নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
৫২ বছর ধরে বাবার কবর খুঁজছেন শাহরীন রহমান লুবনা। তাঁর বাবা শহীদ কর্নেল ডা. আবু ফজল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সময় সিলেট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাবাকে সিলেটে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী এইটুকুই কেবল জানতেন তিনি। অবশেষে ৫২ বছর পর আজ শনিবার বাবার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পেলেন শাহরীন।
সিলেটের সদর উপজেলার সালুটিকর বধ্যভূমিতে শহীদ কর্নেল আবু ফজল জিয়াউর রহমানের স্মৃতিফলকে হাত বুলাতে বুলাতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে লুবনা বলেন, ‘৫২ বছর ধরে আমি বাবার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি। অবশেষে আজকে বাবার স্মৃতি খুঁজে পেলাম।’
স্মৃতিচিহ্ন খুঁজার উদ্যোগ যারা নিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে লুবনা বলেন, ‘তাঁরা একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। যেন আমার বাবাকেই আমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
শাহরীনের মতো দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর বধ্যভূমিতে বিস্মৃতির অতল গহিনে হারিয়ে যেতে বসা শহিদ স্বজনদের স্মৃতিচিহ্নের সন্ধান পেল ৬৬টি পরিবার। যে বদ্ধভূমিতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ৭২ শহীদের স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করা হয়। তার মধ্যে ৬৬ শহীদের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছেন স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণ ও উদ্যোক্তা কমিটি।
একাত্তরে সালুটিকর এলাকার সিলেট ক্যাডেট কলেজে ক্যাম্প গড়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাসহ বাঙালিদের ধরে এনে হত্যা ও নির্যাতন করা হতো এখানে। হত্যার পর ক্যাডেট কলেজের পেছনেই গণকবর দেওয়া হয় তাঁদের। এখানে অন্তত ২০০ জন বাঙালিকে গণকবর দেওয়া হয় বলে ধারণা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
সালুটিকরের এই গণকবরটি সবার কাছেই বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত থাকলেও এত দিন এটি পড়েছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়। ঘন জঙ্গলে পূর্ণ ছিল এই টিলাভূমি। ছিল না কোনো স্মৃতিচিহ্নও। সেনানিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান হওয়ায় সাধারণের প্রবেশাধিকারও ছিল না।
অবশেষে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর দুই মুক্তিযোদ্ধার উদ্যোগে এই বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাঁদের উদ্যোগেই এখানে নির্মাণ করা হয়েছে নান্দনিক শহিদ স্মৃতি উদ্যান। শনিবার এই উদ্যানের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের স্বজনেরা।
এর আগে ২০০৭ সালে সিলেট ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরো জায়গাটি চিহ্নিত করে। গত বছর এখানে বধ্যভূমি সংরক্ষণের এগিয়ে আসেন কর্নেল আব্দুস সালাম এবং ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ। সিলেট সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে এবং সিলেট এরিয়া কমান্ডের সহযোগিতায় ‘শহিদ স্মৃতি উদ্যান’ তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক অপূর্ব শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটি করেন এই দুজন।
এখানে গণকবর দেওয়া ৬৬ জন শহীদকে চিহ্নিত করে তাঁদের নামে আলাদা স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। গণকবর দেওয়া বাবী শহিদদেরও চিহ্নিত করে তাদেরও স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী গকুলানন্দ চক্রবর্তীকে যখন হত্যা করে মেয়ে রীনা চক্রবর্তী তখন মায়ের গর্ভে। বাবার মৃত্যুর কয়েক মাস পর জন্ম হয় তাঁর। এত দিন কেবল গল্প শুনেছেন বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছেন। কিন্তু কোথাও বাবার কোনো স্মৃতিচিহ্ন ছিল না।
অবশেষে ৫২ বছর পর শনিবার বাবার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পেলেন রীনা। কখনো না দেখে বাবার স্পর্শ পেলেন যেন। শনিবার শহিদ গকুলানন্দ চক্রবর্তীর স্মৃতিফলকে হাত রেখে কেঁদে কেঁদে রীনা চক্রবর্তী বলেন, ‘বাবাকে আমি কখনো দেখিনি। কোথাও তার স্মৃতিচিহ্নও ছিল না। ৫২ বছর পর আজকে এই বধ্যভূমিতে তাঁর একটি স্মৃতিফলক লাগানো হলো। এই প্রথম যেন আমি বাবার স্পর্শ পেলাম।’
আজ শনিবার দুপুরে শহিদ স্মৃতি উদ্যানের উদ্বোধন করেন শহিদ সিরাজুল আবদালের স্ত্রী সৈয়দা সকিনা আবদাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খানসহ শহিদ স্বজনরা।
উদ্বোধনকালে কান্না ছাড়া কোন কথা বলতে পারেননি শহিদ সিরাজুল আবদালের স্ত্রী সৈয়দা সকিনা আবদাল। তাঁদের ছেলে মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আব্দাল বলেন, ‘একাত্তরে বাবা এখানকার চা বাগানে চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাঁকে পাকিস্তানি আর্মিরা ধরে এখানে এনেছিল বলে জেনেছিলাম। কিন্তু পরে আর কোনো খোঁজ পাইনি। আজকে এত দিন পর তাঁর স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পেলাম।’
শহিদ স্মৃতি উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, বিশাল চত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি স্মৃতি স্তম্ভ। একটি স্তম্ভে রয়েছে এখানে শায়িত সব শহীদদের নাম। এ ছাড়া সব শহীদদের জন্য কবরের আদলে অলাদা আলাদা স্মৃতিফলকও রয়েছে। ফুল আর গাছে গাছে আচ্ছাদিত পুরো চত্বরের বিভিন্ন স্থানে এই উদ্যান নির্মাণের পটভূমি, এখানে শায়িত সব শহীদদের জীবনী লেখা রয়েছে। এই স্মৃতি উদ্যানে পাঠাগার, জাদুঘর, কফিশপ এবং আলাদা বসার জায়গা নির্মাণ করা হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন আহমদ। তার বাবা শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. শামসুদ্দিন আহমদকে সিলেট মেডিকেলে কর্মরত অবস্থায় হত্যা করেন পাকিস্তানি সেনারা। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে জিয়াউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা কেবল বলি ৩০ লাখ শহিদ। কিন্তু তাদের পূর্ণাঙ্গ কোনো তালিকা নেই। কাকে কোথায় হত্যা করা হয়েছে, কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে কেউ জানে না। আমরা এসব খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। সে লক্ষ্যে ২০১৭ সালে সালুটিকর বধ্যভূমিকে উদ্যান করার উদ্যোগ নেই।’
৫২ বছর ধরে বাবার কবর খুঁজছেন শাহরীন রহমান লুবনা। তাঁর বাবা শহীদ কর্নেল ডা. আবু ফজল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সময় সিলেট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাবাকে সিলেটে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী এইটুকুই কেবল জানতেন তিনি। অবশেষে ৫২ বছর পর আজ শনিবার বাবার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পেলেন শাহরীন।
সিলেটের সদর উপজেলার সালুটিকর বধ্যভূমিতে শহীদ কর্নেল আবু ফজল জিয়াউর রহমানের স্মৃতিফলকে হাত বুলাতে বুলাতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে লুবনা বলেন, ‘৫২ বছর ধরে আমি বাবার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি। অবশেষে আজকে বাবার স্মৃতি খুঁজে পেলাম।’
স্মৃতিচিহ্ন খুঁজার উদ্যোগ যারা নিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে লুবনা বলেন, ‘তাঁরা একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। যেন আমার বাবাকেই আমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
শাহরীনের মতো দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর বধ্যভূমিতে বিস্মৃতির অতল গহিনে হারিয়ে যেতে বসা শহিদ স্বজনদের স্মৃতিচিহ্নের সন্ধান পেল ৬৬টি পরিবার। যে বদ্ধভূমিতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ৭২ শহীদের স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করা হয়। তার মধ্যে ৬৬ শহীদের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছেন স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণ ও উদ্যোক্তা কমিটি।
একাত্তরে সালুটিকর এলাকার সিলেট ক্যাডেট কলেজে ক্যাম্প গড়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাসহ বাঙালিদের ধরে এনে হত্যা ও নির্যাতন করা হতো এখানে। হত্যার পর ক্যাডেট কলেজের পেছনেই গণকবর দেওয়া হয় তাঁদের। এখানে অন্তত ২০০ জন বাঙালিকে গণকবর দেওয়া হয় বলে ধারণা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
সালুটিকরের এই গণকবরটি সবার কাছেই বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত থাকলেও এত দিন এটি পড়েছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়। ঘন জঙ্গলে পূর্ণ ছিল এই টিলাভূমি। ছিল না কোনো স্মৃতিচিহ্নও। সেনানিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান হওয়ায় সাধারণের প্রবেশাধিকারও ছিল না।
অবশেষে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর দুই মুক্তিযোদ্ধার উদ্যোগে এই বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাঁদের উদ্যোগেই এখানে নির্মাণ করা হয়েছে নান্দনিক শহিদ স্মৃতি উদ্যান। শনিবার এই উদ্যানের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের স্বজনেরা।
এর আগে ২০০৭ সালে সিলেট ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরো জায়গাটি চিহ্নিত করে। গত বছর এখানে বধ্যভূমি সংরক্ষণের এগিয়ে আসেন কর্নেল আব্দুস সালাম এবং ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ। সিলেট সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে এবং সিলেট এরিয়া কমান্ডের সহযোগিতায় ‘শহিদ স্মৃতি উদ্যান’ তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক অপূর্ব শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটি করেন এই দুজন।
এখানে গণকবর দেওয়া ৬৬ জন শহীদকে চিহ্নিত করে তাঁদের নামে আলাদা স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। গণকবর দেওয়া বাবী শহিদদেরও চিহ্নিত করে তাদেরও স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী গকুলানন্দ চক্রবর্তীকে যখন হত্যা করে মেয়ে রীনা চক্রবর্তী তখন মায়ের গর্ভে। বাবার মৃত্যুর কয়েক মাস পর জন্ম হয় তাঁর। এত দিন কেবল গল্প শুনেছেন বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছেন। কিন্তু কোথাও বাবার কোনো স্মৃতিচিহ্ন ছিল না।
অবশেষে ৫২ বছর পর শনিবার বাবার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পেলেন রীনা। কখনো না দেখে বাবার স্পর্শ পেলেন যেন। শনিবার শহিদ গকুলানন্দ চক্রবর্তীর স্মৃতিফলকে হাত রেখে কেঁদে কেঁদে রীনা চক্রবর্তী বলেন, ‘বাবাকে আমি কখনো দেখিনি। কোথাও তার স্মৃতিচিহ্নও ছিল না। ৫২ বছর পর আজকে এই বধ্যভূমিতে তাঁর একটি স্মৃতিফলক লাগানো হলো। এই প্রথম যেন আমি বাবার স্পর্শ পেলাম।’
আজ শনিবার দুপুরে শহিদ স্মৃতি উদ্যানের উদ্বোধন করেন শহিদ সিরাজুল আবদালের স্ত্রী সৈয়দা সকিনা আবদাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খানসহ শহিদ স্বজনরা।
উদ্বোধনকালে কান্না ছাড়া কোন কথা বলতে পারেননি শহিদ সিরাজুল আবদালের স্ত্রী সৈয়দা সকিনা আবদাল। তাঁদের ছেলে মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আব্দাল বলেন, ‘একাত্তরে বাবা এখানকার চা বাগানে চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাঁকে পাকিস্তানি আর্মিরা ধরে এখানে এনেছিল বলে জেনেছিলাম। কিন্তু পরে আর কোনো খোঁজ পাইনি। আজকে এত দিন পর তাঁর স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পেলাম।’
শহিদ স্মৃতি উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, বিশাল চত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি স্মৃতি স্তম্ভ। একটি স্তম্ভে রয়েছে এখানে শায়িত সব শহীদদের নাম। এ ছাড়া সব শহীদদের জন্য কবরের আদলে অলাদা আলাদা স্মৃতিফলকও রয়েছে। ফুল আর গাছে গাছে আচ্ছাদিত পুরো চত্বরের বিভিন্ন স্থানে এই উদ্যান নির্মাণের পটভূমি, এখানে শায়িত সব শহীদদের জীবনী লেখা রয়েছে। এই স্মৃতি উদ্যানে পাঠাগার, জাদুঘর, কফিশপ এবং আলাদা বসার জায়গা নির্মাণ করা হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন আহমদ। তার বাবা শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. শামসুদ্দিন আহমদকে সিলেট মেডিকেলে কর্মরত অবস্থায় হত্যা করেন পাকিস্তানি সেনারা। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে জিয়াউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা কেবল বলি ৩০ লাখ শহিদ। কিন্তু তাদের পূর্ণাঙ্গ কোনো তালিকা নেই। কাকে কোথায় হত্যা করা হয়েছে, কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে কেউ জানে না। আমরা এসব খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। সে লক্ষ্যে ২০১৭ সালে সালুটিকর বধ্যভূমিকে উদ্যান করার উদ্যোগ নেই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে