আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
গত তিন বছরের মধ্যে দুই বছরে বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না নিয়মিত। দর বাড়তে পারে এমন কোনো ইতিবাচক তথ্যও নেই। তার পরও শেয়ারদর বাড়ছে লাগামহীনভাবে। প্রায় পাঁচ মাসে দুর্বল ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২২৭ শতাংশের বেশি। এমন অস্বাভাবিক দর বাড়ায় কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে অস্থিরতা বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের অস্থিরতা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১২৭ টাকা ৮০ পয়সায়। অথচ গত ১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৯ টাকা। অর্থাৎ ৫ মাস ১০ দিনের মাথায় কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৮৮ টাকা ৮০ পয়সা বা ২২৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে কোম্পানিটিকে গত মে মাসের শেষ দিকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর জবাবে কোম্পানি জানায়, কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে। কোম্পানির বক্তব্য প্রকাশের দিন, অর্থাৎ ২৩ মে তারিখেও শেয়ারটির দাম ছিল ৯০ টাকা ৩০ পয়সা। এর পরও দর বেড়েছে। তবে ডিএসই বা কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
এমন মূল্যবৃদ্ধিতে অস্থিরতা বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। কারসাজি করে লোকসানি কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, লোকসানি কোম্পানি, বিনিয়োগকারীদের ঠিকমতো লভ্যাংশ দেয় না; এর আগে যা দিয়েছে, তা খুবই সামান্য। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এসব শেয়ারের দাম যখন এভাবে বেড়ে যায়, তখন বিনিয়োগকারীদের লোকসানের আশঙ্কা বাড়ে। অনেক বিনিয়োগকারী উঁচু দরে শেয়ার কিনে সর্বস্বান্ত হন।
অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি কাজী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কোনো শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হলেই সেটার ট্রেডিং স্থগিত রেখে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত তদন্ত করে দেখা। কারসাজি হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
বিনিয়োগকারীদের মতোই শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কারসাজির আশঙ্কা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে কোম্পানির স্বাস্থ্য ভালো নয়, পরিচালনা পর্ষদ ভালো নয়, সেই শেয়ারের দর কীভাবে বাড়ে, তা আমার বোধে আসে না। এগুলো সিন্ডিকেট ট্রেডিং করে বাড়ানো হয়। কিছু অসাধু ও কথিত বিনিয়োগকারী এবং সুবিধাভোগী কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা এগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকে। শুধু লিগ্যাসি ফুটওয়্যার নয়, এ রকম আরও অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে। এসব বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা মোটেও কল্যাণকর নয়।’
এসব বিষয়ে জানতে কোম্পানি সচিব আব্দুল বাতেন ভূঁইয়ার মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে তাঁর মোবাইলে খুদে বার্তা ও ই-মেইলে প্রশ্ন রাখা হলেও জবাব পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা দেখছে কমিশন। দর বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে কোম্পানি বা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত তিন বছরের মধ্যে দুই বছরে বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না নিয়মিত। দর বাড়তে পারে এমন কোনো ইতিবাচক তথ্যও নেই। তার পরও শেয়ারদর বাড়ছে লাগামহীনভাবে। প্রায় পাঁচ মাসে দুর্বল ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২২৭ শতাংশের বেশি। এমন অস্বাভাবিক দর বাড়ায় কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে অস্থিরতা বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের অস্থিরতা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১২৭ টাকা ৮০ পয়সায়। অথচ গত ১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৯ টাকা। অর্থাৎ ৫ মাস ১০ দিনের মাথায় কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৮৮ টাকা ৮০ পয়সা বা ২২৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে কোম্পানিটিকে গত মে মাসের শেষ দিকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর জবাবে কোম্পানি জানায়, কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে। কোম্পানির বক্তব্য প্রকাশের দিন, অর্থাৎ ২৩ মে তারিখেও শেয়ারটির দাম ছিল ৯০ টাকা ৩০ পয়সা। এর পরও দর বেড়েছে। তবে ডিএসই বা কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
এমন মূল্যবৃদ্ধিতে অস্থিরতা বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। কারসাজি করে লোকসানি কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, লোকসানি কোম্পানি, বিনিয়োগকারীদের ঠিকমতো লভ্যাংশ দেয় না; এর আগে যা দিয়েছে, তা খুবই সামান্য। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এসব শেয়ারের দাম যখন এভাবে বেড়ে যায়, তখন বিনিয়োগকারীদের লোকসানের আশঙ্কা বাড়ে। অনেক বিনিয়োগকারী উঁচু দরে শেয়ার কিনে সর্বস্বান্ত হন।
অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি কাজী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কোনো শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হলেই সেটার ট্রেডিং স্থগিত রেখে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত তদন্ত করে দেখা। কারসাজি হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
বিনিয়োগকারীদের মতোই শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কারসাজির আশঙ্কা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে কোম্পানির স্বাস্থ্য ভালো নয়, পরিচালনা পর্ষদ ভালো নয়, সেই শেয়ারের দর কীভাবে বাড়ে, তা আমার বোধে আসে না। এগুলো সিন্ডিকেট ট্রেডিং করে বাড়ানো হয়। কিছু অসাধু ও কথিত বিনিয়োগকারী এবং সুবিধাভোগী কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা এগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকে। শুধু লিগ্যাসি ফুটওয়্যার নয়, এ রকম আরও অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে। এসব বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা মোটেও কল্যাণকর নয়।’
এসব বিষয়ে জানতে কোম্পানি সচিব আব্দুল বাতেন ভূঁইয়ার মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে তাঁর মোবাইলে খুদে বার্তা ও ই-মেইলে প্রশ্ন রাখা হলেও জবাব পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা দেখছে কমিশন। দর বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে কোম্পানি বা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের কৌশলগত রিজার্ভ গড়ে তুলতে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের নির্বাহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। এ সাক্ষাতের এক দিন আগেই গতকাল
২ ঘণ্টা আগেআবারও কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্কারোপ স্থগিত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশ দু’টি থেকে আমদানিকৃত বেশির ভাগ পণ্যের ওপরই কার্যকর হবে না গত মঙ্গলবার কার্যকর করা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার, এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগেদেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.৬২ শতাংশ কমেছে। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে জানুয়ারির ১০ দশমিক ৭২ শতাংশের চেয়ে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে এটি জানুয়ারির তুলনায় ০.০৮ শতাংশ বেড়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেপাঁচ বিলিয়ন না হলেও অন্তত দুই বিলিয়ন ডলারের পাটজাত পণ্য সরকার রপ্তানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘পাট রপ্তানির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে আসুন...
১০ ঘণ্টা আগে