
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান নূর
আসাদুজ্জামান নূর

আজকের পত্রিকা: বর্তমান অর্থনীতি ও ব্যবসায় যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান, সেগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
কামরান টি রহমান: বর্তমানে কয়েকটি বড় ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। আমরা এখনো শুনছি এবং সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে অনেক থানায় একসময় ৭০ জন কর্মী ছিলেন, এখন সেখানে কাজ করছেন মাত্র ২০ জন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে পরিমাণ লুটপাট ও অনিয়মের চিত্র সামনে এসেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রকাশিত শ্বেতপত্রে এর ভয়ানক পরিণতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে এবং যেগুলো এখনো টিকে আছে, তাদের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে পুরো ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা সংকটে পড়বে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেড়ে ১৩-১৪ শতাংশে পৌঁছেছে এবং কার্যকর হার ১৫-১৬ শতাংশে চলে গেছে। এই উচ্চ সুদের হারে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঋণের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি কাঁচামাল আমদানি ও এনার্জির খরচও বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত খরচগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, কখনো এর নিচে নেমেছে। পাশাপাশি মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে; ৮৬ টাকা প্রতি ডলার ছিল, যা এখন অফিশিয়ালি ১২২ টাকায় উঠে গেছে। এলসি খোলার ডলারের দাম আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি এত বেড়েছে যে চাল, ডাল, আদা, রসুন, মরিচ, তেল, লবণ—সব পণ্যে তার উত্তাপ লেগেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম। এটি কখন বাড়বে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে নতুন বিনিয়োগের কোনো সাড়া নেই, সবাই ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থায় রয়েছে। সবাই অপেক্ষা করছে, দেখে নেবে অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তারপর হয়তো বিনিয়োগ শুরু হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে খরচ বাড়ছে। যদি এই বাড়তি খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো যেত, তাহলে ব্যবসা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা খরচের পরিমাণ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে ব্যবসা অনেক খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সমস্যা তো অনেক, উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
কামরান টি রহমান: আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। ব্যবসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন ব্যাংকিং সহায়তা, বিশেষ করে কম সুদে ঋণ। যদি এই সহায়তা পাওয়া না যায়, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে অনেকে ব্যবসা চালাতে পারছে না এবং তারা এক্সিট পলিসি চায়, যা এখনো নেই। এলসিতে নমনীয়তা থাকা জরুরি, পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রথমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পরখ করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি এমন যে সবাই অপেক্ষা করছে, রাজনৈতিক সরকার স্থিতিশীল হলে তারপর বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবে।
আজকের পত্রিকা: এর জন্য কি একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য?
কামরান টি রহমান: রাজনৈতিক সরকার আসা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, সবাই সেটা দেখতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততই দেশের জন্য ভালো, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে। এটি সবার প্রত্যাশা।
আজকের পত্রিকা: এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনারা কী ধরনের প্রত্যাশা করছেন?
কামরান টি রহমান: অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং তাদের সুপারিশ থাকবে, তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই সরকার সবগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যত তাড়াতাড়ি রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে। সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করতে পারবে না; তাই যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করা দেশের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে?
কামরান টি রহমান: ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরছেন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। যদি সরকারের মনে হয়, কোনো বিকল্প পথ রয়েছে, তবে সেটি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।
আজকের পত্রিকা: ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?
কামরান টি রহমান: মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে এবং তার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর আরও চাপ বাড়ছে। এর ফলে ভোগ কমে যাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলো জানাচ্ছে, আগে যে বড় প্যাকেজ বিক্রি হতো, তা এখন মানুষের পক্ষ থেকে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা ছোট প্যাকেজ বিক্রি করছে।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যে পণ্য আগে ৮৫ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন তা ১২২ বা ১২৫ টাকায় আসছে। এর ওপর কাস্টমস ডিউটি ও ভ্যাট যোগ হচ্ছে। ফলে সব ধরনের শিল্পে ভ্যাট বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সরকার কোন পথে আয় করবে?
কামরান টি রহমান: আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে, যা বৈশ্বিকভাবে কম। এ অনুপাত বাড়ানোর জন্য করজাল সম্প্রসারণ জরুরি। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটির বেশি টিন নম্বর থাকলেও মাত্র ৪০ লাখ মানুষ রিটার্ন দেয়। ফলে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়, তবে বর্তমান করদাতারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। সরকার করজাল বাড়াতে পারছে না, তাই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ জরুরি, কিন্তু শুধু ভ্যাটে নির্ভর করা যাবে না। করজাল বাড়াতে হবে এবং সরকারকে খরচ কমাতে হবে। আমরা যদি কর দিই আর সরকার খরচ বাড়াতে থাকে, তবে সেটা টেকসই হবে না।
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংগ্রহে আগ্রহ দেখান কেন? তাঁদের জন্য শেয়ারবাজার কেন এতটা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে?
কামরান টি রহমান: অনেক ব্যবসায়ী পুঁজিবাজারে যেতে চান না। কারণ, সেখানে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া জটিল। অনেকের কাছে এসব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। বড় ব্যবসাগুলো কিছুটা সক্ষম হলেও ছোট ব্যবসাগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়া কঠিন।
আজকের পত্রিকা: বর্তমান অর্থনীতি ও ব্যবসায় যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান, সেগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
কামরান টি রহমান: বর্তমানে কয়েকটি বড় ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। আমরা এখনো শুনছি এবং সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে অনেক থানায় একসময় ৭০ জন কর্মী ছিলেন, এখন সেখানে কাজ করছেন মাত্র ২০ জন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে পরিমাণ লুটপাট ও অনিয়মের চিত্র সামনে এসেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রকাশিত শ্বেতপত্রে এর ভয়ানক পরিণতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে এবং যেগুলো এখনো টিকে আছে, তাদের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে পুরো ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা সংকটে পড়বে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেড়ে ১৩-১৪ শতাংশে পৌঁছেছে এবং কার্যকর হার ১৫-১৬ শতাংশে চলে গেছে। এই উচ্চ সুদের হারে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঋণের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি কাঁচামাল আমদানি ও এনার্জির খরচও বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত খরচগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, কখনো এর নিচে নেমেছে। পাশাপাশি মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে; ৮৬ টাকা প্রতি ডলার ছিল, যা এখন অফিশিয়ালি ১২২ টাকায় উঠে গেছে। এলসি খোলার ডলারের দাম আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি এত বেড়েছে যে চাল, ডাল, আদা, রসুন, মরিচ, তেল, লবণ—সব পণ্যে তার উত্তাপ লেগেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম। এটি কখন বাড়বে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে নতুন বিনিয়োগের কোনো সাড়া নেই, সবাই ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থায় রয়েছে। সবাই অপেক্ষা করছে, দেখে নেবে অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তারপর হয়তো বিনিয়োগ শুরু হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে খরচ বাড়ছে। যদি এই বাড়তি খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো যেত, তাহলে ব্যবসা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা খরচের পরিমাণ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে ব্যবসা অনেক খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সমস্যা তো অনেক, উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
কামরান টি রহমান: আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। ব্যবসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন ব্যাংকিং সহায়তা, বিশেষ করে কম সুদে ঋণ। যদি এই সহায়তা পাওয়া না যায়, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে অনেকে ব্যবসা চালাতে পারছে না এবং তারা এক্সিট পলিসি চায়, যা এখনো নেই। এলসিতে নমনীয়তা থাকা জরুরি, পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রথমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পরখ করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি এমন যে সবাই অপেক্ষা করছে, রাজনৈতিক সরকার স্থিতিশীল হলে তারপর বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবে।
আজকের পত্রিকা: এর জন্য কি একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য?
কামরান টি রহমান: রাজনৈতিক সরকার আসা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, সবাই সেটা দেখতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততই দেশের জন্য ভালো, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে। এটি সবার প্রত্যাশা।
আজকের পত্রিকা: এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনারা কী ধরনের প্রত্যাশা করছেন?
কামরান টি রহমান: অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং তাদের সুপারিশ থাকবে, তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই সরকার সবগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যত তাড়াতাড়ি রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে। সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করতে পারবে না; তাই যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করা দেশের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে?
কামরান টি রহমান: ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরছেন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। যদি সরকারের মনে হয়, কোনো বিকল্প পথ রয়েছে, তবে সেটি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।
আজকের পত্রিকা: ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?
কামরান টি রহমান: মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে এবং তার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর আরও চাপ বাড়ছে। এর ফলে ভোগ কমে যাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলো জানাচ্ছে, আগে যে বড় প্যাকেজ বিক্রি হতো, তা এখন মানুষের পক্ষ থেকে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা ছোট প্যাকেজ বিক্রি করছে।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যে পণ্য আগে ৮৫ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন তা ১২২ বা ১২৫ টাকায় আসছে। এর ওপর কাস্টমস ডিউটি ও ভ্যাট যোগ হচ্ছে। ফলে সব ধরনের শিল্পে ভ্যাট বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সরকার কোন পথে আয় করবে?
কামরান টি রহমান: আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে, যা বৈশ্বিকভাবে কম। এ অনুপাত বাড়ানোর জন্য করজাল সম্প্রসারণ জরুরি। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটির বেশি টিন নম্বর থাকলেও মাত্র ৪০ লাখ মানুষ রিটার্ন দেয়। ফলে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়, তবে বর্তমান করদাতারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। সরকার করজাল বাড়াতে পারছে না, তাই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ জরুরি, কিন্তু শুধু ভ্যাটে নির্ভর করা যাবে না। করজাল বাড়াতে হবে এবং সরকারকে খরচ কমাতে হবে। আমরা যদি কর দিই আর সরকার খরচ বাড়াতে থাকে, তবে সেটা টেকসই হবে না।
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংগ্রহে আগ্রহ দেখান কেন? তাঁদের জন্য শেয়ারবাজার কেন এতটা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে?
কামরান টি রহমান: অনেক ব্যবসায়ী পুঁজিবাজারে যেতে চান না। কারণ, সেখানে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া জটিল। অনেকের কাছে এসব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। বড় ব্যবসাগুলো কিছুটা সক্ষম হলেও ছোট ব্যবসাগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়া কঠিন।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে