বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় ঝুঁকি জ্বালানি স্বল্পতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০: ৫১
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০: ৫২

জ্বালানিস্বল্পতাই সামনে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এ কারণে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। অর্থনীতিতে ঝুঁকির অন্যান্য ক্ষেত্র হচ্ছে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া, সম্পদ ও আয়বৈষম্য, সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়া এবং বেকারত্ব। 

বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। গত বুধবার সংস্থাটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে। সিপিডি জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের মোট ৭১টি কোম্পানির ওপর জরিপ করে ঝুঁকির এ তালিকা প্রস্তুত করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামকে দেয়। তার ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। 

গত বছর ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের প্রধান পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করেছিলেন। সেগুলো ছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ-সংকট, উচ্চ পণ্যমূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। মূল্যস্ফীতি এবারও অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি বিবেচনা করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। 
প্রতিবেদনে জ্বালানি-সংকটের কারণে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে গ্যাসনির্ভর শিল্প বিশেষ করে সিরামিক, ইস্পাত, টেক্সটাইল—এসব খাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বর্ধিত দামে চাহিদার তুলনায় ৬০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ পাওয়ার কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

ব্যবসায়ীদের জন্য দ্বিতীয় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েন। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে লেনদেনে ভারসাম্য থাকে না এবং ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও সমস্যা হয়। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ব্যবসায়ীরা অর্থনীতিতে 

ঝুঁকির কারণ হিসেবে সম্পদ ও আয়বৈষম্যের কথাও উল্লেখ করেছেন। গত বছর এ বিষয়টি ঝুঁকির তালিকায় ছিল না। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পিছিয়ে থাকবে। এক্ষেত্রে যে অর্থায়ন প্রয়োজন, সে নিরিখে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে মাথাপিছু প্রায় ৪০০ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ২৩০ ডলারের মতো বিনিয়োগ হতে পারে বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। 

আরেকটি ঝুঁকি হচ্ছে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি ঋণ বেড়ে গেলে প্রথমত বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমে যায়। সরকারি ঋণ বাড়লে ব্যাংক ঋণের সুদও বেড়ে যায়। 

প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিসরে আগামী দুই বছরে ১০টি প্রধান ঝুঁকির ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো যথাক্রমে ভুল ও অপতথ্য, আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা, সামাজিক বিভেদ, সাইবার নিরাপত্তাহীনতা, দেশে অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব, মূল্যস্ফীতি, অনিচ্ছাকৃত অভিবাসন, প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া ও দূষণ। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত