শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বসেছে মাছের মেলা। আর মেলা জুড়ে উঠেছে দেশীয় প্রজাতির বড় বড় মাছ। যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন।
মেলা সংশ্লিষ্টরা জানান, শত বছরেরও অধিক সময় ধরে শ্রীমঙ্গলে এ মাছের মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। এ বছরও গত শনিবার সকাল থেকে বসেছে মেলা। মেলায় দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল, মৃগেল, বাঘার, আইর, কালি বাউসসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ উঠে। এ ছাড়াও হাওর থেকে ধরা ছোট প্রজাতির কৈ, পাবদা, শিং, মাগুর, ট্যাংরা, চিংড়ি, মেনি, রানী, লাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ উঠেছে। আর এ মাছ কিনতে ও দেখতে ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নতুন বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, মাছ ব্যবসায়ী হাফিজ মনসুরের দোকানে বিশাল আকৃতির একটি চিতল ও একটি কাতল মাছ ওঠানো হয়েছে। মাছটিকে ঘিরে ভিড় করে আছেন দর্শনার্থীরা।
মাছ ব্যবসায়ী হাফিজ মিয়া জানান, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর থেকে তিনি এই মাছ দুটি সংগ্রহ করেছেন। চিতল মাছটির ওজন ৩৫ কেজি, যার দাম চাচ্ছেন ৭২ হাজার টাকা। আর কাতল মাছের ওজন ৩০ কেজি, এর দাম চাইছেন ৬০ হাজার টাকা।
মেলায় ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘার মাছ তুলেছেন ব্যবসায়ী মফিজ মিয়া। দাম হেঁকেছেন ১ লাখ টাকা। ৪৫ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘার মাছ তুলেছেন ব্যবসায়ী হারুন মিয়া। তিনি দাম চাইছেন ৭৫ হাজার টাকা।
তবে বাজারে প্রচুর মাছের আমদানি বেশি হলেও ক্রেতার চেয়ে দর্শকের সংখ্যাই বেশি বলে জানান মাছ ব্যবসায়ীরা।
মাছের মেলা দেখতে এসেছেন নীলফামারীর পরিবহন ব্যবসায়ী মসফিকুল ইসলাম রিন্টু। তিনি জানান, তিনি অনেক দিন ধরে শুনে আসছেন মৌলভীবাজারের শেরপুরে মাছের মেলা বসে বহু বছর ধরে। কিন্তু আসা হয়নি। এবার এসে তিনি অনেক বড় বড় মাছ দেখেছেন, যা এর আগে কখনো দেখেননি।
এবারের মেলায় হাওরের মাছের পাশাপাশি সাগরের মাছও এনেছেন মাছ ব্যবসায়ী ইমাদ হোসেন। তিনি সাগরের শাপলাপাতা (স্টিং রে), টুনা, চাপা সুরমা, পোয়া, বাঘা চিংড়িসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।
মেলায় আসা নৃপেন্দ্র লাল দাশ জানান, এটি বাঙালির একটি সংস্কৃতি। বিশেষ করে এই এলাকার জন্য এটি বড় একটি উৎসব। এই এলাকার মানুষ মেলা থেকে অনেকে বড় বড় মাছ কিনে আত্মীয়স্বজনদের মাঝে বিলিয়ে থাকেন। অনেকে মেয়ের বাড়িতেও পাঠান। এর মধ্যে দিয়ে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়ে।
শ্রীমঙ্গল মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান এম এ জানান, সনাতন সম্প্রদায়ের পৌষ সংক্রান্তির আগে বিভিন্ন হাওরে ও বিলে মাছ ধরা হয়। এই মাছ মেলায় বিক্রি করা হয়। যা সব সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কিনে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, ছোটকাল থেকে তিনি দেখে আসছেন এই দিনে বড় মাছ সংগ্রহ করে প্রতিবেশী সনাতন পরিবারে উপহার দিতে এবং সনাতনী পরিবার থেকে পৌষ সংক্রান্তির পিঠা পাঠাতে। তিনি বলেন, এটি দুই ধর্মের মানুষের সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব জানান, পোষ সংক্রান্তি উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে মাছের হাট এ এলাকার এক সংস্কৃতি। এই মেলায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে বড় মাছ আনেন।
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বসেছে মাছের মেলা। আর মেলা জুড়ে উঠেছে দেশীয় প্রজাতির বড় বড় মাছ। যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন।
মেলা সংশ্লিষ্টরা জানান, শত বছরেরও অধিক সময় ধরে শ্রীমঙ্গলে এ মাছের মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। এ বছরও গত শনিবার সকাল থেকে বসেছে মেলা। মেলায় দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল, মৃগেল, বাঘার, আইর, কালি বাউসসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ উঠে। এ ছাড়াও হাওর থেকে ধরা ছোট প্রজাতির কৈ, পাবদা, শিং, মাগুর, ট্যাংরা, চিংড়ি, মেনি, রানী, লাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ উঠেছে। আর এ মাছ কিনতে ও দেখতে ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নতুন বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, মাছ ব্যবসায়ী হাফিজ মনসুরের দোকানে বিশাল আকৃতির একটি চিতল ও একটি কাতল মাছ ওঠানো হয়েছে। মাছটিকে ঘিরে ভিড় করে আছেন দর্শনার্থীরা।
মাছ ব্যবসায়ী হাফিজ মিয়া জানান, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর থেকে তিনি এই মাছ দুটি সংগ্রহ করেছেন। চিতল মাছটির ওজন ৩৫ কেজি, যার দাম চাচ্ছেন ৭২ হাজার টাকা। আর কাতল মাছের ওজন ৩০ কেজি, এর দাম চাইছেন ৬০ হাজার টাকা।
মেলায় ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘার মাছ তুলেছেন ব্যবসায়ী মফিজ মিয়া। দাম হেঁকেছেন ১ লাখ টাকা। ৪৫ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘার মাছ তুলেছেন ব্যবসায়ী হারুন মিয়া। তিনি দাম চাইছেন ৭৫ হাজার টাকা।
তবে বাজারে প্রচুর মাছের আমদানি বেশি হলেও ক্রেতার চেয়ে দর্শকের সংখ্যাই বেশি বলে জানান মাছ ব্যবসায়ীরা।
মাছের মেলা দেখতে এসেছেন নীলফামারীর পরিবহন ব্যবসায়ী মসফিকুল ইসলাম রিন্টু। তিনি জানান, তিনি অনেক দিন ধরে শুনে আসছেন মৌলভীবাজারের শেরপুরে মাছের মেলা বসে বহু বছর ধরে। কিন্তু আসা হয়নি। এবার এসে তিনি অনেক বড় বড় মাছ দেখেছেন, যা এর আগে কখনো দেখেননি।
এবারের মেলায় হাওরের মাছের পাশাপাশি সাগরের মাছও এনেছেন মাছ ব্যবসায়ী ইমাদ হোসেন। তিনি সাগরের শাপলাপাতা (স্টিং রে), টুনা, চাপা সুরমা, পোয়া, বাঘা চিংড়িসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।
মেলায় আসা নৃপেন্দ্র লাল দাশ জানান, এটি বাঙালির একটি সংস্কৃতি। বিশেষ করে এই এলাকার জন্য এটি বড় একটি উৎসব। এই এলাকার মানুষ মেলা থেকে অনেকে বড় বড় মাছ কিনে আত্মীয়স্বজনদের মাঝে বিলিয়ে থাকেন। অনেকে মেয়ের বাড়িতেও পাঠান। এর মধ্যে দিয়ে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়ে।
শ্রীমঙ্গল মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান এম এ জানান, সনাতন সম্প্রদায়ের পৌষ সংক্রান্তির আগে বিভিন্ন হাওরে ও বিলে মাছ ধরা হয়। এই মাছ মেলায় বিক্রি করা হয়। যা সব সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কিনে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, ছোটকাল থেকে তিনি দেখে আসছেন এই দিনে বড় মাছ সংগ্রহ করে প্রতিবেশী সনাতন পরিবারে উপহার দিতে এবং সনাতনী পরিবার থেকে পৌষ সংক্রান্তির পিঠা পাঠাতে। তিনি বলেন, এটি দুই ধর্মের মানুষের সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব জানান, পোষ সংক্রান্তি উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে মাছের হাট এ এলাকার এক সংস্কৃতি। এই মেলায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে বড় মাছ আনেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে
৩ মিনিট আগেসম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
৯ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
১৯ মিনিট আগে