আদানির বিদ্যুৎ আমদানি ৩৩ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ০১
ফাইল ছবি

ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি গত নভেম্বরে প্রায় ৩৩ শতাংশ কমিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এই ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের ব্যবহার বেড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে আদানি পাওয়ার তার গোড্ডায় অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়। আদানির দাবি, বাংলাদেশ পাওনা পরিশোধে দেরি করায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এর আগে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আদানি পাওয়ার ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি সই করেছিল। বাংলাদেশ আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ মূল্য পুনর্বিবেচনা করতে বলছে। কারণ, আদানি যে দামে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রয় করে তা দেশীয় অন্যান্য সরবরাহকারীর তুলনায় অনেক বেশি। চলতি বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার ক্ষমতা হারানোর আগপর্যন্ত আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৯ শতাংশ সরবরাহ করত।

ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ কমিটির তথ্য অনুসারে, গোড্ডা প্ল্যান্ট গত নভেম্বরে বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। এটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে আদানির আমদানি করা বিদ্যুতের সর্বনিম্ন মাসিক পরিমাণ।

এ দিকে, শীত মৌসুমে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকলেও বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা বার্ষিক ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। আদানি থেকে কম বিদ্যুৎ আমদানির ফলে সৃষ্ট শূন্যতা পূরণে দেশটি জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করেছে।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার নভেম্বরে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা ২১ মাস পতনের পর এটি টানা তৃতীয় মাসে বৃদ্ধি পেল।

এ ছাড়া, প্রাকৃতিক গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন নভেম্বর মাসে ১০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন টানা তৃতীয় মাসে কমেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত