শাবিপ্রবির সেই শিক্ষকের নিয়োগ তদন্তে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২০: ৪৮
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ৩৩

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ‘তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

কমিটির দুই সদস্যরা হলেন—শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ। 

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচজন আবেদন করেন। ভাইভা দেন চারজন। তাঁদের মধ্যে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ ৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ ১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের। 

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ ৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. তাজবিউল ইসলামকে। 

ওই শিক্ষকের নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে চলতি বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবিপ্রবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবিপ্রবির শিক্ষক’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে পিএমই বিভাগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ২২ আগস্ট প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার পদত্যাগ করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত