বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা। আর্থিক পরিমাণের দিক বিবেচনায় স্বাস্থ্য বাজেটের আকার বেড়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ ঘোষণা দেন।
বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় কোভিড মহামারির সময় থেকে সরকার যে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে আসছে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিলে বিগত অর্থবছরের মতো এবারও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঘোষিত স্বাস্থ্য বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসিচব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির পকেট থেকে ব্যয় কমাতে হলে বাজাটে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে।
ঘোষিত বাজেট মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবিসমূহ বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরাদ্দের টাকা দিয়ে ১৫টি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপন করা হবে। সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন করা হবে।
আটটি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজে ১০০ শয্যার ক্যানসার ইউনিট স্থাপন এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে বাজেটের বড় অংশই ব্যয় হবে মজুরি ও বেতন, প্রশাসনিক ব্যয় পেশাগত সেবা ও সম্মানী ভাতা বাবদ।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত দুটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ফিল্টার ও সার্কিটের আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে ইঙ্গিত রয়েছে। ফলে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ডায়ালাইসিস নেওয়া রোগীদের জন্য সুখবর আসছে।
জানা গেছে, দেশে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। যারা ডায়ালাইসিস নেয়, বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে পাস হওয়ার পর তাদের খরচ কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত দুটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হলো ফিল্টার ও সার্কিট। এই দুটি প্রয়োজনীয় উপকরণের আমদানি শুল্ক কমানো হতে পারে। বর্তমানে ফিল্টার ও সার্কিটের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ রয়েছে, যা ৯ শতাংশ কমিয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হতে পারে এ বাজেটে। যার কারণে খরচ কমবে ডায়ালাইসিসের।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি লাখে ৩৫১, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১৩৬ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬০, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ৩৩-এ নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২০০৭ সালে ছিল ৬৬.৬, যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৩–এ উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
এক বছর বয়সের নিচের শিশুর পূর্ণ টিকা প্রাপ্তির হার ৭৫ শতাংশ থেকে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা। আর্থিক পরিমাণের দিক বিবেচনায় স্বাস্থ্য বাজেটের আকার বেড়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ ঘোষণা দেন।
বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় কোভিড মহামারির সময় থেকে সরকার যে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে আসছে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিলে বিগত অর্থবছরের মতো এবারও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঘোষিত স্বাস্থ্য বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসিচব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির পকেট থেকে ব্যয় কমাতে হলে বাজাটে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে।
ঘোষিত বাজেট মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবিসমূহ বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরাদ্দের টাকা দিয়ে ১৫টি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপন করা হবে। সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন করা হবে।
আটটি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজে ১০০ শয্যার ক্যানসার ইউনিট স্থাপন এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে বাজেটের বড় অংশই ব্যয় হবে মজুরি ও বেতন, প্রশাসনিক ব্যয় পেশাগত সেবা ও সম্মানী ভাতা বাবদ।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত দুটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ফিল্টার ও সার্কিটের আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে ইঙ্গিত রয়েছে। ফলে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ডায়ালাইসিস নেওয়া রোগীদের জন্য সুখবর আসছে।
জানা গেছে, দেশে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। যারা ডায়ালাইসিস নেয়, বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে পাস হওয়ার পর তাদের খরচ কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত দুটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হলো ফিল্টার ও সার্কিট। এই দুটি প্রয়োজনীয় উপকরণের আমদানি শুল্ক কমানো হতে পারে। বর্তমানে ফিল্টার ও সার্কিটের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ রয়েছে, যা ৯ শতাংশ কমিয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হতে পারে এ বাজেটে। যার কারণে খরচ কমবে ডায়ালাইসিসের।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি লাখে ৩৫১, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১৩৬ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬০, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ৩৩-এ নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২০০৭ সালে ছিল ৬৬.৬, যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৩–এ উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
এক বছর বয়সের নিচের শিশুর পূর্ণ টিকা প্রাপ্তির হার ৭৫ শতাংশ থেকে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১০ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১১ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে