্যরা আমাদের জন্য চুপ করে বসে আছে, কঠিন দিন দেখার জন্য। এই কঠিন দিনকে মোকাবিলা করতে হবে। আমরাও কিন্তু আমাদের সঠিক পথে চললে ভালোভাবে চললে জনগণের আস্থা যদি আমরা অর্জন যদি না করতে পারি, তাহলে এই রাজনীতি আমরা কত দিন করতে পারব আমার মনে হয় না। যা-ই হোক, তোমরা আমার ছোট ভাই। তোমাদের আমি শাসন করতে পারি আর করিও। সুতরাং আমার কথায় কেউ মন খারাপ করার কোনো কারণ নাই। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্যই বলছি।’
মাসুক উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আজ প্রায় ১৬ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনা একা দেশ চালাচ্ছেন। কোনো প্রশ্ন নাই। দেশে-বিদেশে উনি সম্মানিত। এসব দেখলে আমাদের মন বড় হয়ে যায়। আমাদের নেত্রী নিজেই সম্মানিত হন। সুতরাং আমরা যদি আমাদের নেত্রীকে এখানে আমাদের দেশে যদি আমরা ওনার কথামতো চলতে না পারি, উনি যে রূপরেখা দিয়ে থাকেন, সেটা যদি করতে না পারি, তাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং আমার অনুরোধ তোমাদের প্রতি, আজ থেকে আমরা অন্ততপক্ষে, ঠুকঠাক ভুলত্রুটি সবারই থাকতে পারে, আমারও আছে। আমরা সবাইকে নিয়ে বসব, চলার ব্যবস্থা করব।’
মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
গতকালের মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুক উদ্দিন আহমদ আজ মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইন-জেনারেল সবকিছু নিয়ে বলেছি। এরা তো আমার ছোট ভাই, ছেলের সমান। তারারে আমরা ভুলত্রুটি সংশোধন করে না দিলে কে করে দিবে? আর এই সৎসাহস থাকারও দরকার আছে। তারারে সংশোধন না করে ব্যবহার করতাম আর বে সময় (খারাপ সময়) আইলে গাতে (গর্তে) পালাই দিতাম। এ রকম চিন্তাধারা আমার নাই। এরা সবাই ভালো মানুষের, ভালো পরিবারের সন্তান। এ জন্য বলেছি, তাদের বাবা-মায়ের তাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন আছে।’

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১১ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন ত
২৫ জুন ২০২৪
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন ত
২৫ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১১ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন ত
২৫ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১১ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন ত
২৫ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১১ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে