Ajker Patrika

সিলেটে ১৪ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে ১৪ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটে অবৈধভাবে আসা ভারতীয় চিনি বোঝাই ১৪টি ট্রাক জব্দের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ্ উদ্দিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ। 

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে; আসামির সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। বিআরটিএ থেকে জব্দ করা যানবাহনগুলোর মালিকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তের পর মামলায় আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একটু সময় লাগবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে। আগামী রোববারের মধ্যেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ 

পুলিশ জানায়, জব্দ করা ১৪টি ট্রাকে ২ হাজার ১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি ছিল; যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৬৯ লাখ ১২ হাজার টাকা। ১৪টি ট্রাকে অন্তত ২৮ জন এবং মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার মিলিয়ে ৩৫ জন চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

তবে ১৪টি ট্রাক চিনি চোরাচালানের সঙ্গে সিলেট মহানগর যুবলীগের এক নেতা জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে। চিনির চালানের সঙ্গে জব্দ করা প্রাইভেট কারটিও যুবলীগ নেতার। যুবলীগের ওই নেতা চিনি বোঝাই ট্রাক পরিবহনের দায়িত্বে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার উমাইরগাঁও এলাকার ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা চিনি বোঝাই ১৪টি ট্রাক জব্দ করা হয়। 

এ সময় একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান চোরাকারবারিরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ফাঁড়িপথে উমাইরগাঁও এলাকা দিয়ে চিনির চালানটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। 

যুবলীগ নেতা জড়িতের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তির মোবাইল ফোনে কলা দেওয়া হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুবলীগ অনেক বড় সংগঠন। পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত করছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

নওগাঁর রাণীনগর: বস্তায় আদা চাষে ‘দুর্নীতির প্রদর্শনী’

মো.সাহাজুল ইসলাম, রাণীনগর (নওগাঁ)
আদাগাছ পরিচর্যা করছেন এক কৃষক। গতকাল নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আদাগাছ পরিচর্যা করছেন এক কৃষক। গতকাল নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বস্তায় আদা চাষ প্রদর্শনীতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কেউ বলছেন তালিকায় নাম থাকলেও প্রদর্শনী পাননি, কেউ বলছেন বরাদ্দ অনুযায়ী প্রদর্শনীর উপকরণ পাননি, আবার কেউ বলছেন কৃষি অফিস থেকে সরবরাহ করা আদাবীজের গাছই ওঠেনি। এতে সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে পতিত জমিতে অনাবাদি প্রকল্পের আওতায় এই উপজেলায় ২২টি প্রদর্শনী হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনাবাদি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের ২১ মার্চ একযোগে ২২ জন কৃষককে প্রতি প্রদর্শনীর জন্য ৩০টি খালি বস্তা, আড়াই কেজি আদাবীজ, ৬ কেজি ডিএপি, ৬ কেজি পটাশ সার, ১০ কেজি জিপসাম, ২৫ কেজি জৈব সার এবং একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।

কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হলো দেশে আদার চাহিদা পূরণ করে আমদানিনির্ভরতা কমানো, বস্তায় আদা চাষের পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে তুলে ধরা এবং কম খরচে পতিত জমিতে বেশি লাভজনক আদা চাষ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। তবে মাঠপর্যায়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রকল্পের সুফল নিয়ে শঙ্কার কথা বলছেন কৃষকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি অফিস থেকে সরবরাহ করা ২২ জন প্রদর্শনী কৃষকের তালিকায় প্রথমে রয়েছেন একডালা ইউনিয়নের জলকৈ গ্রামের মৃত জসমত আলীর ছেলে মনজুর রহমান। কিন্তু তিনি বলেন, ‘আমার নামে যে প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে, তা আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে জানতে পারলাম। অফিস থেকে আমাকে এরকম কোনো প্রদর্শনী দেওয়া হয়নি বা বলাও হয়নি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানাও নেই।’ এ নিয়ে প্রদর্শনীর দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা ব্লক সুপারভাইজার আফাজ উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

জানতে চাইলে একডালা গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, ‘অফিস থেকে দেওয়া আদাবীজ থেকে গাছ ওঠেনি। তাই নতুন করে বাজার থেকে আদাবীজ কিনে রোপণ করতে হয়েছে।’ গহেলাপুর মানিকহার গ্রামের কৃষক অঞ্জনা রানী বলেন, অফিস থেকে তাঁকে ৩০টি খালি বস্তা, ২ কেজি ডিএপি, ২ কেজি পটাশ সার, ২ কেজি আদা, আধা বস্তা জৈব সার ও একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু পাননি। একই কথা বলেন ওই গ্রামের কৃষক অনন্ত সরকার।

রাণীনগর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকার কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কৃষকেরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই কৃষি অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাকিমা খাতুন অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বরাদ্দ অনুযায়ী সব উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। তবে তালিকায় নাম থাকলেও প্রদর্শনী না পাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

২৬ টুকরা আশরাফুলের ফোন ধরতেন মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজ, বলতেন ‘ব্যস্ত আছে’

শিপুল ইসলাম, রংপুর 
আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত
আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত

তিন দিন আগে অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখে প্রবাসী বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকা যান কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক। এর পর থেকে স্ত্রী লাকী বেগম আশরাফুলকে ফোন করলে তাঁর বন্ধু জরেজ ফোন রিসিভ করতেন। আশরাফুলের খোঁজ করলে তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছেন বলে জানাতেন। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ভাইয়ের সঙ্গে বদরগঞ্জ থানায় যান লাকী বেগম। সেখানে জানতে পারেন, ঢাকায় স্বামী আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বারবার মূর্ছা যান।

আশরাফুল হকের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার হাইকোর্ট এলাকায় নীল রঙের ড্রামের ভেতরে আশরাফুলের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

খুন হওয়া আশরাফুল হকের শ্যালক আব্দুল মজিদ বদরগঞ্জ থানার সামনে জানান, আশরাফুল তাঁর বাবাকে রংপুরে একটি হাসপাতালে রেখে মঙ্গলবার মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় যান। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় আশরাফুল তাঁর স্ত্রী লাকী বেগমের সঙ্গে শেষ কথা বলেন। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। তাই তাঁরা আজ বিকেলে বদরগঞ্জ থানায় জিডি করতে আসেন। এখানে এসে জানতে পারেন, আশরাফুল হককে ঢাকায় খুন করা হয়।

আব্দুল মজিদ বলেন, ‘গতকাল বিকেলে আমার বোনের সঙ্গে কথা হয় আশরাফুলের। তখন তিনি বলেছেন, ‘‘বাবা হাসপাতালে, রিলিজ দেবে, টাকাপয়সা দিছি। বাবাক নিয়া আইসো।’’ এটাই শেষ কথা। এরপর থাকি আশরাফুলকে কল দিলে তাঁর বন্ধু জরেজ ধরে, আর বলে, “আশরাফুল ব্যস্ত আছে, কালেকশনে গেছে।”’

আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আজ দুপুরে ফোন দিলে ফের জরেজ ফোন ধরে। কিন্তু আশরাফুলকে দেয় না। এ জন্য বোন জরেজের স্ত্রীর কাছে যান। জরেজের স্ত্রী তাঁকে ফোন দিলে আশরাফুলের ফোন ধরে না কেন জানতে চাইলে জরেজ বলে, আশরাফুলের ফোন ড্রেনে কুড়ায় পাইছে। এরপর বোনসহ থানায় আসি। এসে শুনি তাঁকে খুন করছে। তাঁর লাশ উদ্ধার হইছে ঢাকায়। এ কথা শোনার পর আমার বোন তো পাগল হয়ে গেছে। আমরা হত্যাকারীর বিচার চাই।’

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘নিহত আশরাফুল হকের স্ত্রী ও স্বজনেরা থানায় এসেছিল। তাদের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন প্রকার তথ্য নিয়েছি। সেগুলো দিয়ে ওসি রমনা, শাহবাগকে সহযোগিতা করছি। এ ঘটনায় ঢাকাতে মামলা হচ্ছে। নিহতের পরিবার সেখানে যাচ্ছে।’

আশরাফুল হক হিলি থেকে কাঁচামাল কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি বিক্রি করতেন। তাঁর বন্ধু জরেজ মিয়া শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তিনি মালয়েশিয়া ছিলেন। দেশে আশার পর আশরাফুল হকের সঙ্গে ঘুরতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

বিচারকের ছেলেকে হত্যা: চাকরি যাওয়ায় নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বিএনপি নেতার ছেলে লিমন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি
লিমন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
লিমন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমানের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীর (৪৪) খোঁজে তাঁর মেয়ের বাসায় সিলেটেও গিয়েছিলেন লিমন মিয়া (৩৫)। আবদুর রহমানের মেয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থী। নগরের নয়াবাজার খাদরা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তখন তাসমিন নাহার লুসী মেয়ের বাসায় ছিলেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) একজন পুলিশ পরিদর্শক জানান, ৫ নভেম্বর রাতে লিমন বিচারকের মেয়ের বাসায় গিয়ে ঝামেলার চেষ্টা করেন এবং মা-মেয়েকে চরম বিরক্ত করেন। পরে শাবি শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সদস্যরা পুলিশে খবর দেন। শাবির প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা লিমনকে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেন। বিচারকের স্ত্রী-মেয়ের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি এবং বিচারককেও জানাতে দেননি মা-মেয়ে। পরে পুলিশ লিমনকে এসএমপি আইনের ৮৯ ধারায় চালান করে। পরদিন লিমনের পরিবারের সদস্যরা সিলেটে গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লিমন নিজেকে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য বলে পরিচয় দেন।

আজকের পত্রিকাকে শাবির প্রক্টর মো. মুখলেসুর রহমান বলেন, ‌৫ নভেম্বর রাতের ঘটনা। তখনই লিমনকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। বাকি কার্যক্রমের বিষয়ে পুলিশ বলতে পারবে।

জিডির তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই প্রণব রায় বলেন, ‘জিডির আগে লিমন তাসমিন নাহার লুসী ও তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছিল। ওই দিন আমি ডিউটিতে ছিলাম। পরে আমরা তাকে ধরে কোর্টে চালান করি। পরদিন ম্যাডাম জিডি করেন। লিমন কখন কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে রাজশাহী গেছে, আমরা তা জানি না।’

জানা গেছে, লিমনের বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায়। লিমনের প্রতিবেশী রাজু মিয়া বলেন, সাবেক ইউপি মেম্বার এ এইচ এম সলেমান শহীদের তৃতীয় ছেলে লিমন (৩২)। সলেমান শহীদ ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। লিমন সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করতেন। ১০ বছর আগে চাকরি চলে যায়। এর পর থেকে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন লিমন। সেই বউও চলে যায়।

আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমানের বাসায় ঢুকে তাঁর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেন লিমন। বেলা ৩টার দিকে নগরের ডাবতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্পার্ক ভিউ নামের দশতলা ভবনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন বিচারক। এ সময় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীও আহত হন। হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হয়েছেন। তাঁরা দুজনই রাজশাহী হাসপাতালে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

ফের বিমানবন্দরে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
ফের বিমানবন্দরে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন প্রবেশগেট ও সেন্টার পয়েন্ট ইউনিমাট মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্ফোরণের স্থানের আশপাশে জর্দার স্টিলের কৌটা ও তারকাঁটা পড়ে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ জনতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের বিআরটি উড়ালসেতুর ওপর দিয়ে উত্তরার দিকে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে ট্রাক থেকে তিনটি ককটেল বিমানবন্দরের গেটে মেরে চলে যায়।

কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার শ্যালক কক্সবাজার থেকে বিমানবন্দরে আসছে। সে সৌদি যাবে। তাকে বিদায় দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে এসেছিলাম।’

আনোয়ার আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আমি ভাপা পিঠা খাচ্ছিলাম। হটাৎ করে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ হলো। আর ককটেলের ভেতরে থাকা তারকাঁটা এসে আমার হাত ও পায়ে লাগে।’

ককটেল বিস্ফোরণের সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন এপিসি চন্দ্র শেখর মণ্ডল। তিনি বলেন, হঠাৎ করে উড়ালসেতুর ওপর থেকে তিনটি ককটেল মেরে কে বা কারা যেন পালিয়ে গেছে। এতে কেউ আহত হননি।

এ বিষয়ে ডিএমপির বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আক্তার বলেন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য পটকা ফোটানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন শাহজালালে প্রবেশপথের মূল গেটে গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে মোহাম্মদ মুজাহিদ (২৫) নামের এক আনসার সদস্য আহত হয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

News Hub