নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিলু আহমদ জিলু (৩৫) অবরোধের পিকেটিং করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। বিএনপি ও পরিবারের দাবি, পুলিশের গাড়ি মোটরসাইকেল আরোহী জিলুকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, জিলু পুলিশ দেখে পালানোর সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হন, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সিলেট বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে সিলেট বিভাগীয় যুবদল। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় অবরোধের পিকেটিংয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিলু মারা যান। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মদনগৌরী এলাকার এলাইছ মিয়ার ছেলে। তাঁর আড়াই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধে পিকেটিং করতে যান জিলু। একপর্যায়ে তিনি পুলিশ দেখে পালানোর সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেন। সেখানেই তিনি মারা যান।
বিএনপির দাবি, জিলু মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় একদল পুলিশ তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে এবং পুলিশের ভ্যান দিয়ে তাঁর মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। এরপর তাঁকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাঁরা জিলুর মৃত্যুর সংবাদ পান।
নিহত জিলুর বড় ভাই মো. বুলু মিয়া জিলুর সঙ্গে আহত রফিক মিয়ার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেছন থেকে পুলিশের গাড়িয়ে ধাক্কা মারিয়া তারারে ফালাইছে। পুলিশে পরে তারারে থানায় নিছে। পরে আবার তারারে হসপিটালও লইয়া আইছে। পুলিশে হসপিটাল তারারে ওলান রাখিয়া আইছে। পরে আমরার মানুষে গিয়া তারারে ভর্তি করছেন। হসপিটালে ভর্তি তারা দুইজনে গাড়ির ধাক্কায় মাথায় চোট পাইছেন, নাকে-মুখে রক্ত বের হইছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে আর কেউ ইলান পরিস্থিতির সম্মুখীন না হইন।’
সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে পিকেটিং করতে যান যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ এসে যুবদল নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী শাহ সুন্দর এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে জিলু গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি মারা যান।’
অ্যাডভোকেট মোমিনুল জানান, ‘এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় আমরা বিক্ষোভ মিছিল করে বুধবার অবরোধের পাশাপাশি সিলেট বিভাগের যুবদলের পক্ষ থেকে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
তবে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-গণমাধ্যম) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সে পুলিশ হেফাজতে মারা যায়নি। সকালে লালাবাজারের এদিকে পিকেটিং করতে আসছিল সে। পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালাতে গিয়ে সে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে সেখানে তারা দুই ভাই পড়ে যায়। তখন লোকজন তাঁদের সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করে। আইসিইউতে সে মারা যায় এবং তার ভাই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখলেই বুঝতে পারবেন। যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তারা থানাতেই আছে।’
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। এটা অ্যাকসিডেন্টাল বিষয়, পুলিশ ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছ থেকে জেনে নেন।’
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে পুলিশি হেফাজতে জিলুর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে জেলা ও মহানগর বিএনপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতা-কর্মীরা। অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ যুবদল নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যান্য নেতা-কর্মীর সঙ্গে গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিলু আহমদ দিলু মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় একদল পুলিশ তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে এবং পুলিশের ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এরপর তাঁকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বেলা ২টার দিকে আমরা জিলুর মৃত্যুর সংবাদ পাই। যেহেতু পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়, সেহেতু পুলিশই উদীয়মান ও নিবেদিতপ্রাণ যুবনেতাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে জিলুর মৃত্যুতে গভীর শোক, দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করে নেতারা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মুক্তিকামী জনতা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সরকার জনতার ন্যায্য দাবির এই আন্দোলনকে দমাতে নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। যে জিলু সকাল বেলায়ও দেশের মানুষের দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন, বিকেলে তাঁকে লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। এভাবে তো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র চলতে পারে না। এই সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করার বিকল্প নেই।
এসএমপির ওসমানী মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলমগীর জানান, যুবদল নেতা জিলুর মরদেহ মর্গে রয়েছে। আগামীকাল বুধবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লাশ হস্তান্তর করা হবে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিলু আহমদ জিলু (৩৫) অবরোধের পিকেটিং করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। বিএনপি ও পরিবারের দাবি, পুলিশের গাড়ি মোটরসাইকেল আরোহী জিলুকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, জিলু পুলিশ দেখে পালানোর সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হন, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সিলেট বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে সিলেট বিভাগীয় যুবদল। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় অবরোধের পিকেটিংয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিলু মারা যান। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মদনগৌরী এলাকার এলাইছ মিয়ার ছেলে। তাঁর আড়াই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধে পিকেটিং করতে যান জিলু। একপর্যায়ে তিনি পুলিশ দেখে পালানোর সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেন। সেখানেই তিনি মারা যান।
বিএনপির দাবি, জিলু মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় একদল পুলিশ তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে এবং পুলিশের ভ্যান দিয়ে তাঁর মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। এরপর তাঁকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাঁরা জিলুর মৃত্যুর সংবাদ পান।
নিহত জিলুর বড় ভাই মো. বুলু মিয়া জিলুর সঙ্গে আহত রফিক মিয়ার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেছন থেকে পুলিশের গাড়িয়ে ধাক্কা মারিয়া তারারে ফালাইছে। পুলিশে পরে তারারে থানায় নিছে। পরে আবার তারারে হসপিটালও লইয়া আইছে। পুলিশে হসপিটাল তারারে ওলান রাখিয়া আইছে। পরে আমরার মানুষে গিয়া তারারে ভর্তি করছেন। হসপিটালে ভর্তি তারা দুইজনে গাড়ির ধাক্কায় মাথায় চোট পাইছেন, নাকে-মুখে রক্ত বের হইছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে আর কেউ ইলান পরিস্থিতির সম্মুখীন না হইন।’
সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে পিকেটিং করতে যান যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ এসে যুবদল নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী শাহ সুন্দর এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে জিলু গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি মারা যান।’
অ্যাডভোকেট মোমিনুল জানান, ‘এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় আমরা বিক্ষোভ মিছিল করে বুধবার অবরোধের পাশাপাশি সিলেট বিভাগের যুবদলের পক্ষ থেকে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
তবে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-গণমাধ্যম) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সে পুলিশ হেফাজতে মারা যায়নি। সকালে লালাবাজারের এদিকে পিকেটিং করতে আসছিল সে। পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালাতে গিয়ে সে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে সেখানে তারা দুই ভাই পড়ে যায়। তখন লোকজন তাঁদের সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করে। আইসিইউতে সে মারা যায় এবং তার ভাই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখলেই বুঝতে পারবেন। যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তারা থানাতেই আছে।’
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। এটা অ্যাকসিডেন্টাল বিষয়, পুলিশ ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছ থেকে জেনে নেন।’
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে পুলিশি হেফাজতে জিলুর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে জেলা ও মহানগর বিএনপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতা-কর্মীরা। অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ যুবদল নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যান্য নেতা-কর্মীর সঙ্গে গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিলু আহমদ দিলু মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় একদল পুলিশ তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে এবং পুলিশের ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এরপর তাঁকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বেলা ২টার দিকে আমরা জিলুর মৃত্যুর সংবাদ পাই। যেহেতু পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়, সেহেতু পুলিশই উদীয়মান ও নিবেদিতপ্রাণ যুবনেতাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে জিলুর মৃত্যুতে গভীর শোক, দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করে নেতারা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মুক্তিকামী জনতা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সরকার জনতার ন্যায্য দাবির এই আন্দোলনকে দমাতে নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। যে জিলু সকাল বেলায়ও দেশের মানুষের দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন, বিকেলে তাঁকে লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। এভাবে তো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র চলতে পারে না। এই সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করার বিকল্প নেই।
এসএমপির ওসমানী মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলমগীর জানান, যুবদল নেতা জিলুর মরদেহ মর্গে রয়েছে। আগামীকাল বুধবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লাশ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
২০ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৪৪ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে