শাবিপ্রবিতে শিবিরকে ফাঁসাতে শিক্ষার্থীকে ছাত্রদলকর্মীর ছুরিকাঘাত, পরে চাইলেন ক্ষমা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৪৬
Thumbnail image
ছাত্রদলকর্মীর ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রদলের এক কর্মী আরেক কক্ষে গিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ছুরি মারার চেষ্টা করেন। গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ৪৩৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি তাঁদের ছাত্রশিবিরের নেতা বলে আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে লেখেন, তাঁরা তাঁকে আটকে রেখে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। কিন্তু পরে শিবিরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানোর জন্য এই কাজ করেছেন উল্লেখ করে এ জন্য ক্ষমা চান।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শেখ ফাকাব্বির সিন সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। ৪৩৬ নম্বর কক্ষে গিয়ে কথা বলার সময় শিক্ষার্থী আমিরুলকে চাকু দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন। আমিরুল কৌশলে কক্ষ থেকে বের হয়ে অভিযুক্তকে আটকে রেখে প্রক্টরকে জানান।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেখ ফাকাব্বির সিন ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন যে, শিবিরের নেতারা তাঁকে আটকে রেখে কুপিয়েছেন। তবে পরে সেই পোস্টটি মিথ্যা বলে ক্ষমা প্রার্থনা করে আরেকটি পোস্ট দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকেরা ঘটনাটি তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন।

শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন বলেন, ‘এটি শিবিরকে হেয় করার উদ্দেশ্যে একটি ষড়যন্ত্র। আমরা তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শেখ ফাকাব্বির সিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী নেতা এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম সরকারের সমর্থক হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এ বিষয়ে নাঈম সরকার গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। আমি জানি না, তাকে কে মারল।’

শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা সঠিক সময়ে অ্যাড্রেস করেছি। নয়তো বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিত, যেটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারত। আমরা সকলেই চাই তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

ছাত্রদলকর্মীর ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্রদলকর্মীর ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। সে শিবিরের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল, সেটি সে তুলে নিয়েছে। বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি সুপারিশ করা হয়েছে।’

ছাত্রদলকর্মীর হাতে থাকা ছুরি। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্রদলকর্মীর হাতে থাকা ছুরি। ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত