কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সৌদিফেরত গৃহবধূকে হত্যা করে রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় হাজির হন স্বামী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। ওই যুবকের অভিযোগ—তাঁর স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মা-বাবাসহ ওই যুবক থানা হেফাজতে রয়েছেন।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম শিল্পী বেগম (২৩)। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া রোডের মুক্তার মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী নাম সফর আলী (৩০)। সফর আলী বাঘমারা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে। এই দম্পতির এক ছেলেসন্তান রয়েছে।
অভিযুক্ত সফর আলীর মা ও স্বজনেরা জানান, সফর আলী পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। নারায়ণগঞ্জ শহরে থেকে কাজ করেন। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রেম করে বিয়ে করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া রোডের মুক্তার মিয়ার মেয়ে শিল্পী বেগমকে। তাঁদের সংসারে সোহাগ নামের পাঁচ বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে। পাঁচ মাস ধরে স্ত্রী শিল্পীর সঙ্গে নানা বিষয়ে বনিবনা হচ্ছিল না সফর আলীর। এ অবস্থায় রোজা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে হেলাল নামের এক দালালের সহযোগিতায় এজেন্সির মাধ্যমে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবে যান শিল্পী। হেলালের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
এদিকে বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে দেশে ফিরে আনতে ওই দালালকে চাপ দিচ্ছিলেন সফর আলী। স্বামীর চাপে দালাল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিটের টাকা পরিশোধ করে শিল্পী আক্তারকে দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।
গতকাল শনিবার দেশে ফিরে আজ সকালে স্বামীর বাড়িতে ওঠেন শিল্পী। স্বামীর বাড়িতে ওঠার পর স্বামী সফর আলী জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি শোনার পরই পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোলেমান হোসেনের কাছে যান সফর আলী। তিনি অভিযোগ শুনে সফর আলীকে তাঁর নিজ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের কাছে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের কাছে যাননি সফর আলী।
সফর আলীর মা সরুফা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাড়ি ফেরার পথে অন্য এক সালিস বিচারকের কাছে গেলে তিনি সফর আলীকে বলেন, বউ কথা না শুনলে, জবাই করি দে। তারপর বাড়ি ফিরেই বউকে মারধর করে ছেলে।’
তবে ওই সালিস বিচারকের নাম বলেননি সফরের মা সরুফা বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহত শিল্পীর গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলা কেটে হত্যার আগে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।
নিহত শিল্পীর ছোট বোন স্বপ্না বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আপা ফোনে নির্যাতনের কথা জানায়। এরপরই খবর আসে তাঁকে খুন করা হয়েছে।’
এদিকে থানায় পুলিশকে স্ত্রী হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা জানিয়ে, দালাল হেলালের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন দাবি করেন সফর। আর এ কারণে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে জানান তিনি।
পরে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আনিসুর রহমানও ঘটনাস্থলে যান।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ শিল্পীকে গলা কেটে হত্যা করা হলেও তার শরীরে আঘাত রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সফর আলীর বাবা কদ্দুস মিয়া ও মা সরুফা বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সৌদিফেরত গৃহবধূকে হত্যা করে রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় হাজির হন স্বামী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। ওই যুবকের অভিযোগ—তাঁর স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মা-বাবাসহ ওই যুবক থানা হেফাজতে রয়েছেন।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম শিল্পী বেগম (২৩)। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া রোডের মুক্তার মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী নাম সফর আলী (৩০)। সফর আলী বাঘমারা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে। এই দম্পতির এক ছেলেসন্তান রয়েছে।
অভিযুক্ত সফর আলীর মা ও স্বজনেরা জানান, সফর আলী পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। নারায়ণগঞ্জ শহরে থেকে কাজ করেন। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রেম করে বিয়ে করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া রোডের মুক্তার মিয়ার মেয়ে শিল্পী বেগমকে। তাঁদের সংসারে সোহাগ নামের পাঁচ বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে। পাঁচ মাস ধরে স্ত্রী শিল্পীর সঙ্গে নানা বিষয়ে বনিবনা হচ্ছিল না সফর আলীর। এ অবস্থায় রোজা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে হেলাল নামের এক দালালের সহযোগিতায় এজেন্সির মাধ্যমে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবে যান শিল্পী। হেলালের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
এদিকে বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে দেশে ফিরে আনতে ওই দালালকে চাপ দিচ্ছিলেন সফর আলী। স্বামীর চাপে দালাল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিটের টাকা পরিশোধ করে শিল্পী আক্তারকে দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।
গতকাল শনিবার দেশে ফিরে আজ সকালে স্বামীর বাড়িতে ওঠেন শিল্পী। স্বামীর বাড়িতে ওঠার পর স্বামী সফর আলী জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি শোনার পরই পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোলেমান হোসেনের কাছে যান সফর আলী। তিনি অভিযোগ শুনে সফর আলীকে তাঁর নিজ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের কাছে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের কাছে যাননি সফর আলী।
সফর আলীর মা সরুফা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাড়ি ফেরার পথে অন্য এক সালিস বিচারকের কাছে গেলে তিনি সফর আলীকে বলেন, বউ কথা না শুনলে, জবাই করি দে। তারপর বাড়ি ফিরেই বউকে মারধর করে ছেলে।’
তবে ওই সালিস বিচারকের নাম বলেননি সফরের মা সরুফা বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহত শিল্পীর গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলা কেটে হত্যার আগে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।
নিহত শিল্পীর ছোট বোন স্বপ্না বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আপা ফোনে নির্যাতনের কথা জানায়। এরপরই খবর আসে তাঁকে খুন করা হয়েছে।’
এদিকে থানায় পুলিশকে স্ত্রী হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা জানিয়ে, দালাল হেলালের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন দাবি করেন সফর। আর এ কারণে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে জানান তিনি।
পরে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আনিসুর রহমানও ঘটনাস্থলে যান।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ শিল্পীকে গলা কেটে হত্যা করা হলেও তার শরীরে আঘাত রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সফর আলীর বাবা কদ্দুস মিয়া ও মা সরুফা বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার ভাই আওয়ামী লীগের নেতা বিদ্যুৎ বড়ুয়া থাকতেন চট্টগ্রাম নগরের খুলশী আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের সাইফভ্যালি ভবনের একটি ফ্ল্যাটে। সরকার পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সংস্কারকাজে অনিয়ম নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নগর ভবনের প্রকৌশল শাখায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযানে ছিলেন অন্য সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সিদ্দিক এবং
৫ ঘণ্টা আগেসদস্যদের ভোটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা শিবিরের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সেক্রেটারি এসএম ফরহাদ। পরে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শাখা সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনয়নের জন্য সদস্যদের থেকে লিখিত পরামর্শ গ্রহণ করেন। সেই পরামর্শের ভিত্তিতে মহিউদ্দিন খানকে
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগে