মশা-মাছির উপদ্রব কমাতে জঙ্গল সাফের নামে সিসিকের বৃক্ষ নিধন

সিলেট প্রতিনিধি
Thumbnail image

মশা-মাছির উপদ্রব কমাতে জঙ্গল সাফ করার সময় সিলেটের মানিক পীর টিলা কবরস্থানের ৫০ টির মতো গাছ কেটে নিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ (সিসিক)। পরে পরিবেশকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে গাছ কাটা বন্ধ করেন তাঁরা। এ সময় কয়েকটি বড় বড় কাটা গাছ সিটি করপোরেশনের গাড়িযোগে সরিয়ে ফেলা হয়। 

আজ সোমবার থেকে গাছ কাটা বন্ধ করে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত শনিবার দুপুরের দিকে গাছ কাটা শুরু করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় তাঁরা অন্তত ৫০টি গাছ কেটে নেন। টিলার ওপরে গাছ কাটার ফলে মাটি ধসে পড়ার আশঙ্কাও দেখা দেয়। পরে গতকাল রোববার দুপুরে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদ করতে সেখানে যান পরিবেশবিদরা। তাঁদের আন্দোলনের পরে আজ গাছ কাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

স্থানীয়রা জানান, মানিক পীর (রহ.) টিলায় কয়েক বছর আগে হাজারো গাছ ছিল। সেগুলোর বয়স শতবর্ষেরও বেশি। প্রাকৃতিকভাবেই এসব গাছ বেড়ে ওঠে। নতুন করে মাজার কম্পাউন্ড নির্মাণের ফলে এসব এলাকার গাছ কাটা হয়। ওই সময় এলাকার মানুষ প্রতিবাদ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

মানিক পীর টিলা কবরস্থানের এলাকার কাটা গাছের ডালধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘মানিক পীর টিলায় টিকে থাকা সামান্য কিছু বৃক্ষ ও গুল্মকে ‘ছাফছুতরার’ নামে কেটে বিরাণ করতে চেয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন। আমাদের প্রতিবাদকে আমলে নিয়ে বৃক্ষ ও গুল্ম নিধন আপাতত বন্ধ হয়েছে।’ 

মানিক পীর টিলা কবরস্থানের এলাকায় গাছ কাটা হয়সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ মশা-মাছির উপদ্রব থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করতে জঙ্গল সাফ করছিল। এ সময় কয়েকটা গাছ ও ডালপালা কেটে ফেলেন তাঁরা। কিম ভাই আমাকে বিষয়টা জানালে আমি সঙ্গে সঙ্গেই এটার পদক্ষেপ নেই। আর কোনো ডালপালা কাটা হবে না। পূর্বে কাটা গাছের বিপরীতে গাছ লাগানো হয়েছিল। তখন কোনো প্রকার বাউন্ডারি না থাকায় সেগুলো আশপাশ এলাকার ছাগল খেয়ে ফেলে। আগামী এপ্রিলে আমরা এই টিলা জুড়ে বৃক্ষরোপণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। সবাইকে নিয়েই আমরা পরিবেশ রক্ষা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত