সুনামগঞ্জ-৩: শান্তিগঞ্জ থানার ওসি প্রত্যাহার চাইলেন শাহীনূর পাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
Thumbnail image

সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ–জগন্নাথপুর) আসনের শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রত্যাহার চাইলেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী। গত শনিবার তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ই-মেইল যোগে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। 

আজ সোমবার অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট জানানো হয়নি। মঙ্গলবার আমি অফিশিয়ালি খোঁজ–খবর নিব। প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরব।’ 

অভিযোগে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাবেক এই নেতা উল্লেখ করেন, ‘সুনামগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তিনি। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন আমাদের শতভাগ আশ্বস্ত করেছিলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরাও আশ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দিবারাত্রি মেহনতে কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।’ 

 ‘কিন্তু শান্তিগঞ্জে বর্তমান ওসি দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নিজের চেয়ারে বসে আগন্তুকদের নৌকার পক্ষে থাকার জন্য বলছেন এবং তার স্টাফদের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি পুলিশ পাঠিয়ে নির্বাচনী এলাকায় নৌকা বিরোধী ভোটার ও কর্মী সমর্থকদের মাঝে রীতিমতো ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছেন। যা সুষ্ঠু ভোটের অন্তরায়। এ রকম পরিবেশ বজায় থাকলে আমার পক্ষে নির্বাচন করা অসম্ভব। এতে করে আমাকে নির্বাচন বর্জনের দিকে ঠেলা দেওয়া হচ্ছে।’ 

মাওলানা শাহীনূর পাশা আরও উল্লেখ করেন, ‘বর্তমান ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন ২০১৮ সালের নির্বাচনেও একই উপজেলায় ছিলেন এবং নারকীয় ভোট কারচুপিতে সিদ্ধহস্ত হওয়ার কারণে তাকে আবার এখানে তদবির করে নিয়ে আসা হয়েছে।’ তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে ওসিকে এখনই প্রত্যাহার করে ভোটারদের মনোবল চাঙা করার দাবি জানান তিনি। 

এ দিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত