নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বাণিজ্যের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা এলে তা অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ রোববার ঢাকায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে সংবাদপত্র প্রকাশকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি কথা বলেছেন। নোয়াব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কার প্রতি ইঙ্গিত করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ব্যক্তি ও কোনো সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞায় কিছু আসে যায় না। কিন্তু বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য বড় জিনিস। কারণ এখানে একটাই মাত্র পণ্য। সেটার ওপর বিধিনিষেধ এলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসবে।’
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে তাগিদ দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা।
দেশে সকল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে চলছে, তা ঠিক না করে প্রশমনমূলক সেবা (পেলিয়েটিভ ট্রিটমেন্ট) দিয়ে লাভ হবে না।’
দেশে সমস্যার কথা এলেই কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বাইরের সমস্যার কথা বলা হয়—এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভেতরের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। বাইরের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত সমস্যা থাকবেই। এর মধ্যে থেকেই ভেতরের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।’
বিদেশি ঋণ নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড. মুশতাক খান। তিনি বলেন, ‘দেশে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটা ফেরত দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে একপর্যায়ে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি আছে।’ বেশি ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় বিদ্যুৎ খাত ভবিষ্যতে দেশের জন্য বড় বোঝা হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে সংকটের বড় কারণ ঋণের সুদের হার ছয় থেকে নয় শতাংশ। এ কারণে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। আর ব্যাংক থেকে যে অর্থ বের হয়ে গেছে, তা আর ফিরে আসেনি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, উন্নয়নের যে গল্প এখন করা হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে জারি রাখা যাবে না। যেমন, বলা হয় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা খাদ্যের সঠিক চিত্র নয়। কারণ, দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য আমদানি হয়। জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির দিকে যাচ্ছে বলে তিনি সতর্ক করেন।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্য দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
দেশের বাণিজ্যের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা এলে তা অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ রোববার ঢাকায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে সংবাদপত্র প্রকাশকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি কথা বলেছেন। নোয়াব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কার প্রতি ইঙ্গিত করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ব্যক্তি ও কোনো সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞায় কিছু আসে যায় না। কিন্তু বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য বড় জিনিস। কারণ এখানে একটাই মাত্র পণ্য। সেটার ওপর বিধিনিষেধ এলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসবে।’
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে তাগিদ দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা।
দেশে সকল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে চলছে, তা ঠিক না করে প্রশমনমূলক সেবা (পেলিয়েটিভ ট্রিটমেন্ট) দিয়ে লাভ হবে না।’
দেশে সমস্যার কথা এলেই কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বাইরের সমস্যার কথা বলা হয়—এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভেতরের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। বাইরের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত সমস্যা থাকবেই। এর মধ্যে থেকেই ভেতরের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।’
বিদেশি ঋণ নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড. মুশতাক খান। তিনি বলেন, ‘দেশে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটা ফেরত দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে একপর্যায়ে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি আছে।’ বেশি ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় বিদ্যুৎ খাত ভবিষ্যতে দেশের জন্য বড় বোঝা হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে সংকটের বড় কারণ ঋণের সুদের হার ছয় থেকে নয় শতাংশ। এ কারণে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। আর ব্যাংক থেকে যে অর্থ বের হয়ে গেছে, তা আর ফিরে আসেনি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, উন্নয়নের যে গল্প এখন করা হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে জারি রাখা যাবে না। যেমন, বলা হয় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা খাদ্যের সঠিক চিত্র নয়। কারণ, দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য আমদানি হয়। জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির দিকে যাচ্ছে বলে তিনি সতর্ক করেন।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্য দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৩ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৪ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৫ ঘণ্টা আগে