নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
এমবেড:
ক্যাটা: অর্থনীতি
এক্সার্পট:
মেটা বিবরণ:
ট্যাগ:
ছবি: LCT-Rayan। ছবি: ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড
পজিশন: লিড
চার বছর পর জাহাজ রপ্তানিতে ফিরেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। ‘রাইয়ান’ নামে ছোট থেকে মাঝারি ধরনের ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট প্রস্তুত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আরব আমিরাতের মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের কাছে এটি পাঠানো হবে। আগামী বছর এই প্রতিষ্ঠানের কাছেই আরও সাতটি জাহাজ রপ্তানি করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন। আজ শনিবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান।
তিনি বলেন, চারটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট ভেসেল, দুটি টাগবোট ও দুটি অয়েল ট্যাংকারসহ আটটি জাহাজ বিক্রির জন্য গত বছর মারওয়ান শিপিংয়ের কাছে চুক্তি করেছিলেন তাঁরা। এর অংশ হিসেবেই চট্টগ্রামের শিপইয়ার্ডে রাইয়ান তৈরি করা হয়েছে। এটি হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্যের ও সাড়ে চার মিটার গভীরতার ‘রায়ান’ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ক্যাপ্টেন সোহেল জানান, ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামে দুটি উচ্চক্ষমতার টাগবোট আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে রপ্তানি করা হবে। বাকি পাঁচটি জাহাজ আগামী বছরের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালেও একই ক্রেতার কাছে আমরা একটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট রপ্তানি করেছিলাম। তাঁরা আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে আবারও জাহাজ নির্মাণের জন্য এসেছে।’
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। দেশের অন্যতম শীর্ষ এই জাহাজ রপ্তানিকারক কোম্পানি বিশ্বের ১১টি দেশে মোট ৩৩টি জাহাজ রপ্তানি করেছে, যেগুলোর দাম সব মিলিয়ে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কাছে এমভি রূপসা ও এমভি সুগন্ধা নামে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ বিক্রি করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
চার বছর পর আরব আমিরাতে রপ্তানির মধ্য দিয়ে জাহাজ শিল্পের খরা কাটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওয়েস্টার্ন মেরিনের এমডি সোহেল বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমাদের খারাপ সময় গেছে। দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
ওয়েস্টার্ন মেরিনের চার বছর পার হলেও বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ ২০২২ সালে জাহাজ রপ্তানি হয়। নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ডে নির্মিত ওই জাহাজ ডেনমার্কে রপ্তানি হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের রপ্তানি কমে যায়। করোনা মহামারিকে এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ রপ্তানি করে প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি অয়েল ট্যাংকার জাহাজ রপ্তানি করা হবে। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্রয় আদেশ পেয়ে ইতোমধ্যে জাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ খাতকে সম্ভাবনাময় মনে করায় ২০০০ সালে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। গত দুই দশকে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের ১৫০টিরও বেশি জাহাজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে আছে—কার্গো জাহাজ, যাত্রীবাহী জাহাজ, মাল্টিপারপাস আইস-ক্লাস ভেসেল, ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট, অফশোর পেট্রল ভেসেল, টাগবোট, মাছ ধরার জাহাজ, বাল্ক ক্যারিয়ার ও কনটেইনার ক্যারিয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী, ওয়েস্টার্ন মেরিনের জিএম (অর্থ) আবুল মনসুর ও শাহেদুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
এমবেড:
ক্যাটা: অর্থনীতি
এক্সার্পট:
মেটা বিবরণ:
ট্যাগ:
ছবি: LCT-Rayan। ছবি: ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড
পজিশন: লিড
চার বছর পর জাহাজ রপ্তানিতে ফিরেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। ‘রাইয়ান’ নামে ছোট থেকে মাঝারি ধরনের ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট প্রস্তুত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আরব আমিরাতের মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের কাছে এটি পাঠানো হবে। আগামী বছর এই প্রতিষ্ঠানের কাছেই আরও সাতটি জাহাজ রপ্তানি করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন। আজ শনিবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান।
তিনি বলেন, চারটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট ভেসেল, দুটি টাগবোট ও দুটি অয়েল ট্যাংকারসহ আটটি জাহাজ বিক্রির জন্য গত বছর মারওয়ান শিপিংয়ের কাছে চুক্তি করেছিলেন তাঁরা। এর অংশ হিসেবেই চট্টগ্রামের শিপইয়ার্ডে রাইয়ান তৈরি করা হয়েছে। এটি হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্যের ও সাড়ে চার মিটার গভীরতার ‘রায়ান’ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ক্যাপ্টেন সোহেল জানান, ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামে দুটি উচ্চক্ষমতার টাগবোট আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে রপ্তানি করা হবে। বাকি পাঁচটি জাহাজ আগামী বছরের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালেও একই ক্রেতার কাছে আমরা একটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট রপ্তানি করেছিলাম। তাঁরা আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে আবারও জাহাজ নির্মাণের জন্য এসেছে।’
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। দেশের অন্যতম শীর্ষ এই জাহাজ রপ্তানিকারক কোম্পানি বিশ্বের ১১টি দেশে মোট ৩৩টি জাহাজ রপ্তানি করেছে, যেগুলোর দাম সব মিলিয়ে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কাছে এমভি রূপসা ও এমভি সুগন্ধা নামে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ বিক্রি করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
চার বছর পর আরব আমিরাতে রপ্তানির মধ্য দিয়ে জাহাজ শিল্পের খরা কাটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওয়েস্টার্ন মেরিনের এমডি সোহেল বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমাদের খারাপ সময় গেছে। দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
ওয়েস্টার্ন মেরিনের চার বছর পার হলেও বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ ২০২২ সালে জাহাজ রপ্তানি হয়। নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ডে নির্মিত ওই জাহাজ ডেনমার্কে রপ্তানি হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের রপ্তানি কমে যায়। করোনা মহামারিকে এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ রপ্তানি করে প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি অয়েল ট্যাংকার জাহাজ রপ্তানি করা হবে। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্রয় আদেশ পেয়ে ইতোমধ্যে জাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ খাতকে সম্ভাবনাময় মনে করায় ২০০০ সালে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। গত দুই দশকে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের ১৫০টিরও বেশি জাহাজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে আছে—কার্গো জাহাজ, যাত্রীবাহী জাহাজ, মাল্টিপারপাস আইস-ক্লাস ভেসেল, ল্যান্ডিং ক্র্যাফ্ট, অফশোর পেট্রল ভেসেল, টাগবোট, মাছ ধরার জাহাজ, বাল্ক ক্যারিয়ার ও কনটেইনার ক্যারিয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী, ওয়েস্টার্ন মেরিনের জিএম (অর্থ) আবুল মনসুর ও শাহেদুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
সোনার দামের এই ঊর্ধ্বগতি দেখে বিভিন্ন ব্যাংক তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। ওসিবিসি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ এবং মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষার জন্য সোনার চাহিদা আরও বাড়বে। তাঁরা মনে করেন, বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য নিয়ে
১ দিন আগেচীনের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়েছেন। ২০২১ সাল থেকে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বন্ডের সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে চীনের আবাসন কোম্পানিগুলো। দীর্ঘ আলোচনার পরও বিনিয়োগকারীরা এখন পর্যন্ত মাত্র ০.৬% অর্থ ফেরত পেয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাজারে আস্থার সংকট
২ দিন আগেঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
৩ দিন আগেবাজারে নতুন টাকার সরবরাহ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক জটিল পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত নতুন নোট ঈদের আগে ছাড়া হয়নি এবং ঈদের পরও তা বাজারে আসবে না।
৩ দিন আগে