সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
কাস্টমসের শুল্কায়নের নথির সূত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিনা শুল্কে আমদানি করা গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি এনেছেন সুমন। জাপানের টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার এফজেএ ৩০০ ডব্লিউ মডেলের এই গাড়ির মূল্য দেখানো হয় ১ লাখ ১১ হাজার ডলার বা ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। কাস্টমস শুল্কায়ন মূল্য (যে দাম ধরে শুল্ক আরোপ করা হয়) নির্ধারণ করে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ ধরনের গাড়ির শুল্কহার ৮২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ হিসাবে শুল্ককর আসে ১০ কোটি টাকার বেশি। জাপানের ক্রস কনটিনেন্ট করপোরেশন থেকে গাড়িটি আমদানি করা হয়। এটি ২০২৪ সালে তৈরি। সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি (সিসি বা ইঞ্জিন-ক্ষমতা) ৩ হাজার ৩৪৫।
অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সুমনের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার সুমনের বার্ষিক আয় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। নগদ টাকা ছিল ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এর বিপরীতে দুটি ব্যাংক থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণও রয়েছে তাঁর।
সে হিসাবে সুমনের আয়-ব্যয়ের সঙ্গে কোটি টাকার গাড়ি কেনার হিসাব মিলছে না। সাত মাস এমপি থাকার সময়ে সুমনের বিলাসবহুল গাড়ি কেনার অর্থ অবৈধ বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী। কারও কারও সন্দেহ, কোনো বড় কোম্পানি বা কোনো সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে উপহার পেয়ে থাকতে পারেন। কেউ বলছেন, এমপি হওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্প ও হারভেস্টর মেশিন (ধান কাটার মেশিন) থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সুমন। সেই টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারেন।
চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক সেনাসদস্য আব্দুল মতিন বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ধান কাটার ১৬টি হারভেস্টর মেশিন দেওয়া হয়েছিল। এগুলোর কোনো হদিস নেই। তদন্ত করলেই হারভেস্টর মেশিন নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন সাহেবের দুর্নীতি বের হয়ে আসতে পারে।
উপজেলার আরেক বাসিন্দা রায়হান চৌধুরী বলেন, এমপি থাকাকালীন বিভিন্ন সময় ব্যারিস্টার সুমন বলতেন, তিনি ২৭ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এই টাকার বিপরীতে তিনি দৃশ্যত এমন কোনো কাজ করেননি। কয়েক লাখ টাকা খরচে তিনটা যাত্রীছাউনি সংস্কার করে তিনি তা ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন। ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে জনসাধারণের জন্য তিনি কোনো স্থায়ী কাজ করেননি।
মাধবপুর উপজেলার তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের নিজ উদ্যোগে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের কোটি কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে ব্যাপক তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি যে অনুদান পেয়েছেন, তার বিপরীতে কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, এর পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দেওয়া দরকার।
চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন জিতু বলেন, কারও প্রদর্শিত আয়ের চেয়ে যদি ব্যয় বেশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে টাকা অন্য কোনো খাত থেকে এসেছে। সেটা বৈধ বা অবৈধ হতে পারে। সুষ্ঠু তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে টাকা কোথা থেকে এসেছে।
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর সিরাজ বলেন, ব্যারিস্টার সুমন নির্বাচনী হলফনামায় যে আয়-ব্যয় দেখিয়েছেন তাতে এত দামি গাড়ি কেনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি নিজ উদ্যোগে ফুটবলের জন্য ১০ লাখ, চা-শ্রমিকদের জন্য ১ লাখ টাকার রেইন কোর্ট বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া ৫০টি ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। এসব টাকার উৎস কোথায় তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান মীর সিরাজ।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হকসহ সব এমপি-মন্ত্রীর অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে কেউ দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করলে, তখন আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ব্যারিস্টার সুমন বিদেশে চলে যান।
কাস্টমসের শুল্কায়নের নথির সূত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিনা শুল্কে আমদানি করা গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি এনেছেন সুমন। জাপানের টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার এফজেএ ৩০০ ডব্লিউ মডেলের এই গাড়ির মূল্য দেখানো হয় ১ লাখ ১১ হাজার ডলার বা ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। কাস্টমস শুল্কায়ন মূল্য (যে দাম ধরে শুল্ক আরোপ করা হয়) নির্ধারণ করে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ ধরনের গাড়ির শুল্কহার ৮২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ হিসাবে শুল্ককর আসে ১০ কোটি টাকার বেশি। জাপানের ক্রস কনটিনেন্ট করপোরেশন থেকে গাড়িটি আমদানি করা হয়। এটি ২০২৪ সালে তৈরি। সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি (সিসি বা ইঞ্জিন-ক্ষমতা) ৩ হাজার ৩৪৫।
অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সুমনের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার সুমনের বার্ষিক আয় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। নগদ টাকা ছিল ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এর বিপরীতে দুটি ব্যাংক থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণও রয়েছে তাঁর।
সে হিসাবে সুমনের আয়-ব্যয়ের সঙ্গে কোটি টাকার গাড়ি কেনার হিসাব মিলছে না। সাত মাস এমপি থাকার সময়ে সুমনের বিলাসবহুল গাড়ি কেনার অর্থ অবৈধ বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী। কারও কারও সন্দেহ, কোনো বড় কোম্পানি বা কোনো সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে উপহার পেয়ে থাকতে পারেন। কেউ বলছেন, এমপি হওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্প ও হারভেস্টর মেশিন (ধান কাটার মেশিন) থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সুমন। সেই টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারেন।
চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক সেনাসদস্য আব্দুল মতিন বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ধান কাটার ১৬টি হারভেস্টর মেশিন দেওয়া হয়েছিল। এগুলোর কোনো হদিস নেই। তদন্ত করলেই হারভেস্টর মেশিন নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন সাহেবের দুর্নীতি বের হয়ে আসতে পারে।
উপজেলার আরেক বাসিন্দা রায়হান চৌধুরী বলেন, এমপি থাকাকালীন বিভিন্ন সময় ব্যারিস্টার সুমন বলতেন, তিনি ২৭ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এই টাকার বিপরীতে তিনি দৃশ্যত এমন কোনো কাজ করেননি। কয়েক লাখ টাকা খরচে তিনটা যাত্রীছাউনি সংস্কার করে তিনি তা ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন। ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে জনসাধারণের জন্য তিনি কোনো স্থায়ী কাজ করেননি।
মাধবপুর উপজেলার তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের নিজ উদ্যোগে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের কোটি কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে ব্যাপক তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি যে অনুদান পেয়েছেন, তার বিপরীতে কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, এর পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দেওয়া দরকার।
চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন জিতু বলেন, কারও প্রদর্শিত আয়ের চেয়ে যদি ব্যয় বেশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে টাকা অন্য কোনো খাত থেকে এসেছে। সেটা বৈধ বা অবৈধ হতে পারে। সুষ্ঠু তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে টাকা কোথা থেকে এসেছে।
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর সিরাজ বলেন, ব্যারিস্টার সুমন নির্বাচনী হলফনামায় যে আয়-ব্যয় দেখিয়েছেন তাতে এত দামি গাড়ি কেনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি নিজ উদ্যোগে ফুটবলের জন্য ১০ লাখ, চা-শ্রমিকদের জন্য ১ লাখ টাকার রেইন কোর্ট বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া ৫০টি ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। এসব টাকার উৎস কোথায় তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান মীর সিরাজ।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হকসহ সব এমপি-মন্ত্রীর অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে কেউ দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করলে, তখন আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ব্যারিস্টার সুমন বিদেশে চলে যান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত হলেও বিকালেও সংঘর্ষ চলছিল। এই উত্তেজনা পরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে চৌকা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
৬ মিনিট আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) নির্মাণাধীন একাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মো. সালাম (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
১২ মিনিট আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ভবনের কাজ ৬০ শতাংশ করে বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে পাঠদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
২৭ মিনিট আগেবান্দরবানের আলীকদমে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়নের তারাবনিয়ার চারা বটতলী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে