নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র–বিআইসিসিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও সেবা খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তাঁরা গত ১৪ বছরে ব্যবসা–বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। যেকোনো মূল্যে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং আমরা মনে করি আপনাকে আমাদের প্রয়োজন। আপনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। আমাদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান করব আরও উন্নত হবে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।’
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স–আইসিসির সভাপতি ও বয়োজেষ্ঠ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু জ্বালানির অভাবে এখন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দিকটা অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবাই বলে শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর সময় তাঁর বিকল্প ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, কী এমন জাদুর কাঠি আছে যা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বকে আকর্ষণ করেন। সারা বিশ্বের মানুষের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে যদি কেউ আবার এক-এগারোর সরকার হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সুন্দর নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন–বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সব সময় বলি শেখ হাসিনা সরকার, আজীবন দরকার। আজ বলব, জয় শেখ হাসিনা, জয় শেখ হাসিনা। আমরা যখন যা চেয়েছি তিনি কখনো মা, কখনো বোন হিসেবে তা দিয়েছেন। গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১৪ বছরে হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তা দ্বিগুণ হবে।’ তিন মাস পরে আবার এমন একটা আয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে আপনার জন্য। তাই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা যদি আগামী দিনে সমর্থন করি তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার অবর্তমানে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, ‘আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন আপনার বাবার দেওয়া দেশকে সেবা দেন। আমরা তিন থেকে চার কোটি ব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে থাকব।’
বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আপনি আমাদের মনোবল। গ্যাসের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি, বিদ্যুতের দাম বাড়ে আমরা সহ্য করি। কারণ আমরা জানি আপনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগামীতে আমরা আবার জেগে উঠব। অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আপাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে আশ্বস্ত করছি, আপনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক সেনা হিসেবে আপনার পাশে থাকবে।’
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এটা এ দেশের স্বর্ণযুগ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে চাই।’
বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর অনেক দেশ ঝরে গেছে, কিন্তু টিকে গেছে বাংলাদেশ। এটাই দেশি-বিদেশি শত্রুদের বড় গাত্রদাহ। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।’
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫৮ বছর ধরে পিপল অ্যাকশন পার্টি সিঙ্গাপুর পরিচালন করে আসছে। আজ সিঙ্গাপুর বিশ্বের উন্নত দেশ। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পাকিস্তানের লোক এখন বলছে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে রয়েছি।’
ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আগে বিদেশি কোম্পানিতে হাতে গোনা কয়েকজন দেশি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। কারণ গত ১৫ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, এ জন্য বিদেশির এ দেশিদের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের যে সক্ষমতা এসেছে তা আপনার নেতৃত্বে হয়েছে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬ তম ইকোনমি এবং ৯ম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হবে। এ দুটিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা দরকার।’
ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ইঞ্চি কৃষির আওতায় আসবে, তা দেশকে বহুদূর এগিয়ে দেবে। ব্যবসায়ীরা আপনার সৈনিক, ভীষণ ভাবে দেশকে ভালোবাসি, আপনার কাতারে যোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনিটেক্স বাংলাদেশের সিইও জাবিয়ার কার্লোস, জাপান বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাইয়ং হো লি প্রমুখ।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
১৫ জুলাই ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে