৪ মাসে সেমিস্টার শেষ করার দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ০১
শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সেশনজট দূর করে চার মাসে সেমিস্টার শেষ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ মো. নাসিম এবং শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের পলাশ বখতিয়ার।

উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুল ইসলাম, রিয়াজ হোসেন, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সরকার জীবন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সুস্মিতা ভট্টাচার্য প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত জুন মাসে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানামুখী সংকটের কারণে ক্লাস-পরীক্ষায় বসার সুযোগ হয়নি। এতে আমাদের প্রায় পুরো এক সেমিস্টার সেশনজটের সংকট তৈরি হয়েছে। তাতে কাঙ্ক্ষিত সময়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বের হতে পারব না।’ এ সময় সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো–শাবিপ্রবিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের করে এনে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা, সেশনজট কমিয়ে আনার জন্য আগামী ৩ সেমিস্টার ৪ মাস করে সময়ে শেষ করা, আন্দোলনে হামলার সঙ্গে জড়িত এবং হলে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা এবং পোষ্য কোটা বাতিল করা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে উন্মুক্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ নাসিম বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে আমাদের এক বছর দুই মাস সময় নষ্ট হয়েছে। ভিসিবিরোধী আন্দোলনের কারণে দুই মাস সময় নষ্ট হয়েছে। ২০২২ এ বন্যার কারণে দুই মাস সময় নষ্ট হয়েছে ও সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে শাবিপ্রবিতে চতুর্মুখী আন্দোলনের ফলে প্রায় ৫ মাস সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ফলে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আগামী এক বছরের মধ্যে ৪ মাস করে সেমিস্টার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকটের সমাধান করা।’ শেষে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর জমা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবিই যৌক্তিক। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নীতিগতভাবে একমত। যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে শিগগিরই কাজ শুরু করার কথা আছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত