আসাদুজ্জামান নূর
কালের গহ্বরে বিলীন হলো আরেকটি বছর। নতুন বছরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি গড়ে উঠবে। নতুন বছরে আসতে পারে এমন চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত—এ বিষয়ে কথা বলেছেন ক্রেতা-ভোক্তা প্রতিনিধিরা। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি জানুন আজকের পত্রিকায়, রোকন উদ্দীন ও আসাদুজ্জামান নূর-এর প্রতিবেদনে।
ভোক্তার বিড়ম্বনা দূর করার পদক্ষেপ জরুরি
এস এম নাজের হোসাইন,সহসভাপতি, ক্যাব
২০২৪ সালজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহের সংকট ছিল অন্যতম আলোচনার বিষয়। প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা একের পর এক অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মানুষ ভেবেছিল, পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু বাস্তবে মানুষের সেই আশার গুড়ে বালি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে—পণ্যের আমদানি শুল্ক, ভ্যাটসহ বিভিন্ন কর প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু বাজারে তার কোনো কার্যকর প্রভাব দেখা যায়নি।
বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীরা নানা অপকর্ম করেছেন। ব্যবসায়ীদের অপকর্ম রুখতে প্রশাসনের অনীহা ছিল; এখনো তারা অবস্থার পরিবর্তন করেনি। অতিমুনাফা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেকেই গা ছাড়া ভাব নিয়ে কাজ করছেন; যার ফলে সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ মাঠপর্যায়ে সেভাবে পড়ছে না। সর্বোপরি ভোক্তার বিড়ম্বনা দূর করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। আশা করছি, নতুন বছরে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। মাঠ প্রশাসনকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় জনগণ সুফল পাবে না।
পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালে আনতে হবে
মাহবুবা আলম,গৃহিণী, মানিকনগর
নিত্যপণ্যের উচ্চ দামে নাকাল দেশের সাধারণ মানুষ। চাল, তেল, ডিম থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, দুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য সংসার চালানো রীতিমতো দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক কেজি মাঝারি মানের চালের দাম এখন প্রায় ৭০ টাকা, একটি ডিমের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা। গরুর মাংসের দাম এতটাই বেড়েছে যে এক কেজি মাংস কেনা অনেকের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনকি অল্প পরিমাণে যেমন ২৫০ বা ৫০০ গ্রাম মাংস কিনতে চাইলেও তা দিতে বিক্রেতারা আগ্রহী হন না। একই চিত্র মাছ ও সবজির বাজারেও—বড় মাছ কেটে বিক্রি না হওয়ায় রুই, কাতলা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ইদানীং বাজারে সবজিও অল্প পরিমাণে বিক্রিতে বিক্রেতাদের অনীহা দেখা যাচ্ছে। যেহেতু মূল্যস্ফীতি অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে, তাই এই পদ্ধতির পরিবর্তন হওয়া উচিত। ক্রেতার সাধ্যমতো যেকোনো পরিমাণে পণ্য কেনার অধিকার থাকতে হবে। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষ অন্তত পুষ্টিকর খাবার না খেতে পেয়ে অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগবে না।
এ ছাড়া নিম্নমানের পণ্য ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে; যাতে ক্রেতারা ভালো মানের পণ্য সুলভে কিনতে পারে।
কালের গহ্বরে বিলীন হলো আরেকটি বছর। নতুন বছরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি গড়ে উঠবে। নতুন বছরে আসতে পারে এমন চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত—এ বিষয়ে কথা বলেছেন ক্রেতা-ভোক্তা প্রতিনিধিরা। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি জানুন আজকের পত্রিকায়, রোকন উদ্দীন ও আসাদুজ্জামান নূর-এর প্রতিবেদনে।
ভোক্তার বিড়ম্বনা দূর করার পদক্ষেপ জরুরি
এস এম নাজের হোসাইন,সহসভাপতি, ক্যাব
২০২৪ সালজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহের সংকট ছিল অন্যতম আলোচনার বিষয়। প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা একের পর এক অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মানুষ ভেবেছিল, পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু বাস্তবে মানুষের সেই আশার গুড়ে বালি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে—পণ্যের আমদানি শুল্ক, ভ্যাটসহ বিভিন্ন কর প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু বাজারে তার কোনো কার্যকর প্রভাব দেখা যায়নি।
বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীরা নানা অপকর্ম করেছেন। ব্যবসায়ীদের অপকর্ম রুখতে প্রশাসনের অনীহা ছিল; এখনো তারা অবস্থার পরিবর্তন করেনি। অতিমুনাফা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেকেই গা ছাড়া ভাব নিয়ে কাজ করছেন; যার ফলে সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ মাঠপর্যায়ে সেভাবে পড়ছে না। সর্বোপরি ভোক্তার বিড়ম্বনা দূর করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। আশা করছি, নতুন বছরে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। মাঠ প্রশাসনকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় জনগণ সুফল পাবে না।
পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালে আনতে হবে
মাহবুবা আলম,গৃহিণী, মানিকনগর
নিত্যপণ্যের উচ্চ দামে নাকাল দেশের সাধারণ মানুষ। চাল, তেল, ডিম থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, দুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য সংসার চালানো রীতিমতো দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক কেজি মাঝারি মানের চালের দাম এখন প্রায় ৭০ টাকা, একটি ডিমের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা। গরুর মাংসের দাম এতটাই বেড়েছে যে এক কেজি মাংস কেনা অনেকের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনকি অল্প পরিমাণে যেমন ২৫০ বা ৫০০ গ্রাম মাংস কিনতে চাইলেও তা দিতে বিক্রেতারা আগ্রহী হন না। একই চিত্র মাছ ও সবজির বাজারেও—বড় মাছ কেটে বিক্রি না হওয়ায় রুই, কাতলা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ইদানীং বাজারে সবজিও অল্প পরিমাণে বিক্রিতে বিক্রেতাদের অনীহা দেখা যাচ্ছে। যেহেতু মূল্যস্ফীতি অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে, তাই এই পদ্ধতির পরিবর্তন হওয়া উচিত। ক্রেতার সাধ্যমতো যেকোনো পরিমাণে পণ্য কেনার অধিকার থাকতে হবে। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষ অন্তত পুষ্টিকর খাবার না খেতে পেয়ে অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগবে না।
এ ছাড়া নিম্নমানের পণ্য ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে; যাতে ক্রেতারা ভালো মানের পণ্য সুলভে কিনতে পারে।
সিঙ্গাপুরের উইলমার ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে ভোগ্যপণ্য ব্যবসার যৌথ উদ্যোগ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ভারতের আদানি গ্রুপ। উইলমার ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে ২০০ কোটি ডলারে চুক্তি করেছে আদানি।
১১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬
১ দিন আগেরাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকার অর্থবছরের মাঝামাঝি এসে ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) ওপর ভর করার যে পথটি বেছে নিয়েছে, তা প্রতিকূল ফলাফল নিয়ে আসতে পারে বলে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন। ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের মাধ্যমে সরকার সম্পদশালীদের ওপর সরাসরি বাড়তি কর আরোপের পরিবর্তে
১ দিন আগেফেব্রুয়ারির পর ব্যবসা-বাণিজ্যের ১৯ বিভাগের সব লাইসেন্স আবেদন বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে করতে হবে। তা না হলে ওই বিভাগের বরাদ্দ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
১ দিন আগে