অর্চি হক, ঢাকা
দিনাজপুরের হাকিমপুরে মোকামগুলোয় পচতে শুরু করেছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ। পচন ধরা এসব পেঁয়াজ মানভেদে ৪ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে আড়তদারদের। কোনো কোনো আড়তদার আবার বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দেন। দেশের এক প্রান্তে পেঁয়াজের মোকামে যখন এই হাল, তখন রাজধানীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।
এই অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য প্রত্যাহার চায় ট্যারিফ কমিশন।
দেশে পেঁয়াজের দামে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ তিনেক ধরে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণনপ্রতিষ্ঠান টিসিবির বাজার মনিটরিং প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মাস আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকায়, আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ওই সময় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে নিউজে দেখলাম, হিলিতে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ কেজির বস্তা। তাহলে হিলি থেকে ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে কত খরচ হয়, যে কেজি ১৩০ এ চলে যাচ্ছে?’
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ওঠার আগপর্যন্ত দাম বাড়তে থাকবে। এইখানে আমাদের কোনো হাত নাই।’
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম
বাজারে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি আলু ৬৫-৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের মতো আলুর বিষয়ে ব্যবসায়ীরা একই কথা বলছেন। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ বলেন, নতুন আলু পুরোদমে বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগপর্যন্ত দাম বাড়তে থাকবে।
সবজির দাম কমলেও মুরগি চড়া
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে অনেকটা কমেছে সবজির দাম। তবে বাজারভেদে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে যে বেগুন কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রামপুরায় তা ১৬০ টাকা।
গতকাল রামপুরা, বনশ্রী এলাকায় প্রতি কেজি মুলা ৯০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭৫, চিচিঙ্গা ৮০, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৭০, আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৬০, কাঁচা কলার হালি ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ কারওয়ান বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫-৪০ টাকা পর্যন্ত কম।
দামের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বনশ্রী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজার অথবা যাত্রাবাড়ী থেকে মাল আনি। ক্যারিং ছাড়াও আরও অনেক খরচ যোগ করতে হয়। তাই দামটা বেশি পড়ে।’
বাজারভেদে দামের বড় পার্থক্য সম্পর্কে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মারাত্মক খামতি রয়েছে। পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকায় বাজারে যে যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে দাম রাখে। কঠোর মনিটরিং এবং শাস্তির ব্যবস্থা ছাড়া এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’
বাজারে আগের মতোই চড়া দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা গেছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকায়। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের হাকিমপুরে মোকামগুলোয় পচতে শুরু করেছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ। পচন ধরা এসব পেঁয়াজ মানভেদে ৪ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে আড়তদারদের। কোনো কোনো আড়তদার আবার বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দেন। দেশের এক প্রান্তে পেঁয়াজের মোকামে যখন এই হাল, তখন রাজধানীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।
এই অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য প্রত্যাহার চায় ট্যারিফ কমিশন।
দেশে পেঁয়াজের দামে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ তিনেক ধরে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণনপ্রতিষ্ঠান টিসিবির বাজার মনিটরিং প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মাস আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকায়, আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ওই সময় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে নিউজে দেখলাম, হিলিতে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ কেজির বস্তা। তাহলে হিলি থেকে ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে কত খরচ হয়, যে কেজি ১৩০ এ চলে যাচ্ছে?’
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ওঠার আগপর্যন্ত দাম বাড়তে থাকবে। এইখানে আমাদের কোনো হাত নাই।’
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম
বাজারে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি আলু ৬৫-৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের মতো আলুর বিষয়ে ব্যবসায়ীরা একই কথা বলছেন। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ বলেন, নতুন আলু পুরোদমে বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগপর্যন্ত দাম বাড়তে থাকবে।
সবজির দাম কমলেও মুরগি চড়া
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে অনেকটা কমেছে সবজির দাম। তবে বাজারভেদে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে যে বেগুন কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রামপুরায় তা ১৬০ টাকা।
গতকাল রামপুরা, বনশ্রী এলাকায় প্রতি কেজি মুলা ৯০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭৫, চিচিঙ্গা ৮০, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৭০, আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৬০, কাঁচা কলার হালি ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ কারওয়ান বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫-৪০ টাকা পর্যন্ত কম।
দামের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বনশ্রী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজার অথবা যাত্রাবাড়ী থেকে মাল আনি। ক্যারিং ছাড়াও আরও অনেক খরচ যোগ করতে হয়। তাই দামটা বেশি পড়ে।’
বাজারভেদে দামের বড় পার্থক্য সম্পর্কে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মারাত্মক খামতি রয়েছে। পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকায় বাজারে যে যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে দাম রাখে। কঠোর মনিটরিং এবং শাস্তির ব্যবস্থা ছাড়া এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’
বাজারে আগের মতোই চড়া দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা গেছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকায়। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
৮ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
৮ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
৯ ঘণ্টা আগে