জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
২০২৩ সাল যখন শুরু হয়, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ডলার-সংকটে কমতে কমতে নিট রিজার্ভ এখন ১৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়নে ঠেকেছে। শুধু রিজার্ভ নয়, বছরজুড়ে পুরো অর্থনীতিই ধুঁকেছে ডলার-সংকটে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, দুই বছর আগে মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৪ টাকার ঘরে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ধারাবাহিকভাবে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে দাম শতক ছাড়ায়। এরপর টানা বাড়তে থাকে। বর্তমানে প্রতি ডলারের নির্ধারিত বিনিময়মূল্য প্রবাসী আয় ও রপ্তানির জন্য ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, আর আমদানিকারকদের জন্য ১১০ টাকা। তবে বেঁধে দেওয়া এই দামে ডলার মিলছে না বাজারে।
আমদানিকারকেরা বলছেন, বাস্তবতা হলো ১২৩-১২৪ টাকার কমে কোনো ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। খোলাবাজারের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সেখানে নগদ ডলারের দাম ১২৯ টাকার রেকর্ড গড়েছে।
বারবার দর ঠিক করে দেওয়া, রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রণোদনা দেওয়াসহ বহু কসরত করেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দর দমাতে পারেনি। মূলত বাজারে চাহিদার বিপরীতে ডলার সরবরাহ কমে যাওয়ায় অস্থিরতা চলতে থাকে। এখন সরকারিভাবে ডলারের দর ১১৪ টাকায় আটকে রাখা হলেও, খোলাবাজারে ঠিকই চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে। ডলার-সংকটে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। আমদানির দায় ও বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ শোধেও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি এলএনজি ও জ্বালানি তেলের দায় শোধেও হিমশিম খেতে হয় বিপিসিকে। সবচেয়ে বড় সংকট হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে। ডলারের বেশি দামের কারণে প্রায় লাগামহীন হয় সব নিত্যপণ্যের দাম। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, রিজার্ভ এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এসে ঠেকেছে। আর এই ডলার এখন পুরো অর্থনীতিকে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে এনে ফেলেছে। এভাবেই বছরটি পার হতে যাচ্ছে। আগামী বছর ডলার-সংকট কোথায় গিয়ে থামবে, তা-ও ধারণা করতে পারছেন না বিশ্লেষকেরা। বছরের শেষ মাসে কিছু বাড়তি ডলার যোগ হয়েছে সত্য, তবে তা সামনে কতটা টেকসই হবে, এ ব্যাপারেও সন্দেহ সর্বত্র।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলার-সংকট নিরসনে নানা উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলেও সম্প্রতি ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এতে ডলার সরবরাহ বাড়বে।
ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোর হাতে ডলার বেড়েছে। তবে বাজারের ওপর শতভাগ ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা এখনো হয়নি। আর শ্রীলঙ্কার ঋণ আদায় ও বিদেশ থেকে নতুন করে ডলার আসায় বাড়ায় রিজার্ভ বেড়েছে। আশা করা যায়, ডলারের দর সহনীয় পর্যায়ে আসবে।’
ডলারের সংকট নিরসনে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বিনিময় ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এটি খুব একটা কাজে আসেনি। আবার কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সে চলমান আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি নিজেরা আরও আড়াই শতাংশ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। বিদেশি মুদ্রা হিসেবে সুদ আরোপ করে, কিন্তু ফলাফল শূন্য। পাগলা ঘোড়ার মতো লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে ডলারের দাম।
এদিকে ডলার-সংকটে রিজার্ভ নেমে এসেছে তলানিতে। গতকাল নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন নেমে আসে। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম ৬ অনুযায়ী ছিল ২১ দশমিক ১৬ এবং গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই সূচকে ১২৭ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। এর আগে কখনো আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ছিল না। এমনকি স্বয়ং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এক অনুষ্ঠানে স্বীকার করেছেন, তিনি চাকরি জীবনের ৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম এই সূচকটি নেতিবাচক দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। মূলত ডলার-সংকট পুরো অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সামনে সরকারি ও বেসরকারি খাতে নেওয়া বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণের কিস্তি দিতে হবে। এ চাপ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচন শেষ হলে ডলার ইস্যু অর্থনীতির জন্য নতুন সংকট নিয়ে আসবে। কাঙ্ক্ষিত ডলার না পেলে শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি কঠিন হয়ে পড়বে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা আরও কষ্টসাধ্য হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২৩ সাল যখন শুরু হয়, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ডলার-সংকটে কমতে কমতে নিট রিজার্ভ এখন ১৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়নে ঠেকেছে। শুধু রিজার্ভ নয়, বছরজুড়ে পুরো অর্থনীতিই ধুঁকেছে ডলার-সংকটে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, দুই বছর আগে মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৪ টাকার ঘরে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ধারাবাহিকভাবে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে দাম শতক ছাড়ায়। এরপর টানা বাড়তে থাকে। বর্তমানে প্রতি ডলারের নির্ধারিত বিনিময়মূল্য প্রবাসী আয় ও রপ্তানির জন্য ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, আর আমদানিকারকদের জন্য ১১০ টাকা। তবে বেঁধে দেওয়া এই দামে ডলার মিলছে না বাজারে।
আমদানিকারকেরা বলছেন, বাস্তবতা হলো ১২৩-১২৪ টাকার কমে কোনো ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। খোলাবাজারের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সেখানে নগদ ডলারের দাম ১২৯ টাকার রেকর্ড গড়েছে।
বারবার দর ঠিক করে দেওয়া, রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রণোদনা দেওয়াসহ বহু কসরত করেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দর দমাতে পারেনি। মূলত বাজারে চাহিদার বিপরীতে ডলার সরবরাহ কমে যাওয়ায় অস্থিরতা চলতে থাকে। এখন সরকারিভাবে ডলারের দর ১১৪ টাকায় আটকে রাখা হলেও, খোলাবাজারে ঠিকই চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে। ডলার-সংকটে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। আমদানির দায় ও বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ শোধেও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি এলএনজি ও জ্বালানি তেলের দায় শোধেও হিমশিম খেতে হয় বিপিসিকে। সবচেয়ে বড় সংকট হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে। ডলারের বেশি দামের কারণে প্রায় লাগামহীন হয় সব নিত্যপণ্যের দাম। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, রিজার্ভ এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এসে ঠেকেছে। আর এই ডলার এখন পুরো অর্থনীতিকে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে এনে ফেলেছে। এভাবেই বছরটি পার হতে যাচ্ছে। আগামী বছর ডলার-সংকট কোথায় গিয়ে থামবে, তা-ও ধারণা করতে পারছেন না বিশ্লেষকেরা। বছরের শেষ মাসে কিছু বাড়তি ডলার যোগ হয়েছে সত্য, তবে তা সামনে কতটা টেকসই হবে, এ ব্যাপারেও সন্দেহ সর্বত্র।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলার-সংকট নিরসনে নানা উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলেও সম্প্রতি ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এতে ডলার সরবরাহ বাড়বে।
ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোর হাতে ডলার বেড়েছে। তবে বাজারের ওপর শতভাগ ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা এখনো হয়নি। আর শ্রীলঙ্কার ঋণ আদায় ও বিদেশ থেকে নতুন করে ডলার আসায় বাড়ায় রিজার্ভ বেড়েছে। আশা করা যায়, ডলারের দর সহনীয় পর্যায়ে আসবে।’
ডলারের সংকট নিরসনে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বিনিময় ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এটি খুব একটা কাজে আসেনি। আবার কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সে চলমান আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি নিজেরা আরও আড়াই শতাংশ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। বিদেশি মুদ্রা হিসেবে সুদ আরোপ করে, কিন্তু ফলাফল শূন্য। পাগলা ঘোড়ার মতো লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে ডলারের দাম।
এদিকে ডলার-সংকটে রিজার্ভ নেমে এসেছে তলানিতে। গতকাল নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন নেমে আসে। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম ৬ অনুযায়ী ছিল ২১ দশমিক ১৬ এবং গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই সূচকে ১২৭ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। এর আগে কখনো আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ছিল না। এমনকি স্বয়ং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এক অনুষ্ঠানে স্বীকার করেছেন, তিনি চাকরি জীবনের ৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম এই সূচকটি নেতিবাচক দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। মূলত ডলার-সংকট পুরো অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সামনে সরকারি ও বেসরকারি খাতে নেওয়া বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণের কিস্তি দিতে হবে। এ চাপ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচন শেষ হলে ডলার ইস্যু অর্থনীতির জন্য নতুন সংকট নিয়ে আসবে। কাঙ্ক্ষিত ডলার না পেলে শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি কঠিন হয়ে পড়বে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা আরও কষ্টসাধ্য হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৩ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৪ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে