নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় কৌশল ছিল সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন। এ লক্ষ্যে ৯-৬ স্তরের সুদহার তুলে দিয়ে বাজারভিত্তিক সুদহার নীতি বেছে নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ায় বেসরকারি খাতে কমে যায় ঋণের প্রবাহ। সেই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়া ও সরবরাহ সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি এবং জ্বালানির আমদানিও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আবার সব মিলে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বড় বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। এতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ কিংবা ব্যবসায়িক উদ্যোগে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের স্থবিরতা, যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক কর্মসংস্থানে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ তুলে দিয়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে সুদের হার নির্ধারণের ভিত্তি ধরা হয় নীতি সুদহার। গত জুলাই মাসে ব্যাংকের সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫-১৮ শতাংশ। গত এক বছরে সুদের হার বেড়েছে প্রায় কমপক্ষে ৮ শতাংশ। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা প্রায় ১০ শতাংশ। এমন অবস্থায় দেশে একদিকে নতুন বিনিয়োগ কমছে, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক শিল্পকারখানা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন পোশাক কারখানা এলাকায় গত ছয় মাসে কমপক্ষে ৩০০ কারখানা বন্ধ হয়েছে। অনেক কারখানা কোনো নোটিশ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর কিছু কারখানা বন্ধের কারণ দেখানো হয়েছে, নতুন অর্ডার কমে আসা, বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসায় ক্ষতিসাধনের বিষয়টি।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুদের হার হুহু করে বাড়ছে। এর সীমা আমরা জানি না। আবার পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো বকেয়া ঋণ আদায়ে উঠেপড়ে লেগেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা করা কঠিন। এ জন্য নতুন বিনিয়োগে যেতে চায় না অনেকে। আবার কেউ কেউ কোম্পানি বন্ধ করে অবসায়ন চাচ্ছে। এতে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন কর্মসংস্থানও হচ্ছে না।
এদিকে গত অর্থবছরের জুলাইতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ শতাংশ। যদিও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। কিন্তু অর্থবছর শেষে জুনে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা কঠিন। বিনিয়োগ না বাড়লে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে। আর ব্যবসা না চললে কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। বিষয়টি আমরা গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে বলেছি। আশা করি একটা নতুন নির্দেশনা আসবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো মেজবাউল হক বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক তার সব টুলসই ব্যবহার করেছে। কিন্তু এখনো মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি আসতে পারেনি। মূলত সুদের হার নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং টাকার সরবরাহ কমিয়ে পণ্যের দাম কমিয়ে আনার কোনো নীতিই কাজ করছে না। সিন্ডিকেট, ডলারের বিপরীতের টাকার অবমূল্যায়ন এবং বিশ্ববাজারের অনেক বিষয়ের সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একা মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে না। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় কৌশল ছিল সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন। এ লক্ষ্যে ৯-৬ স্তরের সুদহার তুলে দিয়ে বাজারভিত্তিক সুদহার নীতি বেছে নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ায় বেসরকারি খাতে কমে যায় ঋণের প্রবাহ। সেই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়া ও সরবরাহ সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি এবং জ্বালানির আমদানিও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আবার সব মিলে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বড় বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। এতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ কিংবা ব্যবসায়িক উদ্যোগে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের স্থবিরতা, যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক কর্মসংস্থানে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ তুলে দিয়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে সুদের হার নির্ধারণের ভিত্তি ধরা হয় নীতি সুদহার। গত জুলাই মাসে ব্যাংকের সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫-১৮ শতাংশ। গত এক বছরে সুদের হার বেড়েছে প্রায় কমপক্ষে ৮ শতাংশ। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা প্রায় ১০ শতাংশ। এমন অবস্থায় দেশে একদিকে নতুন বিনিয়োগ কমছে, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক শিল্পকারখানা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন পোশাক কারখানা এলাকায় গত ছয় মাসে কমপক্ষে ৩০০ কারখানা বন্ধ হয়েছে। অনেক কারখানা কোনো নোটিশ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর কিছু কারখানা বন্ধের কারণ দেখানো হয়েছে, নতুন অর্ডার কমে আসা, বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসায় ক্ষতিসাধনের বিষয়টি।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুদের হার হুহু করে বাড়ছে। এর সীমা আমরা জানি না। আবার পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো বকেয়া ঋণ আদায়ে উঠেপড়ে লেগেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা করা কঠিন। এ জন্য নতুন বিনিয়োগে যেতে চায় না অনেকে। আবার কেউ কেউ কোম্পানি বন্ধ করে অবসায়ন চাচ্ছে। এতে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন কর্মসংস্থানও হচ্ছে না।
এদিকে গত অর্থবছরের জুলাইতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ শতাংশ। যদিও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। কিন্তু অর্থবছর শেষে জুনে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা কঠিন। বিনিয়োগ না বাড়লে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে। আর ব্যবসা না চললে কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। বিষয়টি আমরা গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে বলেছি। আশা করি একটা নতুন নির্দেশনা আসবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো মেজবাউল হক বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক তার সব টুলসই ব্যবহার করেছে। কিন্তু এখনো মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি আসতে পারেনি। মূলত সুদের হার নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং টাকার সরবরাহ কমিয়ে পণ্যের দাম কমিয়ে আনার কোনো নীতিই কাজ করছে না। সিন্ডিকেট, ডলারের বিপরীতের টাকার অবমূল্যায়ন এবং বিশ্ববাজারের অনেক বিষয়ের সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একা মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে না। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
৬ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
৬ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
৬ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
৭ ঘণ্টা আগে