বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
গৌরীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামের মসজিদের এক কোণে স্কুল ভবনের অবকাঠামো। ইংরেজি এল অক্ষরের মতো এক রুমের পুরোনো ছোট্ট একটি স্কুল ঘর। এই একটি ঘরেই পাঠদান করানো হয় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দু’দিকে হাওর। হাওরের মাঝখানে গ্রামটির নাম গৌরীপুর। এই গ্রামের মানুষ বছরের প্রায় ৭-৮ মাস পানিবন্দী থাকেন। হাওরের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলছে তাঁদের জীবনসংগ্রাম। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরবর্তী এই গ্রামের সঙ্গে নেই যোগাযোগ ব্যবস্থা। নৌকা বা পায়ের ওপরই ভরসা করতে হয়। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে আর বর্ষায় নৌকায় চলাচল করেন এ গ্রামের লোকজন। লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ঝরে পড়ছে গ্রামের কোমলমতি শিশুরা।
গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভবন নির্মাণের জন্য গ্রামের লোকজন কয়েক বছর আগে ১ একর ৫ শতক ভূমি স্কুলের নামে দান করে দেন। ২০১৬-১৭ সালে স্কুলের জন্য একটি ভবন বরাদ্দ দেওয়া হলে গ্রামবাসীর দান করা ভূমিতে মাটি কেটে ভিটা তৈরি করা হয়। এরপর আর স্কুলের ভবন নির্মিত হয়নি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, স্কুলের ভবন বরাদ্দ দেওয়ার খবর শুনে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম। কিন্তু ভিটা তৈরির পর আর ভবন নির্মাণ হয়নি। এই এলাকার কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্কুলের একটি ভবন বরাদ্দ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিমী সেন বলেন, ২০১৭ সালে আমি এই স্কুলে যোগদান করি। চারজন শিক্ষকের পদ থাকলেও দুটি পদ শূন্য। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। আমাকে একাই সবকিছু সামাল দিতে হচ্ছে। এক রুমের এই স্কুলে বাচ্চাদের পাঠদান করাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বেঞ্চ-টেবিল নেই বললেই চলে। রোদ-বৃষ্টিতে বাচ্চাদের বাইরে বসিয়ে রাখতে হয়। এক-এক শ্রেণি করে গাদাগাদি করে বসিয়ে পাঠদান করাতে হয়। প্রতি ক্লাস আধা ঘণ্টা করে নিয়ে অন্য একটি ক্লাস শুরু করতে হয়। নেই অফিস রুম। বেঞ্চে বসে অফিসের কাজ করতে হয়।
বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকীব ভূঁইয়া বলেন, তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৩) আওতায় স্কুল ভবন নির্মাণের কথা ছিল। মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করার পর ওই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভবন নির্মাণ হয়নি। পিইডিপি-৪ এর আওতায় ভবন নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস আর এম জি কিবরিয়া বলেন, নিচতলা ফাঁকা রেখে নতুন ডিজাইনে ভবন অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
গৌরীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামের মসজিদের এক কোণে স্কুল ভবনের অবকাঠামো। ইংরেজি এল অক্ষরের মতো এক রুমের পুরোনো ছোট্ট একটি স্কুল ঘর। এই একটি ঘরেই পাঠদান করানো হয় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দু’দিকে হাওর। হাওরের মাঝখানে গ্রামটির নাম গৌরীপুর। এই গ্রামের মানুষ বছরের প্রায় ৭-৮ মাস পানিবন্দী থাকেন। হাওরের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলছে তাঁদের জীবনসংগ্রাম। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরবর্তী এই গ্রামের সঙ্গে নেই যোগাযোগ ব্যবস্থা। নৌকা বা পায়ের ওপরই ভরসা করতে হয়। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে আর বর্ষায় নৌকায় চলাচল করেন এ গ্রামের লোকজন। লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ঝরে পড়ছে গ্রামের কোমলমতি শিশুরা।
গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভবন নির্মাণের জন্য গ্রামের লোকজন কয়েক বছর আগে ১ একর ৫ শতক ভূমি স্কুলের নামে দান করে দেন। ২০১৬-১৭ সালে স্কুলের জন্য একটি ভবন বরাদ্দ দেওয়া হলে গ্রামবাসীর দান করা ভূমিতে মাটি কেটে ভিটা তৈরি করা হয়। এরপর আর স্কুলের ভবন নির্মিত হয়নি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, স্কুলের ভবন বরাদ্দ দেওয়ার খবর শুনে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম। কিন্তু ভিটা তৈরির পর আর ভবন নির্মাণ হয়নি। এই এলাকার কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্কুলের একটি ভবন বরাদ্দ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিমী সেন বলেন, ২০১৭ সালে আমি এই স্কুলে যোগদান করি। চারজন শিক্ষকের পদ থাকলেও দুটি পদ শূন্য। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। আমাকে একাই সবকিছু সামাল দিতে হচ্ছে। এক রুমের এই স্কুলে বাচ্চাদের পাঠদান করাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বেঞ্চ-টেবিল নেই বললেই চলে। রোদ-বৃষ্টিতে বাচ্চাদের বাইরে বসিয়ে রাখতে হয়। এক-এক শ্রেণি করে গাদাগাদি করে বসিয়ে পাঠদান করাতে হয়। প্রতি ক্লাস আধা ঘণ্টা করে নিয়ে অন্য একটি ক্লাস শুরু করতে হয়। নেই অফিস রুম। বেঞ্চে বসে অফিসের কাজ করতে হয়।
বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকীব ভূঁইয়া বলেন, তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৩) আওতায় স্কুল ভবন নির্মাণের কথা ছিল। মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করার পর ওই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভবন নির্মাণ হয়নি। পিইডিপি-৪ এর আওতায় ভবন নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস আর এম জি কিবরিয়া বলেন, নিচতলা ফাঁকা রেখে নতুন ডিজাইনে ভবন অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৭ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৩২ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৪০ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৪২ মিনিট আগে