নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১১ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১২ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে