সিলেট প্রতিনিধি
নিজের আধিপত্য বিস্তার ও সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রাহাত। মামলার প্রধান আসামি শামসুদ্দোহা সাদী তাঁর নিজের পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন রাহাতকে।
বুধবার ঢাকার মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, সাদী হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। বয়সে সাদী ছিলেন রাহাতের চেয়ে বড়। এ জন্য রাহাতের কাছে ‘জ্যেষ্ঠতা’ (সিনিয়রিটি) দাবি করে আসছিলেন সাদী। এ নিয়ে উভয়ের বিবাদের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার সময় সাদীর পকেটে ছুরি ছিল এবং সেটি দিয়ে রাহাতকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলেও জানিয়েছেন সাদী।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর সাদী পালিয়ে ঢাকার মিরপুরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ফটকের অভ্যন্তরে আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। রাহাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে এবং দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এ ঘটনায় ২৩ অক্টোবর রাতে নিহত রাহাতের চাচা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামিরা হলেন, দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী সামসুদ্দোহা সাদীকে (২০)। অপর দুই আসামি হলেন একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ (১৯) ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে মো. সানী।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার জানান, ঘটনার পর সাদী পালিয়ে ঢাকার মিরপুরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান। মঙ্গলবার তাঁকে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির একটি বিশেষ দল। রাহাত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বও সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
কলেজে বেপরোয়া ছিল শামসুদ্দোহা সাদী
রাহাত হত্যার সঙ্গে জড়িত সাদী দক্ষিণ সুরমা কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দক্ষিণ সুরমা কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় কলেজে রাজনীতি কার্যক্রম শুরু করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সালাম না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন সাদী। তাঁকে ‘ভাইয়া’ না ডাকলে জুনিয়রদের রেহাই নেই। তাঁকে সমীহ না করলে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হতো।
কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে উচ্ছৃঙ্খলতার জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর সাদীকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করতে মৌখিকভাবে বলা হয়। এরপর থেকে কলেজে অনিয়মিত ছিলেন সাদী।
শামসুল জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় সে দাবি জানান তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
নিজের আধিপত্য বিস্তার ও সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রাহাত। মামলার প্রধান আসামি শামসুদ্দোহা সাদী তাঁর নিজের পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন রাহাতকে।
বুধবার ঢাকার মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, সাদী হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। বয়সে সাদী ছিলেন রাহাতের চেয়ে বড়। এ জন্য রাহাতের কাছে ‘জ্যেষ্ঠতা’ (সিনিয়রিটি) দাবি করে আসছিলেন সাদী। এ নিয়ে উভয়ের বিবাদের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার সময় সাদীর পকেটে ছুরি ছিল এবং সেটি দিয়ে রাহাতকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলেও জানিয়েছেন সাদী।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর সাদী পালিয়ে ঢাকার মিরপুরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ফটকের অভ্যন্তরে আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। রাহাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে এবং দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এ ঘটনায় ২৩ অক্টোবর রাতে নিহত রাহাতের চাচা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামিরা হলেন, দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী সামসুদ্দোহা সাদীকে (২০)। অপর দুই আসামি হলেন একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ (১৯) ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে মো. সানী।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার জানান, ঘটনার পর সাদী পালিয়ে ঢাকার মিরপুরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান। মঙ্গলবার তাঁকে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির একটি বিশেষ দল। রাহাত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বও সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
কলেজে বেপরোয়া ছিল শামসুদ্দোহা সাদী
রাহাত হত্যার সঙ্গে জড়িত সাদী দক্ষিণ সুরমা কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দক্ষিণ সুরমা কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় কলেজে রাজনীতি কার্যক্রম শুরু করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সালাম না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন সাদী। তাঁকে ‘ভাইয়া’ না ডাকলে জুনিয়রদের রেহাই নেই। তাঁকে সমীহ না করলে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হতো।
কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে উচ্ছৃঙ্খলতার জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর সাদীকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করতে মৌখিকভাবে বলা হয়। এরপর থেকে কলেজে অনিয়মিত ছিলেন সাদী।
শামসুল জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় সে দাবি জানান তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে