ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘উকিল বাবা’খ্যাত সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলমসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আপন ভাতিজাসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন ভিসি। আর পিএস সালাহ উদ্দিনের তিন আত্মীয় নিয়োগ পেয়েছেন।
ভিসির এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুক, সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামা, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরু, শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকার ও অশোক বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় তাঁরা প্রত্যেকেই স্বজনদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকাকালে প্রথম স্ত্রীর ভাই আমিন মো. জেবিন শাহপরান (রহ.) হলের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে এবং ভাগনে মো. আব্দুর রকিব রাব্বুর তথ্য গোপন করে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেন তিনি। এবারের নিয়োগেও এমনটা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি মতিয়ার রহমান হাওলাদার। কিন্তু ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে ভিসি হিসেবে যোগ দেন জামাল উদ্দিন। এরপর আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে একাধিক বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে ভিসির আপন ভাতিজা আরাফাত ভূঞা, আত্মীয় রমজান ভুইয়া, মো. শাহ আলম, মো. আব্দুল কাজল মুন্সি, মানিকুর রহমান, মো. এনায়েতুল্লাহ, হাসিন রায়হান ফাহিম নিয়োগ পান। এ ছাড়া অতিথি ভবনের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পান বর্তমান স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম।
আত্মীয় নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘কোন মানুষের বাড়ি কোথায়, কার কী লাগে, এটা চাইলেই যাচাই করা যায়। এটা দেখলেই বুঝবেন যে এটা সঠিক নয়। হ্যাঁ, আমার ভাতিজা আছে একজন। সে আমার নিকটাত্মীয়। আপন ভাতিজা। সে কম্পিউটার অপারেটর পদে আছে।’
উকিল বাবা, পালকপুত্রের আত্মীয়রা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময় শিক্ষার্থী ছিলেন ভিসির পিএস সালাহ উদ্দিন। নিজেকে ভিসির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করেন তিনি। সালাহ উদ্দিনকে নিজের পালকপুত্রও বলে থাকেন ভিসি। কথিত এই পালকপুত্রের তিন আত্মীয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে মো. আবুল হাসেম ও মো. আবুল খায়ের এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সামছুজ্জামান। জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতায় আমার ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে চাকরি পেয়েছে। সামছুজ্জামান শ্বশুরবাড়ি এলাকার আত্মীয়।’
ভিসির দ্বিতীয় বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলম। তিনিও ভিসির ঘনিষ্ঠ। এবারের নিয়োগে তাঁর সুপারিশে আব্দুর রহিম নামের একজন সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে খোরশেদ আলমের দাবি, ‘আমার আপন বোন আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় টেকে নাই। এত ক্ষমতা থাকলে বোনের চাকরি হলো না কেন? আব্দুর রহিম নামের কাউকে চিনি না।’
সিন্ডিকেটে আছেন তাঁরাও
এ ছাড়া কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুকের মেয়ে মোছা. তাহেরা আক্তার মিলিকে অফিস সহায়ক পদে, সার্টিফিকেট জালিয়াতি (বয়স টেম্পারিং) করে পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামার বোন অর্পনা কুমারী বুক সর্টার পদে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরুর স্ত্রী মোছা. শাহনাজকে সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নীরুর মাধ্যমে আরও দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। এই সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও বয়স টেম্পারিংয়ের ব্যাপারে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ হলো, তারপরে আমার কাছে এই তথ্যটা বলা হইছে যে ও বয়স লুকাইছে। এখন ওই পরিস্থিতিতেও যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ দিছে, আমার স্থগিত রাখার সুযোগ নাই।’
এ ছাড়া শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের আত্মীয় জামাল হোসেন ইলেকট্রিশিয়ান পদে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকারের শ্যালক জয় দাস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অশোক বিশ্বাসের শ্যালিকা স্মিতা দে মমিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ভাগ আছে ছাত্রলীগেরও
অফিস সহায়ক পদে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল ইসলামের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বিশ্বজিৎ দেব এবং সহকারী বাবুর্চি পদে মো. মোবারক আলী নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এই দুই নেতাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনের যোগ্যতা থাকলে কি চাকরি পাবে না? কোনো অনিয়ম হয়নি, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে।’
আর এমাদুল হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ তো প্রশাসনের ব্যাপার। এই দুজনকে আমি চিনিও না।’
এসব নিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, নিজের লোকদের নিয়োগ দিতেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেন ভিসি। তাঁর যোগদানের পরপরই নিয়োগপ্রক্রিয়া সামনে রেখে একটি নিয়োগ-বাণিজ্যের সিন্ডিকেট তৈরি হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে উপাচার্যের বাংলোতে বসে রাতভর খাতা দেখেন তাঁরা। তাঁরাই মেরিট লিস্ট তৈরি করেন। সে অনুযায়ী ভোর ৫টায় খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের জানানো হয় সকাল ১০টায় ব্যবহারিক পরীক্ষা। মূলত পছন্দের প্রার্থীরা ছাড়া যাতে অন্যরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য অসময়ে খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। আসলে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই তালিকা আগেই চূড়ান্ত ছিল।
এই নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়। এমনটা হওয়া দুঃখজনক। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘উকিল বাবা’খ্যাত সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলমসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আপন ভাতিজাসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন ভিসি। আর পিএস সালাহ উদ্দিনের তিন আত্মীয় নিয়োগ পেয়েছেন।
ভিসির এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুক, সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামা, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরু, শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকার ও অশোক বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় তাঁরা প্রত্যেকেই স্বজনদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকাকালে প্রথম স্ত্রীর ভাই আমিন মো. জেবিন শাহপরান (রহ.) হলের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে এবং ভাগনে মো. আব্দুর রকিব রাব্বুর তথ্য গোপন করে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেন তিনি। এবারের নিয়োগেও এমনটা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি মতিয়ার রহমান হাওলাদার। কিন্তু ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে ভিসি হিসেবে যোগ দেন জামাল উদ্দিন। এরপর আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে একাধিক বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে ভিসির আপন ভাতিজা আরাফাত ভূঞা, আত্মীয় রমজান ভুইয়া, মো. শাহ আলম, মো. আব্দুল কাজল মুন্সি, মানিকুর রহমান, মো. এনায়েতুল্লাহ, হাসিন রায়হান ফাহিম নিয়োগ পান। এ ছাড়া অতিথি ভবনের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পান বর্তমান স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম।
আত্মীয় নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘কোন মানুষের বাড়ি কোথায়, কার কী লাগে, এটা চাইলেই যাচাই করা যায়। এটা দেখলেই বুঝবেন যে এটা সঠিক নয়। হ্যাঁ, আমার ভাতিজা আছে একজন। সে আমার নিকটাত্মীয়। আপন ভাতিজা। সে কম্পিউটার অপারেটর পদে আছে।’
উকিল বাবা, পালকপুত্রের আত্মীয়রা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময় শিক্ষার্থী ছিলেন ভিসির পিএস সালাহ উদ্দিন। নিজেকে ভিসির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করেন তিনি। সালাহ উদ্দিনকে নিজের পালকপুত্রও বলে থাকেন ভিসি। কথিত এই পালকপুত্রের তিন আত্মীয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে মো. আবুল হাসেম ও মো. আবুল খায়ের এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সামছুজ্জামান। জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতায় আমার ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে চাকরি পেয়েছে। সামছুজ্জামান শ্বশুরবাড়ি এলাকার আত্মীয়।’
ভিসির দ্বিতীয় বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলম। তিনিও ভিসির ঘনিষ্ঠ। এবারের নিয়োগে তাঁর সুপারিশে আব্দুর রহিম নামের একজন সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে খোরশেদ আলমের দাবি, ‘আমার আপন বোন আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় টেকে নাই। এত ক্ষমতা থাকলে বোনের চাকরি হলো না কেন? আব্দুর রহিম নামের কাউকে চিনি না।’
সিন্ডিকেটে আছেন তাঁরাও
এ ছাড়া কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুকের মেয়ে মোছা. তাহেরা আক্তার মিলিকে অফিস সহায়ক পদে, সার্টিফিকেট জালিয়াতি (বয়স টেম্পারিং) করে পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামার বোন অর্পনা কুমারী বুক সর্টার পদে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরুর স্ত্রী মোছা. শাহনাজকে সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নীরুর মাধ্যমে আরও দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। এই সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও বয়স টেম্পারিংয়ের ব্যাপারে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ হলো, তারপরে আমার কাছে এই তথ্যটা বলা হইছে যে ও বয়স লুকাইছে। এখন ওই পরিস্থিতিতেও যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ দিছে, আমার স্থগিত রাখার সুযোগ নাই।’
এ ছাড়া শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের আত্মীয় জামাল হোসেন ইলেকট্রিশিয়ান পদে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকারের শ্যালক জয় দাস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অশোক বিশ্বাসের শ্যালিকা স্মিতা দে মমিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ভাগ আছে ছাত্রলীগেরও
অফিস সহায়ক পদে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল ইসলামের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বিশ্বজিৎ দেব এবং সহকারী বাবুর্চি পদে মো. মোবারক আলী নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এই দুই নেতাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনের যোগ্যতা থাকলে কি চাকরি পাবে না? কোনো অনিয়ম হয়নি, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে।’
আর এমাদুল হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ তো প্রশাসনের ব্যাপার। এই দুজনকে আমি চিনিও না।’
এসব নিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, নিজের লোকদের নিয়োগ দিতেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেন ভিসি। তাঁর যোগদানের পরপরই নিয়োগপ্রক্রিয়া সামনে রেখে একটি নিয়োগ-বাণিজ্যের সিন্ডিকেট তৈরি হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে উপাচার্যের বাংলোতে বসে রাতভর খাতা দেখেন তাঁরা। তাঁরাই মেরিট লিস্ট তৈরি করেন। সে অনুযায়ী ভোর ৫টায় খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের জানানো হয় সকাল ১০টায় ব্যবহারিক পরীক্ষা। মূলত পছন্দের প্রার্থীরা ছাড়া যাতে অন্যরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য অসময়ে খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। আসলে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই তালিকা আগেই চূড়ান্ত ছিল।
এই নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়। এমনটা হওয়া দুঃখজনক। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
৪ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
৮ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেনওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষিসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে