সিলেটে দেবরের ছেলেকে হত্যা, চাচির যাবজ্জীবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩, ১৯: ০৭

সিলেটের বিয়ানীবাজারে দেবরের ছেলেকে হত্যার দায়ে সুরমা বেগম (৪১) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সিলেটের জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুরমা বেগম বিয়ানীবাজার উপজেলার উত্তর আকাখাজানা গ্রামের রুনু মিয়ার স্ত্রী। আর হত্যার শিকার তিন বছরের সায়েল আহমদ তাঁর দেবর খসরু মিয়ার ছেলে। রায়ে আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মামলার অন্য দুই আসামি নাহিদুল ইসলাম ইব্রাহিম ও রুনু মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ে দণ্ডবিধির আরেকটি ধারায় আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় সাজা একত্রে চলার নির্দেশ দেন বিচারক। 

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৭ জুন সায়েল আহমদকে হত্যার পর লাশ গুম করতে বাথরুমে প্লাস্টিকের ড্রামে কম্বল দিয়ে মুড়ে রেখে দেন সুরমা। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে সায়েলকে না পেয়ে সুরমা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে সুরমা বেগমের ঘরের বাথরুমের প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় সায়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে। 

৮ জুন সুরমা বেগম, তাঁর পরকীয়া প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ইব্রাহিম ও স্বামী রুনু মিয়াকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বিচারক এই রায় দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত