বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি: তদন্তে ত্রুটি, আরও ২ দুদক কর্মকর্তাকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৫৪
Thumbnail image

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা আরও ১৩টি দুর্নীতির মামলার তদন্তকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ আদেশ দেন।

আদেশে ব্যাংকের দুর্নীতির সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদ জড়িত কি না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। তলব করা কর্মকর্তারা হলেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও মোনায়েম হোসেন।

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলকারী গুলশান আনোয়ারকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬টি মামলার তদন্তকারী মোনায়েম হোসেনকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজির হতে বলা হয়েছে।

মামলাগুলোর তদন্তে ত্রুটি চিহ্নিত করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ আদেশ দেন। আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী রেজাউল করিম রেজা।

আজ তলব করা দুজনসহ পাঁচ তদন্ত কর্মকর্তা বাচ্চুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ৫৯টি দুর্নীতি মামলা তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছেন। এই ৫৯ মামলার বাচ্চুসহ আসামি মোট ১৪৬ জন। তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা পাওয়ার পর বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন যে ৫৯টি মামলায় বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না।

২০২৩ সালের ১২ জুন দুদক বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় মামলাগুলোর অভিযোগপত্র দাখিল করে। কিন্তু মামলাগুলোতে পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি যারা ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ব্যাপক অর্থ আত্মসাতের সময় ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়ে বেসিক থেকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যার ৯৫ শতাংশেরও বেশি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ঋণ রয়েছে।

২০১৫ সালে বেসিক ব্যাংকে অর্থ কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত ৫৬টি মামলা দায়ের করেছিল দুদক। কিন্তু একাধিক তদন্তে তাঁদের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেওয়া সত্ত্বেও বাচ্চু বা বোর্ড সদস্যদের কাউকেই আসামি করা হয়নি। পরে আরও চারটি মামলা করা হয়। ব্যাপক সমালোচনার পর চার্জশিটে বাচ্চুকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবর একই কারণে ১৬টি মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তাকে তলবের নির্দেশ দিয়েছেন একই আদালত। কর্মকর্তারা হলেন দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এবং উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মো. সিরাজুল হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত