ক্রিপ্টোকারেন্সির ‘বৈধতা’ দিল ভারত, এপ্রিলেই আসছে ডিজিটাল মুদ্রা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯: ৫৫
Thumbnail image

ঘরে বসে অর্থ আয়ের এখন বড় উৎস ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং। ভারতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এটি। সেই সঙ্গে ব্যাপকভাবে বাড়ছে লেনদেনও। কিন্তু এই ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেনের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অবশেষে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের অবস্থান খোলাসা করা হলো। 

প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছেন, শিগগিরই ডিজিটাল মুদ্রা আনছে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে এটির লেনদেন করা যাবে। তবে লেনদেন কর দিতে হবে ৩০ শতাংশ। 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে প্রকারান্তরে ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা দেওয়ার পথেই হাঁটল সরকার। 

অবশ্য এর আগেই ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন, সরকার ডিজিটাল মুদ্রা আনতে চলেছে। আগামী ১ এপ্রিলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। অবশেষে বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা আনার কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। 

সীতারমন বলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের অধীনে এই মুদ্রার লেনদেন হবে। সব তথ্য রাখা হবে ব্লকচেইন পদ্ধতিতে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল, ডিজিটাল সম্পদ বিক্রি বা অধিগ্রহণ থেকে আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। 

ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেনের বিষয়ে সীতারমন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি ডিজিটাল কারেন্সি আনবে। সেই মুদ্রার বিনিময় মূল্য রুপির মতোই হবে। আর রিজার্ভ ব্যাংকের কারেন্সি বাদে ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বাকি সব ডিজিটাল মুদ্রা সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের সম্পদ হস্তান্তর ও বিনিময়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।’

এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ক্রিপ্টো লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ভল্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দর্শন বাথিজা বলেন, ‘কর আরোপের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হলো। ফলে এ মুদ্রা নিষিদ্ধ করার যে আশঙ্কা ছিল, সেটি থাকল না। তবে উচ্চ করের কারণে দেশীয় গ্রাহকেরা অন্য বিদেশি প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকবেন। এতে সরকারই রাজস্ব বঞ্চিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত