জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেট, মজুতদারদের দৌরাত্ম্য এবং ঋণখেলাপি সংস্কৃতি মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের অপ্রতুলতা এবং অব্যবস্থাপনার ফলে টাকার মান প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে কাঁচামাল ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন কমছে, যা সরবরাহ চেইনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফলে বাজারে পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার স্বল্প সুদের ঋণ হিসেবে ৩৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও বাজারে অতিরিক্ত তারল্য তৈরি হচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। এর পর থেকে বারবার পরিবর্তন এসেছে, তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একই চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ২০২৩ সাল থেকে বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নীতি সুদহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও ১৫ শতাংশের কাছাকাছি গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার কার্যকর রয়েছে। অন্যদিকে সরকারের নীতিগত ভুলে ২৪ হাজার কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট মানি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোয় ২২ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে, একই সঙ্গে বাজারে নগদ অর্থের সরবরাহ ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে; যা সাধারণত ২ লাখ ৭০ হাজার থাকার কথা। এসব পদক্ষেপ মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক প্রভাবকে দুর্বল করেছে।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনের শাসনের দুর্বলতা বিনিয়োগের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে বিশাল অঙ্কের ঋণ বের করে তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা মুদ্রানীতির কার্যকারিতাকে আরও দুর্বল করেছে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মুদ্রার বিনিময় হার কমালে তা অন্য মুদ্রার ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কমালে রাজস্ব আয় হ্রাস পাবে। তবে তাঁর মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা যথাযথভাবে এই সুবিধা পান না। বরাদ্দ অর্থের একটি বড় অংশ অপব্যয় হয়, যা মূলত বিত্তবানদের পকেটে চলে যায়। পাশাপাশি ঘুষ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ তছরুপ হচ্ছে এবং সেই অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করতে হলে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বাধা দূর করতে না পারলে মুদ্রানীতি কার্যকর হতে বাধাগ্রস্ত হবে।
দেশে জ্বালানির সংকট, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, আয়বৈষম্য, সরকারি ঋণ বৃদ্ধি, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রানীতি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, তবে পণ্যের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন, যা তাঁদের জীবনযাত্রার মানে বড় প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে সুদ কমানো সমস্যার সমাধান নয়; উৎপাদন বাড়ানো এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব ভাঙা জরুরি, যা মুদ্রানীতির আওতায় নয়, বরং কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা ছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ২০২৪ ও ২০২৫ অর্থনীতির জন্য কঠিন বছর হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ; তবে বর্তমান কাঠামোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনা কঠিন।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মুদ্রানীতি কার্যকর করতে হলে রাজস্ব নীতি ও আর্থিক নীতির মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে। শুল্ক ও ভ্যাট নীতির অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তন বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক চাঁদাবাজি রোধ না করলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। সরকারের উচিত কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা আরোপ করে বাজার স্থিতিশীল করা, যাতে মুদ্রানীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অপ্রতুলতা শিল্পোৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি ডেকে এনেছে, যার ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেট, মজুতদারদের দৌরাত্ম্য এবং ঋণখেলাপি সংস্কৃতি মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের অপ্রতুলতা এবং অব্যবস্থাপনার ফলে টাকার মান প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে কাঁচামাল ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন কমছে, যা সরবরাহ চেইনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফলে বাজারে পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার স্বল্প সুদের ঋণ হিসেবে ৩৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও বাজারে অতিরিক্ত তারল্য তৈরি হচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। এর পর থেকে বারবার পরিবর্তন এসেছে, তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একই চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ২০২৩ সাল থেকে বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নীতি সুদহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও ১৫ শতাংশের কাছাকাছি গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার কার্যকর রয়েছে। অন্যদিকে সরকারের নীতিগত ভুলে ২৪ হাজার কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট মানি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোয় ২২ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে, একই সঙ্গে বাজারে নগদ অর্থের সরবরাহ ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে; যা সাধারণত ২ লাখ ৭০ হাজার থাকার কথা। এসব পদক্ষেপ মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক প্রভাবকে দুর্বল করেছে।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনের শাসনের দুর্বলতা বিনিয়োগের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে বিশাল অঙ্কের ঋণ বের করে তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা মুদ্রানীতির কার্যকারিতাকে আরও দুর্বল করেছে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মুদ্রার বিনিময় হার কমালে তা অন্য মুদ্রার ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কমালে রাজস্ব আয় হ্রাস পাবে। তবে তাঁর মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা যথাযথভাবে এই সুবিধা পান না। বরাদ্দ অর্থের একটি বড় অংশ অপব্যয় হয়, যা মূলত বিত্তবানদের পকেটে চলে যায়। পাশাপাশি ঘুষ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ তছরুপ হচ্ছে এবং সেই অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করতে হলে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বাধা দূর করতে না পারলে মুদ্রানীতি কার্যকর হতে বাধাগ্রস্ত হবে।
দেশে জ্বালানির সংকট, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, আয়বৈষম্য, সরকারি ঋণ বৃদ্ধি, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রানীতি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, তবে পণ্যের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন, যা তাঁদের জীবনযাত্রার মানে বড় প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে সুদ কমানো সমস্যার সমাধান নয়; উৎপাদন বাড়ানো এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব ভাঙা জরুরি, যা মুদ্রানীতির আওতায় নয়, বরং কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা ছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ২০২৪ ও ২০২৫ অর্থনীতির জন্য কঠিন বছর হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ; তবে বর্তমান কাঠামোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনা কঠিন।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মুদ্রানীতি কার্যকর করতে হলে রাজস্ব নীতি ও আর্থিক নীতির মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে। শুল্ক ও ভ্যাট নীতির অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তন বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক চাঁদাবাজি রোধ না করলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। সরকারের উচিত কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা আরোপ করে বাজার স্থিতিশীল করা, যাতে মুদ্রানীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অপ্রতুলতা শিল্পোৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি ডেকে এনেছে, যার ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের বরাদ্দ ১ হাজার ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা কমানো হয়েছে। মূল বাজেটে এ প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার ৫০২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৯ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকায় নামিয়ে...
৪১ মিনিট আগেদেশের কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়নে ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্যনিরাপত্তা ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা ও কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তাঁতপল্লিতে ঈদ সামনে রেখে কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে। খুটখাট আওয়াজে মুখরিত তাঁতপল্লি যেন এক অনবরত সুরেলা ছন্দ তুলেছে। চলছে পবিত্র মাহে রমজান, এরপরই ঈদ এবং বাঙালির পয়লা বৈশাখের উৎসব।
৩ ঘণ্টা আগেএলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। রাজধানীর এক ছায়া সংসদ বিতর্কে তিনি বলেন, শুল্ক সুবিধা হারানো, ঋণের কঠোর শর্ত ও উন্নয়ন সহযোগিতার হ্রাসসহ...
৯ ঘণ্টা আগে