রেকর্ড বেকারত্বের তথ্য প্রকাশের পর চীনা পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ‘ভুল ছিল’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৪০

চীনে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব রেকর্ড সংখ্যক বেড়েছে। গত জুনে এই তথ্য প্রকাশ করে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। আবাসন খাতে ধসের মধ্যে কারখানার উৎপাদন ও ভোগ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়া নিয়ে সরকার যখন উদ্বিগ্ন, সেই সময় এমন তথ্য প্রকাশ পায়। 

আজ মঙ্গলবার পরিসংখ্যান ব্যুরো তরুণদের বেকারত্বের হার নিয়ে তথ্য প্রকাশ স্থগিত করেছে। এই জরিপের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। 

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে কারখানার উৎপাদন ও খুচরা বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে হতাশাজনকভাবে কমে যাওয়ায় মানুষ কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে। 

এর মধ্যে তরুণদের বেকারত্ব নিয়ে হতাশাজনক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে পরিসংখ্যান ব্যুরো। ধারণা করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা কমে গেলে এবং উদ্বেগ বেড়ে গেলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় চীন সরকার প্রকাশিত পরিসংখ্যান স্থগিত করেছে। 

অবশ্য সম্প্রতি চীন সরকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য–উপাত্তে প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এবার বেকারত্ব নিয়ে তথ্য গোপনের চেষ্টা চলবে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।

বেকারত্বের তথ্য স্থগিতের বিষয়ে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মুখপাত্র ফু লিংহুই বলেন, ‘সরকার তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া আরও কার্যকর করা পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ স্থগিত থাকবে।’ 

ফু বলেন, ‘গত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের মূল দায়িত্ব হলো পড়াশোনা করা। শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ করার আগে কাজ খোঁজা উচিত কি না তা নিয়ে সমাজের নানা মত রয়েছে। শ্রমশক্তি নিয়ে জরিপ ও পরিসংখ্যানে এ বিষয় যুক্ত করা উচিত।’ নানা মতের বিষয়টি ও তরুণদের বয়সের সংজ্ঞা যা বর্তমানে ১৬–২৪ ধরা হয়, সেটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন ফু। 

অর্থনৈতিক সেবাদানকারী বহুজাতিক সংস্থা নমুরার চীন বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ টিং লু বলেন, ‘সামষ্টিক ডেটার সরবরাহ কমে গেলে চীনে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরও কমে যেতে পারে। গত জুলাইয়ে তরুণদের বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়া প্রত্যাশিতই ছিল।’ 

গত বছর চীনে কোভিড–১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় চীন এ রোগে মৃত্যুর সংজ্ঞা বদলে ফেলে। এ নিয়ে দেশে ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় শি চিন পিং সরকারকে। আজ মঙ্গলবার বেকারত্বের তথ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্তও সমালোচনার মুখে পড়বে। কারণ গ্রীষ্মকালীন চাকরির বাজারে চীনা তরুণেরা কঠিন সময় পার করছেন। 

গত মাসে তরুণ বেকারত্ব নিয়ে প্রকাশিত পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডেটা অনুসারে, গত জুনে কর্মসংস্থানহীনের হার এক লাফে ২১ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছে।

গত বছর স্নাতক শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ৪৭ শতাংশ ডিগ্রিধারী বাড়ি ফিরে যায়। ২০১৮ সালে এ হার ছিল ৪৩ শতাংশ। রাষ্ট্র–নিয়ন্ত্রিত চীনা সংবাদ সংস্থা গত সপ্তাহে এক বেসরকারি জরিপ সংস্থাকে উল্লেখ করে এ তথ্য প্রকাশ করে।

চীনের মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘অন্ধ হলে তো প্রলয় বন্ধ থাকে না।’ ওয়েইবোতে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একটি হ্যাশট্যাগ ১ কোটির বেশি ভিউ পেয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত