ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:
ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে