মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন, একজন খালাস

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ৫১

হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়েছেন উচ্চ আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। 

গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রুবেল মিয়া, আরজু মিয়ার সাজা কমানো হয়। খালাস পাওয়া উস্তার মিয়া পলাতক রয়েছেন। 

২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রুবেল মিয়া, আরজু মিয়া এবং উস্তার মিয়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ মৃত্যুদণ্ড দেন সিলেটের দ্রুত বিচার আদালত।

২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০) বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। 

মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাতো ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল পড়ত সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসায়। 

নিখোঁজের পর মনিরের বাবা আবদাল মিয়া একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি সুন্দ্রাটিকি গ্রামের পার্শ্ববর্তী স্থানে বালুচাপা অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় আবদাল মিয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাহুবল থানায় এই চারজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া। 

পরে গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তে এবং ও তাঁদের দেওয়া জবানবন্দিতে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত প্রধান আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় বলে তথ্য উঠে আসে। 

পরে ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। 

 ২০১৭ সালে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। খালাস দেওয়া হয় বাকি তিন আসামিকে। এর আগে এক আসামি বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। পরে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। 

এ বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত