ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর পাইনি।’
নগরীর ছড়ারপাড়ের রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের বারান্দায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিন দিন ধরে আছেন আবদুল জাহির। তিনি বলেন, ‘ভেতরে জায়গা নেই, এ জন্য বারান্দায় আছি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এখনো সরকারি কোনো সহায়তা মেলেনি।’ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সেখানে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শুয়েব আহমেদ শানু। সংবাদকর্মী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে শানু বলেন, ‘এই এলাকায় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় হাজারখানেক মানুষ রয়েছে। এখনো কোনো সরকারি সহায়তা আসেনি। সিটি করপোরেশন থেকেও কোনো খাবার দেয়নি। আমরা নিজ উদ্যোগে সামান্য খাবার দিচ্ছি।’
সিলেট নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা এমনই। একই অবস্থা সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বেশির ভাগ আশ্রয়কেন্দ্রে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা। খাবারের সংকটের পাশাপাশি রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশনের তীব্র সংকটও। সোমবার সিলেট নগরী ঘুরে ও বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র মিলেছে।
বানভাসি মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (আশ্রয় কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুহুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ শুরু না হলেও কাউন্সিলরা ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করছেন। আমরা সামান্য বরাদ্দ পেয়েছি, এগুলো শেষ। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।’
সুরমা কমছে, কুশিয়ারায় বাড়ছে
সিলেট-সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সিলেট নগরীতে কিছু কিছু জায়গা থেকে পানি দু-এক হাত নেমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সুরমা নদীর পনি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারায়। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৮০ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগের দিন এ সময় ছিল ১১ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার অমলসীদ পয়েন্টে আগের দিন ছিল বিপদসীমার ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সেটা পৌঁছায় ১৭ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম গতকাল রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ দুই জেলাতেই পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে আশা করা যায় পানি আর বাড়বে না।’
সিলেটের গোয়াইনঘাটের সালুটিকর ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে আছেন তমিজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘সোমবার থেকে এই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছি। সরকারি কোনো সহায়তা তো দূরের কথা, কোনো খাবারও দিচ্ছে না। খেয়ে না-খেয়ে বেঁচে আছি। সরকার কলেজ বিল্ডিং করে দেওয়ায় আশ্রয় পেয়েছি। এটাই শুকরিয়া।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন ওই উপজেলার বাসিন্দা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জফির সেতু। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য হাহাকারের চিত্র তুলে ধরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীঘলবাঁকের পাড়-ফেদারগাঁও উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। তাদের খাওয়ার পানি নেই, খাবার নেই। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই আশ্রয়কেন্দ্রে কাউকে এক প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে আসতে দেখিনি। খাবারের অভাবে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাচ্চারাও কান্না করছিল।’
কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে আছেন বুড়দেও গ্রামের মাসুম মিয়া। তিনি জানান, মাঝেমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ খাবার ও পানি নিয়ে আসেন। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ আসেনি।
সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নেওয়া মিলন বেগম জানান, বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ভেসে গেছে। গরু-ছাগল রক্ষা করতে পারেননি। ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবাই উঠেছেন গোবিন্দগঞ্জ কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এখানে খাবারের সংকট। এক বেলা খেয়ে কোনো রকম দিন পার করছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই। এঁদের একজন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, ‘খাবার-পানি কিছু নাই। কামকাজ না থাকায় টাকাও নাই। তাই কিনেও খেতে পারতেছি না।’
ত্রাণ তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৬১২ টন চাল, প্রায় ৮ হাজার প্যাকেট খাবার ও ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নৌকার সংকট ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে অনেক দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি, ত্রাণের কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৭৭০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০ বস্তা চিড়া-মুড়ি ও নগদ ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন রান্না করা ২০ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ আমাদের আছে।’
সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর পাইনি।’
নগরীর ছড়ারপাড়ের রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের বারান্দায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিন দিন ধরে আছেন আবদুল জাহির। তিনি বলেন, ‘ভেতরে জায়গা নেই, এ জন্য বারান্দায় আছি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এখনো সরকারি কোনো সহায়তা মেলেনি।’ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সেখানে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শুয়েব আহমেদ শানু। সংবাদকর্মী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে শানু বলেন, ‘এই এলাকায় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় হাজারখানেক মানুষ রয়েছে। এখনো কোনো সরকারি সহায়তা আসেনি। সিটি করপোরেশন থেকেও কোনো খাবার দেয়নি। আমরা নিজ উদ্যোগে সামান্য খাবার দিচ্ছি।’
সিলেট নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা এমনই। একই অবস্থা সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বেশির ভাগ আশ্রয়কেন্দ্রে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা। খাবারের সংকটের পাশাপাশি রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশনের তীব্র সংকটও। সোমবার সিলেট নগরী ঘুরে ও বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র মিলেছে।
বানভাসি মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (আশ্রয় কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুহুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ শুরু না হলেও কাউন্সিলরা ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করছেন। আমরা সামান্য বরাদ্দ পেয়েছি, এগুলো শেষ। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।’
সুরমা কমছে, কুশিয়ারায় বাড়ছে
সিলেট-সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সিলেট নগরীতে কিছু কিছু জায়গা থেকে পানি দু-এক হাত নেমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সুরমা নদীর পনি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারায়। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৮০ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগের দিন এ সময় ছিল ১১ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার অমলসীদ পয়েন্টে আগের দিন ছিল বিপদসীমার ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সেটা পৌঁছায় ১৭ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম গতকাল রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ দুই জেলাতেই পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে আশা করা যায় পানি আর বাড়বে না।’
সিলেটের গোয়াইনঘাটের সালুটিকর ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে আছেন তমিজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘সোমবার থেকে এই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছি। সরকারি কোনো সহায়তা তো দূরের কথা, কোনো খাবারও দিচ্ছে না। খেয়ে না-খেয়ে বেঁচে আছি। সরকার কলেজ বিল্ডিং করে দেওয়ায় আশ্রয় পেয়েছি। এটাই শুকরিয়া।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন ওই উপজেলার বাসিন্দা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জফির সেতু। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য হাহাকারের চিত্র তুলে ধরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীঘলবাঁকের পাড়-ফেদারগাঁও উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। তাদের খাওয়ার পানি নেই, খাবার নেই। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই আশ্রয়কেন্দ্রে কাউকে এক প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে আসতে দেখিনি। খাবারের অভাবে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাচ্চারাও কান্না করছিল।’
কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে আছেন বুড়দেও গ্রামের মাসুম মিয়া। তিনি জানান, মাঝেমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ খাবার ও পানি নিয়ে আসেন। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ আসেনি।
সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নেওয়া মিলন বেগম জানান, বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ভেসে গেছে। গরু-ছাগল রক্ষা করতে পারেননি। ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবাই উঠেছেন গোবিন্দগঞ্জ কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এখানে খাবারের সংকট। এক বেলা খেয়ে কোনো রকম দিন পার করছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই। এঁদের একজন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, ‘খাবার-পানি কিছু নাই। কামকাজ না থাকায় টাকাও নাই। তাই কিনেও খেতে পারতেছি না।’
ত্রাণ তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৬১২ টন চাল, প্রায় ৮ হাজার প্যাকেট খাবার ও ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নৌকার সংকট ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে অনেক দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি, ত্রাণের কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৭৭০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০ বস্তা চিড়া-মুড়ি ও নগদ ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন রান্না করা ২০ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ আমাদের আছে।’
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস...
৯ মিনিট আগেক্ষোভ প্রকাশ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘এমন ছোট্ট সংযোগ সড়কে বিআরটিসির দোতলা বাসে কী করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পিকনিকে নিয়ে এল। সড়কের সামান্য ওপরে বৈদ্যুতিক তার। সেই তারে ছোট পরিবহন চলাচল যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সড়কে কী করে বিআরটিসির দোতলা বাস চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে
১৯ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
৩০ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
১ ঘণ্টা আগে