নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গঠিত টাস্কফোর্স বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। এই সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো, ব্যাংক থেকে ১০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করা। এর পাশাপাশি, শেয়ারবাজারে নতুন কোম্পানি অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
সুপারিশের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ঋণগ্রহীতাদের তালিকাভুক্তি: ব্যাংক থেকে ১০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া: শেয়ারবাজারে নতুন কোম্পানি অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে আইপিও প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে এবং বাজারের গতিশীলতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলধনের সীমা: স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারে ছোট ও দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার বরাদ্দ: আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জের ভূমিকা: শেয়ারবাজারে কোন কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে আসবে এবং কোনটি অনুমোদন পাবে না, এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত স্টক এক্সচেঞ্জ নেবে। স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করলে, বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না।
সময়সীমা নির্ধারণ: আইপিও প্রক্রিয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদনের জন্য সাড়ে পাঁচ মাস এবং বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
টাস্কফোর্সের অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে: মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত বিধিবিধান সংশোধন; মার্জিন রুলস বা শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া ঋণসুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিবর্তন; আইপিও আবেদনকারীদের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষার জন্য বিএসইসির নির্ধারিত আইপিও অডিটর প্যানেলের মাধ্যমে নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে আইপিও সংক্রান্ত সুপারিশ জমা দেয় টাস্কফোর্স।
বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে টাস্কফোর্সের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন টাস্কফোর্সের সদস্য ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের সিইও মাজেদুর রহমান ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এ সময় টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি বিএসইসির তিন কমিশনার এবং টাস্কফোর্সের ফোকাস গ্রুপের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোংয়ের জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসারউদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন।
বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি ছিল ১৭টি। এর মধ্যে ছিল পুঁজিবাজারের আকার, তথা জিডিপি ও বাজার মূলধন অনুপাত কম হওয়ার প্রধান কারণগুলো চিহ্নিত করা এবং উন্নতির জন্য নীতি প্রণয়নের প্রস্তাব; দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংকঋণের বদলে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নে সরকারের নীতি প্রণয়ন ও এ–সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ করা; বাজারের সুশাসনের উন্নতির জন্য বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করে সমাধানের সুপারিশ প্রণয়ন; বিএসইসির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ; ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএলের তদারকি কার্যক্রম বিশ্বমানে উন্নীত করাসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিতে সুপারিশ প্রণয়ন; প্রাইভেট প্লেসমেন্ট–সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ নীতিমালা যুগোপযোগী করতে সুপারিশ; তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, করপোরেট ঘোষণাসহ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও বাজারের গভীরতা বৃদ্ধির সুপারিশ প্রণয়ন; বাজার মধ্যস্থতাকারীদের জন্য বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান যুগোপযোগী করতে সুপারিশ করা; বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও আস্থা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান; বাজারে কারসাজি, অনিয়মের বিচার ও জরিমানার সমতা আনতে সুনির্দিষ্ট পেনাল কোড এবং শাস্তির বিধিমালা প্রণয়ন করা; নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের জন্য একটি মানসম্মত পদ্ধতি বা নির্দেশিকা প্রণয়ন; তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে অ–তালিকাভুক্ত কোম্পানি একীভূত, অধিগ্রহণ–সংক্রান্ত হাইকোর্টের অনুমোদনের আগে বিএসইসির অনাপত্তি গ্রহণ–সংক্রান্ত সুপারিশ করা ইত্যাদি।
এ নিয়ে টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে তিনটি বিষয়ে বিএসইসিতে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: মিউচুয়াল ফান্ড–সংক্রান্ত সুপারিশ, মার্জিন রুলস বা শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া ঋণসুবিধা–সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিবর্তনের সুপারিশ। সর্বশেষ গতকাল জমা দেওয়া হয়েছে আইপিও সংক্রান্ত সুপারিশ।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ টাস্কফোর্সের সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এই সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও খবর পড়ুন:
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গঠিত টাস্কফোর্স বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। এই সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো, ব্যাংক থেকে ১০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করা। এর পাশাপাশি, শেয়ারবাজারে নতুন কোম্পানি অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
সুপারিশের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ঋণগ্রহীতাদের তালিকাভুক্তি: ব্যাংক থেকে ১০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া: শেয়ারবাজারে নতুন কোম্পানি অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে আইপিও প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে এবং বাজারের গতিশীলতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলধনের সীমা: স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারে ছোট ও দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার বরাদ্দ: আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জের ভূমিকা: শেয়ারবাজারে কোন কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে আসবে এবং কোনটি অনুমোদন পাবে না, এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত স্টক এক্সচেঞ্জ নেবে। স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করলে, বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না।
সময়সীমা নির্ধারণ: আইপিও প্রক্রিয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদনের জন্য সাড়ে পাঁচ মাস এবং বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
টাস্কফোর্সের অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে: মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত বিধিবিধান সংশোধন; মার্জিন রুলস বা শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া ঋণসুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিবর্তন; আইপিও আবেদনকারীদের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষার জন্য বিএসইসির নির্ধারিত আইপিও অডিটর প্যানেলের মাধ্যমে নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে আইপিও সংক্রান্ত সুপারিশ জমা দেয় টাস্কফোর্স।
বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে টাস্কফোর্সের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন টাস্কফোর্সের সদস্য ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের সিইও মাজেদুর রহমান ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এ সময় টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি বিএসইসির তিন কমিশনার এবং টাস্কফোর্সের ফোকাস গ্রুপের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোংয়ের জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসারউদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন।
বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি ছিল ১৭টি। এর মধ্যে ছিল পুঁজিবাজারের আকার, তথা জিডিপি ও বাজার মূলধন অনুপাত কম হওয়ার প্রধান কারণগুলো চিহ্নিত করা এবং উন্নতির জন্য নীতি প্রণয়নের প্রস্তাব; দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংকঋণের বদলে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নে সরকারের নীতি প্রণয়ন ও এ–সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ করা; বাজারের সুশাসনের উন্নতির জন্য বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করে সমাধানের সুপারিশ প্রণয়ন; বিএসইসির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ; ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএলের তদারকি কার্যক্রম বিশ্বমানে উন্নীত করাসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিতে সুপারিশ প্রণয়ন; প্রাইভেট প্লেসমেন্ট–সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ নীতিমালা যুগোপযোগী করতে সুপারিশ; তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, করপোরেট ঘোষণাসহ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও বাজারের গভীরতা বৃদ্ধির সুপারিশ প্রণয়ন; বাজার মধ্যস্থতাকারীদের জন্য বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান যুগোপযোগী করতে সুপারিশ করা; বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও আস্থা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান; বাজারে কারসাজি, অনিয়মের বিচার ও জরিমানার সমতা আনতে সুনির্দিষ্ট পেনাল কোড এবং শাস্তির বিধিমালা প্রণয়ন করা; নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের জন্য একটি মানসম্মত পদ্ধতি বা নির্দেশিকা প্রণয়ন; তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে অ–তালিকাভুক্ত কোম্পানি একীভূত, অধিগ্রহণ–সংক্রান্ত হাইকোর্টের অনুমোদনের আগে বিএসইসির অনাপত্তি গ্রহণ–সংক্রান্ত সুপারিশ করা ইত্যাদি।
এ নিয়ে টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে তিনটি বিষয়ে বিএসইসিতে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: মিউচুয়াল ফান্ড–সংক্রান্ত সুপারিশ, মার্জিন রুলস বা শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া ঋণসুবিধা–সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিবর্তনের সুপারিশ। সর্বশেষ গতকাল জমা দেওয়া হয়েছে আইপিও সংক্রান্ত সুপারিশ।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ টাস্কফোর্সের সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এই সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও খবর পড়ুন:
মূলত ব্যাংকের খাতের অনিয়ম, লোপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার মতো অনিয়মে কারণে তাঁকে ২৪ বছর পর সিআইবি থেকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর নামে অনিয়মের ফিরিস্তি প্রকাশ পায়। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও তাঁর বিরুদ্ধে গভর্নরকে অভিযোগ করেন।
৬ মিনিট আগেজাপান ৪৫ তম ওডিএ লোন প্যাকেজের দ্বিতীয় ব্যাচের আওতাধীন ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ও মাতারবাড়ী উত্তরা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল–ফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্ট (ভিআইআই) ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ ও ‘মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল–ফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্ট (৮)’
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কালো টাকা সাদা করার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ)। তাঁদের তিনজনের নামে ছয় কোটি টাকার এফডিআর ফ্রিজ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনতুন বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয় কাজ করছে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী বাজেটে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে উৎসাহী করা হবে। কারণ, প্রাইভেট সেক্টর ভালো করলে সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়বে। অনেক ব্যবসায়ী মনে করছেন, এখন বিনিয়োগ করলে পরবর্তীতে তাদের সমস্যা হতে পারে। আ
১২ ঘণ্টা আগে