অনলাইন ডেস্ক
রেকর্ড দামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দুটি কার্গো কিনেছে বাংলাদেশ। চলতি অক্টোবরে সরবরাহের জন্যই এ দুটি কার্গো কেনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার শিল্প সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, একটি কার্গো কেনা হয়েছে আন্তর্জাতিক এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভিটোলের কাছ থেকে। মধ্য অক্টোবরে এটি সরবরাহ করা হবে। এই ক্রয়ে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) গ্যাসের দাম পড়েছে ৩৫ দশমিক ৮৯ ডলার। অপর কার্গোটি কেনা হয়েছে আরেক এলএনজি ট্রেডার গানভরের কাছ থেকে। সেখানে দর পড়েছে প্রতি এমএমবিটিইউ ৩৬ দশমিক ৯৫ ডলার। যা এ পর্যন্ত এলএনজির সর্বোচ্চ দর। যেখানে গত জানুয়ারিতে কেনা প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল ১০ ডলার।
ইউরোপে কম মজুদের কারণে আসছে শীতকালকে সামনে রেখে এশিয়ার বাজারে এলএনজি সরবরাহ কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েছে।
পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, শীত আসতে এখনো দেরি। কিন্তু এখনই এলএনজির বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। দাম ব্যাপক ভাবে বাড়ছে। এমন অস্বাভাবিক দামের সঙ্গে তাল মেলানো সত্যিই কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৫ ডলারের নিচে নেমে আসার আগে এশিয়ায় স্পট মার্কেটে এলএনজির দর রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যায়। এ সময় এলএনজির দাম সর্বোচ্চ ৫৬ ডলার প্রতি এমএমবিটিইউ পর্যন্ত উঠেছিল। মূলত ইউরোপে গ্যাসের কম মজুদ এশিয়ার বাজারে প্রতিযোগিতা উসকে দিচ্ছে। আগামী শীতের চাহিদা বিবেচনায় এখনই বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। যদিও এখানে জ্বালানি তেল (ফার্নেসসহ) এবং ডিজেল চালিত কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
এ অবস্থায় এলএনজির এই রেকর্ড উচ্চ দর বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যারা সাধারণত বড় আকারে স্পট কার্গো আমদানি করে তারা পড়েছে বিপাকে। বাজারের এই অস্থিরতার মধ্যে এসব দেশকে মরিয়া হয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
অবশ্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে। এরই মধ্যে পাঁচটি তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষের পর্যায়ে। চুক্তি নবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে সরকার।
গত মাসেই এসব চুক্তি নবায়ন না করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছিল। কারণ এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মোটেও সাশ্রয়ী নয় বলে দেখা গেছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরিকল্পনা এখনও আলোচনার টেবিলে আছে।
একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, জ্বালানি সংকট আসন্ন। আমাদের এখনই প্রস্তুত হতে হবে। এলএনজির দামে সব রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে। আমরা জানি না, এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে। এ কারণে আমরা সব বিকল্প নিয়ে ভাবছি।
তেলের দাম বৃদ্ধি অর্থনীতিকেও আঘাত করছে উল্লেখ করে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, এই সংকট মোকাবিলায় সরকার প্রবল ভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশে দুটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) বছরে ৭ মিলিয়ন টন এলএনজিকে রিগ্যাসিফিকেশন (প্রক্রিয়াকরণ) করতে পারে। সরকার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কাতার ও ওমান থেকে ৪ মিলিয়ন টন এলএনজি সংগ্রহ করে। বাকি এলএনজি সিঙ্গাপুরের স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা হয়। কাতার ও ওমান থেকে কেনা এলএনজির প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়ে ১০ ডলার।
দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে গড়ে ২০ শতাংশের ওপর থাকে এলএনজি।
রেকর্ড দামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দুটি কার্গো কিনেছে বাংলাদেশ। চলতি অক্টোবরে সরবরাহের জন্যই এ দুটি কার্গো কেনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার শিল্প সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, একটি কার্গো কেনা হয়েছে আন্তর্জাতিক এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভিটোলের কাছ থেকে। মধ্য অক্টোবরে এটি সরবরাহ করা হবে। এই ক্রয়ে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) গ্যাসের দাম পড়েছে ৩৫ দশমিক ৮৯ ডলার। অপর কার্গোটি কেনা হয়েছে আরেক এলএনজি ট্রেডার গানভরের কাছ থেকে। সেখানে দর পড়েছে প্রতি এমএমবিটিইউ ৩৬ দশমিক ৯৫ ডলার। যা এ পর্যন্ত এলএনজির সর্বোচ্চ দর। যেখানে গত জানুয়ারিতে কেনা প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল ১০ ডলার।
ইউরোপে কম মজুদের কারণে আসছে শীতকালকে সামনে রেখে এশিয়ার বাজারে এলএনজি সরবরাহ কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েছে।
পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, শীত আসতে এখনো দেরি। কিন্তু এখনই এলএনজির বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। দাম ব্যাপক ভাবে বাড়ছে। এমন অস্বাভাবিক দামের সঙ্গে তাল মেলানো সত্যিই কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৫ ডলারের নিচে নেমে আসার আগে এশিয়ায় স্পট মার্কেটে এলএনজির দর রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যায়। এ সময় এলএনজির দাম সর্বোচ্চ ৫৬ ডলার প্রতি এমএমবিটিইউ পর্যন্ত উঠেছিল। মূলত ইউরোপে গ্যাসের কম মজুদ এশিয়ার বাজারে প্রতিযোগিতা উসকে দিচ্ছে। আগামী শীতের চাহিদা বিবেচনায় এখনই বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। যদিও এখানে জ্বালানি তেল (ফার্নেসসহ) এবং ডিজেল চালিত কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
এ অবস্থায় এলএনজির এই রেকর্ড উচ্চ দর বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যারা সাধারণত বড় আকারে স্পট কার্গো আমদানি করে তারা পড়েছে বিপাকে। বাজারের এই অস্থিরতার মধ্যে এসব দেশকে মরিয়া হয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
অবশ্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে। এরই মধ্যে পাঁচটি তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষের পর্যায়ে। চুক্তি নবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে সরকার।
গত মাসেই এসব চুক্তি নবায়ন না করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছিল। কারণ এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মোটেও সাশ্রয়ী নয় বলে দেখা গেছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরিকল্পনা এখনও আলোচনার টেবিলে আছে।
একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, জ্বালানি সংকট আসন্ন। আমাদের এখনই প্রস্তুত হতে হবে। এলএনজির দামে সব রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে। আমরা জানি না, এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে। এ কারণে আমরা সব বিকল্প নিয়ে ভাবছি।
তেলের দাম বৃদ্ধি অর্থনীতিকেও আঘাত করছে উল্লেখ করে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, এই সংকট মোকাবিলায় সরকার প্রবল ভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশে দুটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) বছরে ৭ মিলিয়ন টন এলএনজিকে রিগ্যাসিফিকেশন (প্রক্রিয়াকরণ) করতে পারে। সরকার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কাতার ও ওমান থেকে ৪ মিলিয়ন টন এলএনজি সংগ্রহ করে। বাকি এলএনজি সিঙ্গাপুরের স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা হয়। কাতার ও ওমান থেকে কেনা এলএনজির প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়ে ১০ ডলার।
দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে গড়ে ২০ শতাংশের ওপর থাকে এলএনজি।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৮ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৯ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৯ ঘণ্টা আগে