হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ৩৯
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ১০

হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত রিংক, কাওসার আহমেদ, সৈয়দা তানজিম সুচী প্রমুখ। এ সময় তাঁরা বলেন, ‘আমাদের আট দফা দাবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। আগামী ৭২ ঘণ্টার ভেতরে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’ 

তাঁরা আরও বলেন, ছয়টি সেশনের জন্য কলেজে মাত্র চারটি ক্লাস রুম রয়েছে। ফলে ক্লাস নিতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। প্রথম সেশনে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা থাকলেও গত সেশনে ১০০ জন ভর্তি করা হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি হলো—প্রতিটি ব্যাচের জন্য পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধাসহ ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করতে হবে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত প্রত্যেকের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে, মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াতব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্য কর্মকর্তাদের সব প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ মর্মে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কর্তৃক নোটিশ প্রদান করতে হবে। মেডিকেল কলেজের প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, মেডিকেল কলেজের সব শিক্ষকের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ওই ভবনের সপ্তম তলায় অপারেশন থিয়েটার, ল্যাবরেটরি, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ও ওটির কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসেরা, ক্যাডেভার ও ক্লিনিক্যাল ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডামি হালনাগাদ করতে হবে। মেডিকেল কলেজের বিগত দুই অর্থবছরের বাজেট শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ করতে হবে, এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের থেকে নামে–বেনামে যত ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফি নেওয়া হয়েছে—তার হিসাব প্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, ধর্মীয় স্বাধীনতায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারীদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক কেবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের কলেজকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। একই বছর শিক্ষার্থী ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদনও পায়। কিন্তু একাডেমিক ভবন নির্ধারণ না হওয়ায় সে বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা নির্ধারণ হলে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজটির যাত্রা শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত