নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে বেঁধে দেওয়া সুদহার এখনই উঠে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে গভর্নরকে সুদের হার তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। এ সময় ব্যাংকের গভর্নর এ কথা বলেন।
সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিনিধি দলকে গভর্নর বলেছেন, ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে সুদের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হার এখনই উঠে যাচ্ছে না। কারণ সুদের হার একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত পর্যালোচনা রয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসলে তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের বিবেচনা থেকেই ঋণ বিতরণে সুদের সর্বোচ্চ হার ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেবে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জানিয়েছেন যে, ব্যাংকগুলোর জন্য বন্ড ক্রয়ের ব্যবস্থা করা ও ব্যাংকের ঋণের ওপরে যে সুদের ক্যাপ বসান রয়েছে সেটা উঠিয়ে দিতে হবে।’
ডলার বাজার অস্থিরতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডলারের বাজারের অস্থিরতা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ ১০টি দল। বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই পরিদর্শন চলবে। পরিদর্শনে ডলার কেনাবেচার তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও ক্রেতাদের ডলার কেনার মোটিভ বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। আর কোনো এক্সচেঞ্জ হাউস কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়ালে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এ ছাড়া যেসব এক্সচেঞ্জ হাউস সনদ ছাড়া ডলারের ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৪ টাকায় ডলার সরবরাহ করবে আর ব্যাংকগুলো ১০৫-১১০ টাকায় তা বিক্রি করবে। এক ডলারের ১০ টাকা লাভের জন্য ব্যবসা সনদ দেওয়া হয়নি। এটা তো হতে পারে না। এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। এটার ভিত শক্ত নেই। অনেক শেয়ার ব্যবসায়ী এখন নাকি ডলারের ব্যবসায় জড়িত হয়েছেন। ডলার কারসাজিতে যে কোন ব্যক্তি জড়িত হোক না কেন তাদের শক্ত হাতে ধরতে হবে। কারণ কোনো ব্যক্তি দেশের স্বার্থের ঊর্ধ্বে না। আমি গভর্নরকে অনুরোধ করেছি তিনি যেন এটাকে ভালোভাবে দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠেছে রেকর্ড ১১২-১৩ টাকা। এমনকি ব্যাংকগুলোও ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা দর রাখছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে ৯ থেকে ১৪ টাকা বেশি। এক দিনেই দাম বাড়ে ৭ টাকা, যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এটার একটা কিছু করতে হবে।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এটা শুধু সাক্ষাৎ নয়, কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ শিডিউল নিয়ে যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সেটা নিয়েও কথা বলেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে অর্থনীতিতে বড় ধরনের কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। আমাদের রিজার্ভ ভালো আছে। অনেক উন্নত দেশ চেয়ে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত আছে। দেশের অর্থনীতি নিয়ে অনেক অমূলক কথাবার্তা বলছেন।’
ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে বেঁধে দেওয়া সুদহার এখনই উঠে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে গভর্নরকে সুদের হার তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। এ সময় ব্যাংকের গভর্নর এ কথা বলেন।
সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিনিধি দলকে গভর্নর বলেছেন, ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে সুদের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হার এখনই উঠে যাচ্ছে না। কারণ সুদের হার একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত পর্যালোচনা রয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসলে তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের বিবেচনা থেকেই ঋণ বিতরণে সুদের সর্বোচ্চ হার ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেবে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জানিয়েছেন যে, ব্যাংকগুলোর জন্য বন্ড ক্রয়ের ব্যবস্থা করা ও ব্যাংকের ঋণের ওপরে যে সুদের ক্যাপ বসান রয়েছে সেটা উঠিয়ে দিতে হবে।’
ডলার বাজার অস্থিরতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডলারের বাজারের অস্থিরতা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ ১০টি দল। বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই পরিদর্শন চলবে। পরিদর্শনে ডলার কেনাবেচার তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও ক্রেতাদের ডলার কেনার মোটিভ বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। আর কোনো এক্সচেঞ্জ হাউস কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়ালে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এ ছাড়া যেসব এক্সচেঞ্জ হাউস সনদ ছাড়া ডলারের ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৪ টাকায় ডলার সরবরাহ করবে আর ব্যাংকগুলো ১০৫-১১০ টাকায় তা বিক্রি করবে। এক ডলারের ১০ টাকা লাভের জন্য ব্যবসা সনদ দেওয়া হয়নি। এটা তো হতে পারে না। এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। এটার ভিত শক্ত নেই। অনেক শেয়ার ব্যবসায়ী এখন নাকি ডলারের ব্যবসায় জড়িত হয়েছেন। ডলার কারসাজিতে যে কোন ব্যক্তি জড়িত হোক না কেন তাদের শক্ত হাতে ধরতে হবে। কারণ কোনো ব্যক্তি দেশের স্বার্থের ঊর্ধ্বে না। আমি গভর্নরকে অনুরোধ করেছি তিনি যেন এটাকে ভালোভাবে দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠেছে রেকর্ড ১১২-১৩ টাকা। এমনকি ব্যাংকগুলোও ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা দর রাখছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে ৯ থেকে ১৪ টাকা বেশি। এক দিনেই দাম বাড়ে ৭ টাকা, যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এটার একটা কিছু করতে হবে।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এটা শুধু সাক্ষাৎ নয়, কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ শিডিউল নিয়ে যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সেটা নিয়েও কথা বলেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে অর্থনীতিতে বড় ধরনের কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। আমাদের রিজার্ভ ভালো আছে। অনেক উন্নত দেশ চেয়ে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত আছে। দেশের অর্থনীতি নিয়ে অনেক অমূলক কথাবার্তা বলছেন।’
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৬ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৭ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৮ ঘণ্টা আগে